Skip to Content
উত্তর-দক্ষিণ সংলাপ

Price:

144.00 ৳


উত্তর হাওয়ার গান
উত্তর হাওয়ার গান
168.00 ৳
210.00 ৳ (20% OFF)
উত্তরচেতনার ভূমিকা
উত্তরচেতনার ভূমিকা
160.00 ৳
200.00 ৳ (20% OFF)

উত্তর-দক্ষিণ সংলাপ

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/32336/image_1920?unique=281efed

144.00 ৳ 144.0 BDT 180.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

‘শােন এরিকা, তােমাকে একটা কথা শুধাই । পরিণত একজন সাধারণ মানুষের মগজের বহর কত হতে পারে? এক কর্ণ থেকে আরেক কর্ণ পর্যন্ত?’ ‘ভেবে দেখিনি তাে কোনােদিন।’ ‘ধর পনেরাে থেকে সতেরাে সেন্টিমিটার? মনে রেখাে আধেয় জ্ঞান যেখানে অসীম, সেখানে তার এ আধারটুকু কিন্তু সসীম। অর্থাৎ একজন মানুষের, একটি জীবনের একটি মস্তকের আহরিত জ্ঞানের ধারণ স্থানিকভাবে এই সতেরাে সেন্টিমিটারেই সীমাবদ্ধ। একদিকে জ্ঞান হল মহাকালের পুঞ্জিত পরিমাণ। আরেকদিকে তা রক্ষা করার স্থান হল দৈর্ঘ্যে-প্রস্থে মাথাপিছু মাত্র এইটুকু। গ্রেশাম’স ল বলে : খারাপ মুদ্রার সারকুলেশন বেড়ে যাওয়ার ফলে ভালাে মুদ্রা বাজার থেকে বিতাড়িত হয়। এই ল-টিকে মুদ্রার ক্ষেত্র থেকে জ্ঞানের ক্ষেত্র পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা চলে। অর্থাৎ বর্তমানে ঋণাত্মক জ্ঞানের বিক্রয় বেড়ে যাওয়ার ফলে, নিতান্ত বস্তুগত কারণেই ধনাত্মক জ্ঞান আমাদের মস্তিষ্ক থেকে বিদূরিত হচ্ছে। বরং বলা যাক, উপকারী জ্ঞানের বদলে অপকারী জ্ঞানেই ক্রেতার মগজটা আজ ভরে যাচ্ছে (উপযােগীকৃত)। কারা এই ঋণাত্মক জ্ঞানের বিক্রেতা এবং কেন, আর কারাই বা এর ক্রেতা এবং কেন; এসব বিষয়ই এ উপন্যাসটির উপজীব্য। অন্যকথায়, বিশ্বের কেন্দ্রীয় এবং প্রান্তীয় দেশগুলির মধ্যে বিরাজমান অবশ্য সম্পর্কের স্বরূপ দর্শন করায় এই উত্তর-দক্ষিণ সংলাপ।

আবদুশ শাকুর

আবদুশ শাকুর (জন্ম: ২৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪১ - মৃত্যু: ১৫ জানুয়ারি, ২০১৩) বাংলাদেশের একজন প্রতিষ্ঠিত কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, রচনাসাহিত্যিক, রবীন্দ্র-গবেষক, সঙ্গীতজ্ঞ ও গোলাপ-বিশেষজ্ঞ। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৪ সালে তিনি পেয়েছেন একুশে পদক। তিনি রম্যচনার জন্য বিশেষ প্রসিদ্ধি লাভ করেছিলেন। আবদুশ শাকুরের পাঁচশতাধিক পৃষ্ঠার ‘গল্পসমগ্র’ গ্রন্থটি কীর্তি হিসেবে বাংলা কথাসাহিত্যের ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী হবার উপাদানে সমৃদ্ধ। তার পাঁচশতাধিক পৃষ্ঠার ‘রম্যসমগ্র’ ব্যাখ্যা করে কেন রম্যরচনার ক্ষেত্রে তিনি দেশের অগ্রগণ্য লেখক হিসেবে বরিত। তার গোলাপ-বিষয়ক গবেষণামূলক রচনাসমূহ বিশেষত ‘গোলাপসংগ্রহ’ গ্রন্থটি স্বক্ষেত্রে বাংলাভাষায় একক। শুধু পুষ্পরানী সম্পর্কেই নয়, পুস্তকটিতে রয়েছে মৌসুমী, বর্ষজীবী, দ্বিবর্ষজীবী, চিরজীবী পুষ্পবিষয়ক বিবিধ আলোচনাসহ বাংলাদেশের জাতীয় ফুল ও জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের উপর সারগর্ভ পর্যালোচনাও। গবেষণামূলক সঙ্গীতলেখক হিসেবে দেশের সঙ্গীত ও সাহিত্যিক সমাজে তিনি অগ্রগণ্য। শুদ্ধসঙ্গীতের স্বর, সুর, কথা, হিন্দুস্তানীসঙ্গীত বনাম কর্ণাটকসঙ্গীত, ধ্বনিমুদ্রণ প্রযুক্তি, ধ্বনিসংস্কৃতি বনাম লিপিসংস্কৃতি ইত্যাদি বিষয়ে গভীরচারী আলোচনার জন্য তার ‘সঙ্গীত সঙ্গীত’, রাগসঙ্গীতচর্চার সোনালী শতক সম্পর্কিত ‘মহান শ্রোতা’ এবং সার্ধশত বর্ষের দেশাত্মবোধক সঙ্গীত পর্যালোচনা গ্রন্থ ‘বাঙালির মুক্তির গান’ বিশেষজ্ঞমহলে সমাদৃত। তার ‘মহামহিম রবীন্দ্রনাথ’, ‘পরম্পরাহীন রবীন্দ্রনাথ’ এবং ‘রবীন্দ্রনাথকে যতটুকু জানি’-নামক রবীন্দ্র-গবেষণামূলক গ্রন্থগুলি বোদ্ধা মহলে কবিগুরুর শেষহীন গুরুত্ব অণুধাবনে বিশেষ সহায়ক বলে বিবেচিত। চ. তার উপন্যাসগুলি ভাষা ও উপজীব্যের দিক দিয়ে অভিনব বলেই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণ : ‘ক্রাইসিস’, ‘সংলাপ’, ‘উত্তর-দক্ষিণ সংলাপ’ ও `ভালোবাসা'। ছ. মুখের ভাষার মতো তাঁর গদ্যও বুদ্ধিদীপ্ত, ক্ষিপ্র, কাব্যময়, রঙিন ও ক্ষুরধার। গদ্যশরীর যতখানি নিখাদ আর শাণিত হতে পারে, তাঁর ভাষা প্রায় তারই উপমা। বাংলা সাহিত্যের খ্যাতিমান অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ-এর ভাষায়, ‘আজ আমাদের চারপাশে অযত্ন আর অবহেলায় লেখা শিথিল গদ্যভাষার যে “অলীক কুনাট্যরঙ্গ” মাথা উঁচিয়ে উঠেছে। আবদুশ শাকুরের গদ্য চিরায়ত গদ্যের পক্ষ থেকে তার শক্তিমান প্রতিবাদ…জ্ঞান, মেধা এবং মননের সমবায় তার বৈদগ্ধ্যকে এমন এক পরিশীলিত শ্রী এবং উপভোগ্যতা দিয়েছে যার কাছাঁকাছি জিনিশ চিরায়ত বাংলাসাহিত্যের ভিতরেই কেবল খুঁজে পাওয়া যাবে’ (স্বনির্বাচিত প্রবন্ধ ও রচনা ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ই জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেল পৌনে পাঁচটায় রাজধানীর ধানমন্ডির নিজ বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে আবদুশ শাকুরকে সমাহিত করা হয়

Title

উত্তর-দক্ষিণ সংলাপ

Author

আবদুশ শাকুর

Publisher

Oitiijjya

Number of Pages

130

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Novel
  • First Published

    FEB 2010

    ‘শােন এরিকা, তােমাকে একটা কথা শুধাই । পরিণত একজন সাধারণ মানুষের মগজের বহর কত হতে পারে? এক কর্ণ থেকে আরেক কর্ণ পর্যন্ত?’ ‘ভেবে দেখিনি তাে কোনােদিন।’ ‘ধর পনেরাে থেকে সতেরাে সেন্টিমিটার? মনে রেখাে আধেয় জ্ঞান যেখানে অসীম, সেখানে তার এ আধারটুকু কিন্তু সসীম। অর্থাৎ একজন মানুষের, একটি জীবনের একটি মস্তকের আহরিত জ্ঞানের ধারণ স্থানিকভাবে এই সতেরাে সেন্টিমিটারেই সীমাবদ্ধ। একদিকে জ্ঞান হল মহাকালের পুঞ্জিত পরিমাণ। আরেকদিকে তা রক্ষা করার স্থান হল দৈর্ঘ্যে-প্রস্থে মাথাপিছু মাত্র এইটুকু। গ্রেশাম’স ল বলে : খারাপ মুদ্রার সারকুলেশন বেড়ে যাওয়ার ফলে ভালাে মুদ্রা বাজার থেকে বিতাড়িত হয়। এই ল-টিকে মুদ্রার ক্ষেত্র থেকে জ্ঞানের ক্ষেত্র পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা চলে। অর্থাৎ বর্তমানে ঋণাত্মক জ্ঞানের বিক্রয় বেড়ে যাওয়ার ফলে, নিতান্ত বস্তুগত কারণেই ধনাত্মক জ্ঞান আমাদের মস্তিষ্ক থেকে বিদূরিত হচ্ছে। বরং বলা যাক, উপকারী জ্ঞানের বদলে অপকারী জ্ঞানেই ক্রেতার মগজটা আজ ভরে যাচ্ছে (উপযােগীকৃত)। কারা এই ঋণাত্মক জ্ঞানের বিক্রেতা এবং কেন, আর কারাই বা এর ক্রেতা এবং কেন; এসব বিষয়ই এ উপন্যাসটির উপজীব্য। অন্যকথায়, বিশ্বের কেন্দ্রীয় এবং প্রান্তীয় দেশগুলির মধ্যে বিরাজমান অবশ্য সম্পর্কের স্বরূপ দর্শন করায় এই উত্তর-দক্ষিণ সংলাপ।
    No Specifications