Skip to Content
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা

Price:

160.00 ৳


বাংলাদেশ ২০১০
বাংলাদেশ ২০১০
160.00 ৳
200.00 ৳ (20% OFF)
বাংলাদেশঃ বামপন্থী রাজনীতি ও সাম্প্রদায়িকতা
বাংলাদেশঃ বামপন্থী রাজনীতি ও সাম্প্রদায়িকতা
144.00 ৳
180.00 ৳ (20% OFF)

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/36631/image_1920?unique=45e4992

160.00 ৳ 160.0 BDT 200.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। স্বাধীনতা আন্দোলনে ভারতের অবদান এই দুই রাষ্ট্রের সম্পর্ককে দৃঢ় ভিত্তি দিয়েছে। দীর্ঘ পাঁচ দশকে বাংলাদেশÑভারত সম্পর্ক বারবার আলোচিত হয়েছে। এক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদীর (২০১৪) সময় বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। দীর্ঘ ৪০ বছর পর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে তেমন কোন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়নি। কিন্তুু ২০০৮ সালে বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ এর নেতৃত্বে নতুন একটি সরকার গঠিত হওয়ায় এই দুই রাষ্ট্রের সম্পর্ক যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে ভারতকে এখন যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়। কিন্তুু তা সত্তে¡ও বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে বেশ কিছু সমস্যা রয়ে গেছে, যা দুটি রাষ্ট্রের সম্পর্ককে নানা প্রশ্নের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। যে সব সমস্যা দুটি রাষ্ট্রের সম্পর্ককে নতুন করে চিন্তার খোরাক যুগিয়েছে তার মাঝে অন্যতম হচ্ছে কানেকটিভিটি, অর্থাৎ বাংলাদেশ-ভারত যোগাযোগ ব্যবস্থা। এই বিষয়টিকে ভারত গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিয়েছে। যোগাযোগের প্রসার ব্যতীত অর্থনৈতিক উন্নয়ন অসম্ভব। ভারত দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগে গুরুত্ব দিচ্ছে, কিন্তুু আঞ্চলিক ও আন্ত: আঞ্চলিক যোগাযোগের যে প্রস্তাবনাগুলো (সার্ক, বিমসটেক, বিসিআইএম, এশিয়ান হাইওয়ে কর্তৃক প্রস্তাবিত রুট) রয়েছে সেগুলোতে রুট নির্ধারণে বিরোধ থাকায় বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না। স্বাধীনতার পঁচিশ বছর পর (১৯৯৬) একটি চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে গঙ্গা নদীর পানি বন্টন সমস্যার সমাধান হলেও চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ পানি পাচ্ছে না, এ ধরণের সংবাদ পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। তিস্তা নদীতে পানি বন্টন সমস্যা দিনে দিনে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। ভারতের টিপাই মুখ ড্যাম বাংলাদেশের প্রতি হুমকীস্বরূপ বলে পরিবেশবাদীরা মনে করেন। আন্ত:নদী সংযোগ প্রকল্প বাংলাদেশের নদীর পানি প্রবাহে মারাতœক প্রভাব বিস্তার করবে বলে আশংকা করা হচ্ছে। বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারতের সাথে ব্যবধান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিবেশী দেশ হিসাবে বাংলাদেশে ভারতীয় বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য নয়। শুল্ক ও অশুল্ক বাঁধাগুলো বাণিজ্য প্রসার ব্যাহত করছে। স্বাধীনতার পর পরই সীমান্তের সমস্যাগুলোর সমাধানে সীমান্ত চুক্তির উদ্যোগ নিলেও চুক্তি বাস্তবায়ন হয় ২০১৫ সালে। সমুদ্র সীমা নিয়ে ভারতের সাথে বহুদিন পূর্বের বিরোধ (জুলাই’২০১৪) সমাধান হয়ে যাওয়ায় সমুদ্র সম্পদের উপযুক্ত ব্যবহারের সম্ভাবনা বেড়েছে। যেহেতু ভারত এসব সমাধানে আঞ্চলিক সহযোগিতার পরিবর্তে দ্বিপাক্ষিকতাকে গুরুত্ব প্রদান করে, সেহেতু উপরোক্ত বিষয়গুলোতে জাতীয় স্বার্থ নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এই গ্রন্থটিতে উপরোক্ত সমস্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটণ ও সমাধানের উপায় অনুসন্ধান করা হয়েছে।

শাহরিয়ার কবির

শাহরিয়ার কবির জন্ম পুরােনাে ঢাকার ইসলামপুরে ১৯৫০ সালের ২০ নভেম্বর। পড়াশােনা করেছেন সেন্ট গ্রেগরিজ স্কুল, জগন্নাথ কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলায় স্নাতক অধ্যয়নকালে মুক্তিযুদ্ধে যােগ দেন এবং যুদ্ধের পরে দেশে ফিরে। সাংবাদিকতা শুরু করেন দৈনিক বাংলা ও সাপ্তাহিক বিচিত্রায়।। ৭৬-এ শাহরিয়ার কবির বাংলাদেশ লেখক শিবির’ এর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং তিন বছরের ভেতর এটি বাংলাদেশ লেখক ও সংস্কৃতিকর্মীদের বৃহত্তম সংগঠনে পরিণত। হয়। তখন এর সভাপতি ছিলেন ডঃ আহমদ শরীফ। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের পর জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদের সামরিক শাসনামলে ‘মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ ও আইন সাহায্য কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মানবাধিকার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। গত দুই যুগ ধরে বিভিন্ন প্রগতিশীল সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন। ও আন্দোলনের সঙ্গে তিনি যুক্ত থেকেছেন এবং বাংলাদেশের। সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠ হিসেবে। আন্দোলনে ও রচনাকর্মে নিয়ােজিত রয়েছেন। জাহানারা ইমামের মৃত্যুর পর থেকে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির হাল ধরেছেন। লেখক ও সাংবাদিক হিসেবে এশিয়া, আমেরিকা ও ইউরােপের বহু দেশ ভ্রমণ করেছেন।। ৯৮-এ তিনি আত্নপ্রকাশ করেছেন প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে। তার প্রামাণ্যচিত্র মুক্তিযুদ্ধের গান’ ও ‘ক্রাইফর জাস্টিস’ দেশে ও বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। তাঁর রচনাবলী বাংলা। একাডেমী ও শিশু একাডেমী সহ বহু প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পুরস্কৃত। স্ত্রী ডানা, কন্যা অর্পিতা ও পুত্র অর্পণকে নিয়ে তার সংসার ।

Title

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা

Author

শাহরিয়ার কবির

Publisher

Ananya

Number of Pages

130

Language

Bengali / বাংলা

First Published

FEB 2019

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। স্বাধীনতা আন্দোলনে ভারতের অবদান এই দুই রাষ্ট্রের সম্পর্ককে দৃঢ় ভিত্তি দিয়েছে। দীর্ঘ পাঁচ দশকে বাংলাদেশÑভারত সম্পর্ক বারবার আলোচিত হয়েছে। এক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদীর (২০১৪) সময় বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। দীর্ঘ ৪০ বছর পর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে তেমন কোন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়নি। কিন্তুু ২০০৮ সালে বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ এর নেতৃত্বে নতুন একটি সরকার গঠিত হওয়ায় এই দুই রাষ্ট্রের সম্পর্ক যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে ভারতকে এখন যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়। কিন্তুু তা সত্তে¡ও বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে বেশ কিছু সমস্যা রয়ে গেছে, যা দুটি রাষ্ট্রের সম্পর্ককে নানা প্রশ্নের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। যে সব সমস্যা দুটি রাষ্ট্রের সম্পর্ককে নতুন করে চিন্তার খোরাক যুগিয়েছে তার মাঝে অন্যতম হচ্ছে কানেকটিভিটি, অর্থাৎ বাংলাদেশ-ভারত যোগাযোগ ব্যবস্থা। এই বিষয়টিকে ভারত গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিয়েছে। যোগাযোগের প্রসার ব্যতীত অর্থনৈতিক উন্নয়ন অসম্ভব। ভারত দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগে গুরুত্ব দিচ্ছে, কিন্তুু আঞ্চলিক ও আন্ত: আঞ্চলিক যোগাযোগের যে প্রস্তাবনাগুলো (সার্ক, বিমসটেক, বিসিআইএম, এশিয়ান হাইওয়ে কর্তৃক প্রস্তাবিত রুট) রয়েছে সেগুলোতে রুট নির্ধারণে বিরোধ থাকায় বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না। স্বাধীনতার পঁচিশ বছর পর (১৯৯৬) একটি চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে গঙ্গা নদীর পানি বন্টন সমস্যার সমাধান হলেও চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ পানি পাচ্ছে না, এ ধরণের সংবাদ পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। তিস্তা নদীতে পানি বন্টন সমস্যা দিনে দিনে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। ভারতের টিপাই মুখ ড্যাম বাংলাদেশের প্রতি হুমকীস্বরূপ বলে পরিবেশবাদীরা মনে করেন। আন্ত:নদী সংযোগ প্রকল্প বাংলাদেশের নদীর পানি প্রবাহে মারাতœক প্রভাব বিস্তার করবে বলে আশংকা করা হচ্ছে। বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারতের সাথে ব্যবধান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিবেশী দেশ হিসাবে বাংলাদেশে ভারতীয় বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য নয়। শুল্ক ও অশুল্ক বাঁধাগুলো বাণিজ্য প্রসার ব্যাহত করছে। স্বাধীনতার পর পরই সীমান্তের সমস্যাগুলোর সমাধানে সীমান্ত চুক্তির উদ্যোগ নিলেও চুক্তি বাস্তবায়ন হয় ২০১৫ সালে। সমুদ্র সীমা নিয়ে ভারতের সাথে বহুদিন পূর্বের বিরোধ (জুলাই’২০১৪) সমাধান হয়ে যাওয়ায় সমুদ্র সম্পদের উপযুক্ত ব্যবহারের সম্ভাবনা বেড়েছে। যেহেতু ভারত এসব সমাধানে আঞ্চলিক সহযোগিতার পরিবর্তে দ্বিপাক্ষিকতাকে গুরুত্ব প্রদান করে, সেহেতু উপরোক্ত বিষয়গুলোতে জাতীয় স্বার্থ নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এই গ্রন্থটিতে উপরোক্ত সমস্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটণ ও সমাধানের উপায় অনুসন্ধান করা হয়েছে।
No Specifications