আকাশ, পৃথিবী ও আদম সৃষ্টি সম্পর্কে প্রতিষ্ঠিত প্রশংসা আল্লাহ্র। তাঁর গুণরাজী কোন বর্ণনাকারী বর্ণনা করে শেষ করতে পারে না। তাঁর নেয়ামতসমূহ গণনাকারীরা গুনে শেষ করতে পারে না। প্রচেষ্টাকারীগণ তাঁর নেয়ামতের হক আদায় করতে পারে না। আমাদের সমুদয় প্রচেষ্টা ও জ্ঞান দ্বারা তাঁর পরিপূর্ণ আনুগত্য প্রকাশ করা সম্ভব নয় এবং আমাদের সমগ্র বােধশক্তি দ্বারা তার মাহাত্ম অনুভব করা সম্ভব নয়। তাঁর সিফাত বর্ণনার কোন পরিসীমা নির্ধারিত নেই এবং সেজন্য কোন লেখা বা বক্তব্য, কোন সময় বা স্থিতিকাল নির্দিষ্ট করা হয় নি। তিনি নজ কুদরতে সৃষ্টিকে অস্তিত্বশীল করেছেন, আপন করুণায় বাতাসকে প্রবাহিত করেছেন এবং শিলাময় পাহাড় দ্বারা কম্পমান পৃথিবীকে সুদৃঢ় করেছেন।আল্লাহ্র মা'রেফাতই দ্বিনের ভিত্তি। এ মা'রেফাতের পরিপূর্ণতা আসে তাঁকে সত্য বলে সাক্ষ্য দায়; সাক্ষ্যের পরিপূর্ণতা হয় তাঁর ঐকল্যের বিশ্বাসে; বিশ্বাসের পরিপূর্ণতা হয় তাঁকে পরম পবিত্ররূপে নরীক্ষণ করার জন্য আমল করায়; আমলের পরিপূর্ণতা অর্জিত হয় তাঁর প্রতি কোন সিফাত (গুণ)। আব্রাপ না করায়। কারণ কোন কিছুতে গুণ আরােপিত হলে এটাই প্রমাণিত হয় যে, আরােপিত বিষয় যেকে গুণ পৃথক এবং যার ওপর গুণ আরােপিত হয় সে নিজে সেই গুণ থেকে পৃথক। যারা আল্লাহুতে কর বহির্ভূত কোন সিফাত বা গুণ আরােপ করে তারা তাঁর সদৃশতার স্বীকৃতি দেয়; যারা তার সদৃশতা কার করে তারা দ্বৈতবাদের স্বীকৃতি দেয়; যারা তাঁর দ্বৈতের স্বীকৃতি দেয় তারা তাঁকে খন্ডভাবে দেখে; আর তাঁকে খন্ডভাবে দেখে তারা তাঁকে ভুল বুঝে; যারা তাঁকে ভুল বুঝে তারা তাকে চিনতে অক্ষম; না তাকে চিনতে অক্ষম তারা তাঁর ত্রুটি স্বীকার করে; যারা তার ত্রুটি স্বীকার করে তারা তাঁকে শব্ধতায় আবদ্ধ করে।
যদি কেউ বলে তিনি কি, সে জেনে রাখুক, তিনি সবকিছু ধারণ করে আছেন; এবং যদি কেউ বলে জানি কিসের ওপর আছেন, সে জেনে নাও, তিনি নির্দিষ্ট কোন কিছুর ওপর নেই। যদি কেউ তাঁর আর হেতি নির্দিষ্ট কোন স্থানে মনে করে তবে সে কিছু কিছু স্থানকে আল্লাহ্বিহীন মনে করলাে। তিনি ওই আলা বর আগমন সৃষ্টি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঘটে নি। তিনি অস্তিত্বশীল, কিন্তু অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্বে নালে নি। তিনি সব কিছুতেই আছেন, কিন্তু কোন প্রকার ভৌত নৈকট্য দ্বারা নয়। তিনি সব কিছু থেকে = ন্তু বস্তুগত দ্বান্দ্বিকতা ও বিচ্ছেদের মধ্য দিয়ে নয়। তিনি কর্ম সম্পাদন করেন কিন্তু সঞ্চলন ও হয় ব্রের মাধ্যমে নয়। তিনি তখনও দেখেন যখন তাঁর সৃষ্টির মধ্যে কেউ দেখার মতাে থাকে না। একমাত্র একক, কেন না এমন কেউ নেই যার সাথে তিনি সঙ্গ রাখতে পারেন অথবা যার নহিতি তিনি অনুভব করেন। নিখিল বিশ্ব সৃষ্টি তনি সৃষ্টির সূত্রপাত করলেন একান্তই মৌলিকভাবে কোন প্রকার প্রতিরূপ ব্যতীত, কোন প্রকার জন ও পর্যবেক্ষণ ব্যতীত, কোনরূপ বিচলন ব্যতীত এবং ফলাফলের জন্য কোনরূপ ব্যাকুলতা = = সব কিছুকে তিনি নির্দিষ্ট সময় দিলেন, তাদের বৈচিত্র্যে সামঞ্জস্য বিধান করলেন এবং তাদের কে সুপ্রতিষ্ঠিত করলেন। সৃষ্টির পূর্বেই তিনি সব কিছুর প্রবণতা, জটিলতা, সীমাবদ্ধতা ও দুর্বলতা জেত ছিলেন।