Skip to Content
আয়না ঘর

Price:

160.00 ৳


আয়কর পরিপত্র ২০২৪-২০২৫
আয়কর পরিপত্র ২০২৪-২০২৫
180.00 ৳
180.00 ৳
আয়না দিঘি
আয়না দিঘি
160.00 ৳
200.00 ৳ (20% OFF)
20% OFF

আয়না ঘর

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/32024/image_1920?unique=05ea55f

160.00 ৳ 160.0 BDT 200.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

অনিন্দিতার লাশ ঘরের ঠিক মাঝখানে পড়ে আছে। সিলিং ফ্যান বরাবর। বিছানার চাদর দিয়ে ঢেকে রাখা ডেড বডি? পুলিশ এসেই জায়গাটাকে সীল করে দিয়েছে। তারপরও উৎসাহী জনগণের অভাব নেই। দূর থেকেই ভীড় করে আছে। ফিসফাস। চলছে। ফ্ল্যাটে ঢুকতে ঢুকতে ফারুনীর কানেও এল। টুকরাে টুকরাে কথা। ‘এজন্য একা মেয়ে মানুষ ভাড়া দিতে নাই। আমাদের সমাজের মানুষগুলাে কি ভীষণ জাজমেন্টাল? মৃত মানুষকেও ছাড়ে না। ঘরের ভেতরে কোন কিছু এলােমেলাে না। সব পরিপাটি অবস্থায় আছে। যদিও এই ঘরে তেমন কোন ফার্নিচার নেই। দেয়াল জুড়ে বিশাল এক আয়না ছাড়া। এত বড় আয়না কেউ দেয়ালে রাখতে পারে আইডিয়া ছিল না ডাক্তার ফাল্গুনীর। ওহ আরাে একটা জিনিস আছে এই ঘরে। বিশাল আয়নাটা যে। দেয়ালে তার উল্টো দিকের দেয়াল জুড়ে একটা। মেয়ের ছবি প্রেমে বাঁধানাে। নীল সাদা শাড়ি পরা। ছবিটার বিশেষত্ব হচ্ছে মেয়েটার চোখের দৃষ্টি অদ্ভুত মাদকতা ভরা। আর ঠোঁটের দুষ্টু হাসিটা। কি সুন্দর দেখতে ছিল ও। চেহারা দেখে অবশ্য এখন আর কেউ মেলাতে পারবে না ওকে। এসিড ঝলসে যাবার আগের ছবি এটা।

মিম্ মি রহমান

মিম্ মি রহমান জন্ম ... ২৩ জুন। ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলির পৈতৃক বসতভিটাতে বর্ষাসড়বাত ভোরে। পিতা- মো. আতিয়ার রহমান। ব্যবসায়ী এবং সমাজসেবক। মাতা- নূরুন নাহার রহমান। গৃহিণী। পাঁচ বোন। লেখিকা তার পিতা-মাতার বড় সন্তান। একমাত্র সন্তান আহ্নাফকে নিয়ে তার একান্ত নিজস্ব ছোট্ট সংসারজীবন। লেখিকা পেশায় একজন চিকিৎসক। স্কুল-কলেজজীবন ফরিদপুরে কাটিয়েছেন। পরবর্তীকালে মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়ে চলে আসেন ময়মনসিংহ। কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস কোর্স শেষ করে বারডেম থেকে সিসিডি এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমপিএইচ ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত। লেখালেখির শুরু স্কুলজীবন থেকেই। স্কুল, কলেজের ম্যাগাজিন, দেয়াল পত্রিকা এবং বিভিনড়ব দৈনিক পত্রিকার শিশু, সাহিত্য এবং নারী পাতায় লিখতেন। মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার পর লেখালেখিতে একটা বড় গ্যাপ তৈরি হয়। পরবর্তী সময়ে বিভিনড়ব অনলাইন পোর্টাল এবং ফেসবুকের বিভিনড়ব লেখালেখির গ্রুপে আবার নিয়মিত লিখতে শুরু করেন। ২০১৮-এ অমর একুশে বইমেলাতে লেখিকার প্র ম একক বই ‘আনটোল্ড স্টোরি ফ্রম এ স্ট্রাগলার’ প্রকাশিত হয় শব্দভূমি প্রকাশনী থেকে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯-এ আসে গল্প সম্ভার ‘অপ্রত্যাশিত তুমি আমি’ বইটি। এছাড়া আরো বেশকিছু যৌথ বইতেও লেখিকার লেখা গল্প প্রকাশিত হয়েছে। লেখিকা মূলত সমাজের বিভিনড়ব অসামঞ্জস্য এবং যুগ যুগ ধরে চলে আসা গৎবাঁধা তবে অযৌক্তিক ইস্যুগুলো তুলে আনেন লেখার ভেতর দিয়ে। তার লেখার উল্লেখযোগ্য দুটো বিষয় হচ্ছে পজিটিভ ভাইব এবং সাহসিকতা। নারী-পুরুষ ভেদাভেদ না করে লেখার চরিত্রগুলোকে মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টাও লক্ষণীয় তার লেখাতে। পেশায় চিকিৎসক হওয়ায় সমাজের বিভিনড়ব শ্রেণির মানুষকে খুব কাছ থেকে দেখার, জানার সুযোগ পান লেখিকা। যা তার লেখালেখির ভাণ্ডারকে দিনে দিনে আরো সম"দ্ধশালী করে তুলবে বলে আশাবাদী।

Title

আয়না ঘর

Author

মিম্ মি রহমান

Publisher

Anuj Prokashon

Number of Pages

80

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Thriller
  • First Published

    FEB 2021

     Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

     Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

     Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

     International Delivery: Charges vary by country and book weight - will be informed after order confirmation.

     3 Days Happy Return. Change of mind is not applicable

     Multiple Payment Methods: Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

    অনিন্দিতার লাশ ঘরের ঠিক মাঝখানে পড়ে আছে। সিলিং ফ্যান বরাবর। বিছানার চাদর দিয়ে ঢেকে রাখা ডেড বডি? পুলিশ এসেই জায়গাটাকে সীল করে দিয়েছে। তারপরও উৎসাহী জনগণের অভাব নেই। দূর থেকেই ভীড় করে আছে। ফিসফাস। চলছে। ফ্ল্যাটে ঢুকতে ঢুকতে ফারুনীর কানেও এল। টুকরাে টুকরাে কথা। ‘এজন্য একা মেয়ে মানুষ ভাড়া দিতে নাই। আমাদের সমাজের মানুষগুলাে কি ভীষণ জাজমেন্টাল? মৃত মানুষকেও ছাড়ে না। ঘরের ভেতরে কোন কিছু এলােমেলাে না। সব পরিপাটি অবস্থায় আছে। যদিও এই ঘরে তেমন কোন ফার্নিচার নেই। দেয়াল জুড়ে বিশাল এক আয়না ছাড়া। এত বড় আয়না কেউ দেয়ালে রাখতে পারে আইডিয়া ছিল না ডাক্তার ফাল্গুনীর। ওহ আরাে একটা জিনিস আছে এই ঘরে। বিশাল আয়নাটা যে। দেয়ালে তার উল্টো দিকের দেয়াল জুড়ে একটা। মেয়ের ছবি প্রেমে বাঁধানাে। নীল সাদা শাড়ি পরা। ছবিটার বিশেষত্ব হচ্ছে মেয়েটার চোখের দৃষ্টি অদ্ভুত মাদকতা ভরা। আর ঠোঁটের দুষ্টু হাসিটা। কি সুন্দর দেখতে ছিল ও। চেহারা দেখে অবশ্য এখন আর কেউ মেলাতে পারবে না ওকে। এসিড ঝলসে যাবার আগের ছবি এটা।
    No Specifications