জেগে ওঠার দিনগুলি

পাকিস্তানী বর্বর শাসকদের হাত থেকে গোটা জাতিকে নতুন পথ দেখিয়েছিল—শেখ মুজিবের ৬ দফা। এর আগে গোটা বাঙালি জাতিকে জাগিয়েছিলেন—স্যার সলিমুল্লাহ, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরে-এ-বংলা এ কে ফজলুল হক ও মাওলানা ভাসানী। আর ব্রিটিশ বিরোধী সশস্ত্র বিপ্লব করেছিল ক্ষুদিরাম বসু, সূর্য সেন, বসন্তকুমার, প্রীতিলতা ওয়াদ্দাদার-এর মতো হাজারো বিপ্লবী। বর্বর শাসকদের বিরুদ্ধে বিপ্লবীদের গেরিলা যুদ্ধের পথ দেখিয়েছেন—আর্নেস্তে চে গুয়েভারা। ৪৭-এ একটি দেশ ভেঙে সৃষ্টি হলো দুটি দেশের। দেশ দুটি চলতে থাকে দু-ধারায়। একটিতে সুস্থ গণতন্ত্র, অন্যটিতে অগণতান্ত্রিক সামরিক শাসন। গায়ের জোরে পশ্চিম পাকিস্তানের শাসক শ্রেণী বাঙালিদের উপর চরম বৈষম্যের মনোভাব সেই শুরু থেকেই। আর সে কারণেই পাশ্চিমাদের সাথে নিরন্তর সংগ্রাম করে নিজেদের অধিকার আদায় করতে হয়েছে বাঙালি জাতির। শুধু বাংলাদেশেই নয়, গোটা বাঙালি জাতির অহঙ্কার- ৫২'র বাংলা ভাষা অর্জন আর ৭১ এর স্বাধীনতা। কিন্তু যে সাম্য, ন্যায়বিচার আর অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের কথা ভেবে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, উপন্যাসের চরিত্র সন্ধ্যা তার কিছুই খুঁজে পায়নি—দেশ স্বাধীন হবার পর। তাই কলকাতা থেকে বিপ্লবকে লেখা একটি চিঠিতে সন্ধ্যা প্রশ্ন করেছিল—‘শুধুই কি ধর্মের জন্য মাতৃভূমি ত্যাগ করতে হলো আমাদের, বিপ্লবদা?'