Skip to Content
আর এস এস ও বর্তমান ভারত

Price:

700.00 ৳


Nani A. Palkhivala : A Life
Nani A. Palkhivala : A Life
1,200.00 ৳
1,200.00 ৳
ব্ঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা : হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায়
ব্ঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা : হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায়
700.00 ৳
700.00 ৳

আর এস এস ও বর্তমান ভারত

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/11876/image_1920?unique=20d6fc2

700.00 ৳ 700.0 BDT 700.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

আর এস এসের কাছে হিটলার-মুসোলিনি নিঃসন্দেহে মহান নায়ক। হিন্দুত্বের ধ্বজাধারী আর এস এস হিটলারের সর্বগ্রাসী পন্থাকে নির্লজ্জভাবে ও খোলাখুলি অনুসরণ করে যাবতীয় নাগরিক ও মানবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে চায় ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের। নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর, ভারতের গণতান্ত্রিক-ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রব্যবস্থার সর্বনাশ করা এবং সংখ্যালঘুদের উপর আঘাত হানার প্রিয় পুরোনো খেলাকে ত্বরান্বিত করে তুলেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আর এস এস)। মহাত্মা গান্ধির হত্যাকাণ্ডে যুক্ত থাকার জন্য ১৯৪৮ সালে এই চরম সাম্প্রদায়িক সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এবং ১৯৯২ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংস করার জন্য আবারও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল সংগঠনটিকে। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, যে আর এস এস মুসলমানদের কাছ থেকে দেশের প্রতি দ্বিধাহীন ও অবিচল আনুগত্য দাবি করছে, অথচ তাদের নিজেদেরই ভারতের সংবিধান বা জাতীয় পতাকার প্রতি কোনও আনুগত্য নেই। এই সংগঠন ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামের খোলাখুলি নিন্দা করেই ক্ষান্ত হয়নি, ভগৎ সিং আর তাঁর সাথীদের মতো মহান শহিদদের ব্যঙ্গও করেছে, যাঁরা মাতৃভূমির মুক্তির জন্য জীবন বিসর্জন দিয়েছিলেন। আজ আর এস এস সম্বন্ধে খুঁটিয়ে ও গুরুত্ব দিয়ে জানা দরকার, কেননা এটি এখন আর কোনও প্রান্তিক সংগঠন নয়, কারণ বর্তমানের বিজেপি নেতারা প্রকাশ্যেই আর এস এসের প্রতি তাঁদের সমর্থন ও আনুগত্যের কথা ঘোষণা করেছেন। ভারতের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার পক্ষে পরিস্থিতি কতটা সংকটজনক তা মোদির একটি বিবৃতি থেকেই বোঝা যায়, যেখানে নিজেকে ‘হিন্দু জাতীয়তাবাদী’ হিসেবে অভিহিত করেন তিনি। মোদি যদি ‘হিন্দু জাতীয়তাবাদী’ হন, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই ‘মুসলিম জাতীয়তাবাদী’, ‘শিখ জাতীয়তাবাদী’, ‘খ্রিস্টান জাতীয়তাবাদী’, ইত্যাদিও থাকবে, যা ভারতীয় জাতীয়তাবাদের পুরো ধারণাটাকেই ভেঙে চুরমার করে দেবে। উদার অর্থনীতির পাণ্ডাদের প্রতিনিধি হিসেবে আর এস এস দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা, বহুত্ববাদ, ইতিহাস, বিজ্ঞান ও সর্বোপরি সংস্কৃতির উপরে যে সর্বাত্মক ফ্যাসিস্তসুলভ আক্রমণ ক্রমাগত চালিয়ে যাচ্ছে তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গ্রন্থটি বিশেষ ভূমিকা রাখতে সমর্থ হবে।

Title

আর এস এস ও বর্তমান ভারত

Author

Goutam Roy

Publisher

Adarshalipi

Number of Pages

496

Language

Bengali / বাংলা

First Published

FEB 2024

আর এস এসের কাছে হিটলার-মুসোলিনি নিঃসন্দেহে মহান নায়ক। হিন্দুত্বের ধ্বজাধারী আর এস এস হিটলারের সর্বগ্রাসী পন্থাকে নির্লজ্জভাবে ও খোলাখুলি অনুসরণ করে যাবতীয় নাগরিক ও মানবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে চায় ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের। নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর, ভারতের গণতান্ত্রিক-ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রব্যবস্থার সর্বনাশ করা এবং সংখ্যালঘুদের উপর আঘাত হানার প্রিয় পুরোনো খেলাকে ত্বরান্বিত করে তুলেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আর এস এস)। মহাত্মা গান্ধির হত্যাকাণ্ডে যুক্ত থাকার জন্য ১৯৪৮ সালে এই চরম সাম্প্রদায়িক সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এবং ১৯৯২ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংস করার জন্য আবারও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল সংগঠনটিকে। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, যে আর এস এস মুসলমানদের কাছ থেকে দেশের প্রতি দ্বিধাহীন ও অবিচল আনুগত্য দাবি করছে, অথচ তাদের নিজেদেরই ভারতের সংবিধান বা জাতীয় পতাকার প্রতি কোনও আনুগত্য নেই। এই সংগঠন ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামের খোলাখুলি নিন্দা করেই ক্ষান্ত হয়নি, ভগৎ সিং আর তাঁর সাথীদের মতো মহান শহিদদের ব্যঙ্গও করেছে, যাঁরা মাতৃভূমির মুক্তির জন্য জীবন বিসর্জন দিয়েছিলেন। আজ আর এস এস সম্বন্ধে খুঁটিয়ে ও গুরুত্ব দিয়ে জানা দরকার, কেননা এটি এখন আর কোনও প্রান্তিক সংগঠন নয়, কারণ বর্তমানের বিজেপি নেতারা প্রকাশ্যেই আর এস এসের প্রতি তাঁদের সমর্থন ও আনুগত্যের কথা ঘোষণা করেছেন। ভারতের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার পক্ষে পরিস্থিতি কতটা সংকটজনক তা মোদির একটি বিবৃতি থেকেই বোঝা যায়, যেখানে নিজেকে ‘হিন্দু জাতীয়তাবাদী’ হিসেবে অভিহিত করেন তিনি। মোদি যদি ‘হিন্দু জাতীয়তাবাদী’ হন, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই ‘মুসলিম জাতীয়তাবাদী’, ‘শিখ জাতীয়তাবাদী’, ‘খ্রিস্টান জাতীয়তাবাদী’, ইত্যাদিও থাকবে, যা ভারতীয় জাতীয়তাবাদের পুরো ধারণাটাকেই ভেঙে চুরমার করে দেবে। উদার অর্থনীতির পাণ্ডাদের প্রতিনিধি হিসেবে আর এস এস দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা, বহুত্ববাদ, ইতিহাস, বিজ্ঞান ও সর্বোপরি সংস্কৃতির উপরে যে সর্বাত্মক ফ্যাসিস্তসুলভ আক্রমণ ক্রমাগত চালিয়ে যাচ্ছে তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গ্রন্থটি বিশেষ ভূমিকা রাখতে সমর্থ হবে।
No Specifications