Skip to Content
মরু মূষিকের উপত্যকা

Price:

240.00 ৳


মরীচিকা
মরীচিকা
240.00 ৳
300.00 ৳ (20% OFF)
মরুঝড়
মরুঝড়
240.00 ৳
300.00 ৳ (20% OFF)

মরু মূষিকের উপত্যকা

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/27307/image_1920?unique=5b478ad

240.00 ৳ 240.0 BDT 300.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

শুক্রবার দিন সকাল ন'টা পর্যন্ত ঘুমানােই হল চিশতির নিয়মিত বদ-অভ্যেসগুলাের একটি। অন্যান্য দিন অবশ্য কোনাে কাজ থাকুক না থাকুক চিশতি লাফ দিয়ে বিছানা থেকে উঠে যায়। উঠে পড়ে আজানের সাথে সাথেই। সে নিয়মিত নামাজি হলেও শুক্রবার দিনটা ব্যতিক্রম ঘটে। বৃহস্পতিবার সারারাত জেগে বিশ্বের যত রােমাঞ্চকর উপন্যাস, থ্রিলার, ভৌগােলিক বিষয়, অ্যাডভেঞ্চারের বই ও পত্রিকা যেমন পড়ে, তেমনি দুনিয়ার কোথায় কোন রহস্যময় বিষয়কে ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে ফিল্ম, শর্টফিল্ম বা ভিডিও রেকর্ড সে সবের কালেকশন থেকে, কালেকশন না বলে চিশতির নিজস্ব ভিডিও লাইব্রেরিই বলা ভাল। এসব নিয়েই তার বৃহস্পতিবার রাতটা সাবাড় হয়ে যায়। শুক্রবার ঘুম থেকে জাগতে এ জন্যই দেরি। দেরি করে উঠলেও নামাজটা দ্রুত সেরে নিয়ে নাস্তার টেবিলে আসে। তারপর ধীরে সুস্থে নাস্তাটা সেরে একটা গােল্ড লিফ সিগ্রেট ধরিয়ে তার দিকে হেদৃষ্টিতে নিৰ্ণিমেষ তাকিয়ে থাকা এক সৌম্য সাদা থানপরা বৃদ্ধাকে বলবে, ‘যাক সকালের পাট চুকে গেল ফুপু। এখন ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে ভূগােল বিভাগে একটু তবলা বাজিয়ে আসি। তুমি দুপুরের খাবার নিয়ে আমার জন্য বসে থাকলে আমি আগামীকাল থেকে বাৎসরিক রােজা রাখার প্রতিজ্ঞা করব। তুমি এই অধম ভাইপাের অপেক্ষা না করে খেয়ে নেবে। এর অন্যথা করলে বুঝতেই তাে পারছ আমার প্রতিজ্ঞা?” নাস্তা পরিবেশনকারিণী চিশতির দিকে মেহদৃষ্টি তুলে বললেন, ‘তাের আজকাল বাইরে লাঞ্চ না খেলে পেট ভরে না সেটা কি আর জানি না? বাসায় এসে তােকে খেতে বলি তাে আমার নিজের জন্য। একা একা দুপুরের খাওয়া খেতে আমার যে কি খারাপ লাগে হতভাগা সেটা যদি বুঝতি তাহলে সব ফেলে দুপুরে বাড়ি এসেই খানা খেতি। ‘এই তাে অযথা রাগ করলে ফুপু। তুমি ভাবাে আমি বিনা কারণে বুঝি বাইরে খাই? জানাে না কত কাজ করি আমি। ভূগােল বিষয়ে কত নতুন নতুন তত্ত নিয়ে আমি গবেষণা করছি তা যদি একটুও বুঝতে তাহলে একথা বলতে না। আর দুপুরে শুধু এক গামলা ভাত-মাছ গেলার জন্য এমন করে বলতেও না। ভূ-পৃষ্ঠের এমন বিষয় নিয়ে আমরা খেলছি ফুপু যদি সত্যি একদিন সফল হই তবে জানবে তােমার এই ভাইপােটি মরুভূমিতেও সাগরকলার বাগান রচনার কৌশল জগৎকে জানিয়ে দেবে। বুঝলে? ‘আমার আর বুঝে কাজ নেই। বরং এখন বিয়ে করে একটা বৌ এনে ঘরে তােল।

Al Mahmud

আল মাহমুদ বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবিদের একজন আল মাহমুদের কবিতার বই পড়েননি এমন সাহিত্যপ্রেমী খুঁজে পাওয়া ভার। গুণী এই কবি একাধারে একজন সাংবাদিক, শিশুসাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিক। তবে সবকিছু ছাপিয়ে গেছে তার কবি পরিচয়। আধুনিক বাংলা কবিতা নানা দিক থেকে তার কাছে ঋণী থাকবে। বাচনভঙ্গি আর রচনাশৈলীতে তার কবিতা সমকালীন যেকোনো কবির তুলনায় অনন্য। ‘কবিতাসমগ্র’ (দুই খন্ড) ‘উড়ালকাব্য’, ‘সোনালি কাবিন’, ‘আল মাহমুদের স্বাধীনতার কবিতা’, ‘প্রেমের কবিতা সমগ্র’, ‘আল মাহমুদের শ্রেষ্ঠ কবিতা’ ইত্যাদি কবিতার বই নিয়ে আল মাহমুদ কবিতাসমগ্র। এছাড়াও আল মাহমুদ উপন্যাস সমগ্র প্রকাশিত হয়েছে তিন খণ্ডে। জাতীয় রাজনীতি, অর্থনীতি, সামাজিক টানাপোড়েন, স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমি ও প্রেক্ষাপটসহ সমাজ ও ব্যক্তি জীবনের দ্বন্দ্ব স্থান পেয়েছে আল মাহমুদ এর বই সমূহ-তে। ‘কালের কলম’, ‘লোক লোকান্তর’, ‘মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো’, ‘বখতিয়ারের ঘোড়া’, ‘আরব্য রজনীর রাজহাঁস’, ‘গল্প সমগ্র’, ইত্যাদি তার উল্লেখযোগ্য লেখা। আল মাহমুদের জন্ম ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মোড়াইল গ্রামে। তার পুরো নাম মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ। শিক্ষাজীবনেই তিনি লেখালেখির সাথে সম্পৃক্ত হন। রবীন্দ্রনাথ, কাজী নজরুল আর মধ্যযুগের বৈষ্ণব পদাবলী পাঠ করতে করতে নিজের কবি প্রতিভা আবিষ্কার করেন তিনি। ১৯৫৪ সালে সাপ্তাহিক কাফেলা পত্রিকায় লেখালেখি শুরু করেন। কিছুকাল পরই এ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। পুরো ৬০-এর দশক জুড়ে তিনি অসংখ্য কবিতা রচনা করেন এবং কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠা ও খ্যাতি লাভ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি প্রবাসী সরকারের হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে দৈনিক গণকণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এ পত্রিকায় সরকার বিরোধী লেখালেখির কারণে এক বছরের জন্য কারাদণ্ডও ভোগ করতে হয় তাকে। ১৯৭৫-৯৩ সাল পর্যন্ত শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক হিসেবে কাজ করে কর্মজীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেন। কবি আল মাহমুদ তার অনবদ্য রচনাশৈলীর জন্য ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার’, ‘একুশে পদক’, ‘জীবনানন্দ স্মৃতি পুরস্কার’, ‘নাসির উদ্দিন স্বর্ণপদক’ সহ অসংখ্য পদক ও সম্মাননা লাভ করেছেন। ২০১৯ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি তিনি পরলোকগমন করেন।

Title

মরু মূষিকের উপত্যকা

Author

Al Mahmud

Publisher

Mohakal

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Novel
  • শুক্রবার দিন সকাল ন'টা পর্যন্ত ঘুমানােই হল চিশতির নিয়মিত বদ-অভ্যেসগুলাের একটি। অন্যান্য দিন অবশ্য কোনাে কাজ থাকুক না থাকুক চিশতি লাফ দিয়ে বিছানা থেকে উঠে যায়। উঠে পড়ে আজানের সাথে সাথেই। সে নিয়মিত নামাজি হলেও শুক্রবার দিনটা ব্যতিক্রম ঘটে। বৃহস্পতিবার সারারাত জেগে বিশ্বের যত রােমাঞ্চকর উপন্যাস, থ্রিলার, ভৌগােলিক বিষয়, অ্যাডভেঞ্চারের বই ও পত্রিকা যেমন পড়ে, তেমনি দুনিয়ার কোথায় কোন রহস্যময় বিষয়কে ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে ফিল্ম, শর্টফিল্ম বা ভিডিও রেকর্ড সে সবের কালেকশন থেকে, কালেকশন না বলে চিশতির নিজস্ব ভিডিও লাইব্রেরিই বলা ভাল। এসব নিয়েই তার বৃহস্পতিবার রাতটা সাবাড় হয়ে যায়। শুক্রবার ঘুম থেকে জাগতে এ জন্যই দেরি। দেরি করে উঠলেও নামাজটা দ্রুত সেরে নিয়ে নাস্তার টেবিলে আসে। তারপর ধীরে সুস্থে নাস্তাটা সেরে একটা গােল্ড লিফ সিগ্রেট ধরিয়ে তার দিকে হেদৃষ্টিতে নিৰ্ণিমেষ তাকিয়ে থাকা এক সৌম্য সাদা থানপরা বৃদ্ধাকে বলবে, ‘যাক সকালের পাট চুকে গেল ফুপু। এখন ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে ভূগােল বিভাগে একটু তবলা বাজিয়ে আসি। তুমি দুপুরের খাবার নিয়ে আমার জন্য বসে থাকলে আমি আগামীকাল থেকে বাৎসরিক রােজা রাখার প্রতিজ্ঞা করব। তুমি এই অধম ভাইপাের অপেক্ষা না করে খেয়ে নেবে। এর অন্যথা করলে বুঝতেই তাে পারছ আমার প্রতিজ্ঞা?” নাস্তা পরিবেশনকারিণী চিশতির দিকে মেহদৃষ্টি তুলে বললেন, ‘তাের আজকাল বাইরে লাঞ্চ না খেলে পেট ভরে না সেটা কি আর জানি না? বাসায় এসে তােকে খেতে বলি তাে আমার নিজের জন্য। একা একা দুপুরের খাওয়া খেতে আমার যে কি খারাপ লাগে হতভাগা সেটা যদি বুঝতি তাহলে সব ফেলে দুপুরে বাড়ি এসেই খানা খেতি। ‘এই তাে অযথা রাগ করলে ফুপু। তুমি ভাবাে আমি বিনা কারণে বুঝি বাইরে খাই? জানাে না কত কাজ করি আমি। ভূগােল বিষয়ে কত নতুন নতুন তত্ত নিয়ে আমি গবেষণা করছি তা যদি একটুও বুঝতে তাহলে একথা বলতে না। আর দুপুরে শুধু এক গামলা ভাত-মাছ গেলার জন্য এমন করে বলতেও না। ভূ-পৃষ্ঠের এমন বিষয় নিয়ে আমরা খেলছি ফুপু যদি সত্যি একদিন সফল হই তবে জানবে তােমার এই ভাইপােটি মরুভূমিতেও সাগরকলার বাগান রচনার কৌশল জগৎকে জানিয়ে দেবে। বুঝলে? ‘আমার আর বুঝে কাজ নেই। বরং এখন বিয়ে করে একটা বৌ এনে ঘরে তােল।
    No Specifications