Skip to Content
সুচের ওপর হাঁটি

Price:

100.00 ৳


সুচিকিৎসা : ১ নভেম্বর ২০২০
সুচিকিৎসা : ১ নভেম্বর ২০২০
30.00 ৳
30.00 ৳
সুধীন্দ্রনাথ দত্তের সুনির্বাচিত কবিতা
সুধীন্দ্রনাথ দত্তের সুনির্বাচিত কবিতা
72.00 ৳
90.00 ৳ (20% OFF)

সুচের ওপর হাঁটি

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/44854/image_1920?unique=0ff3744

100.00 ৳ 100.0 BDT 125.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

পুরুষের কামনারাজ্যে নারী এক সােনালি। ক্ষুধার নাম, এক পত্রপুষ্প সুশােভিত গভীর। উদ্যান, তৃষ্ণা উদ্রেককারী মাংসপুঞ্জ। পুরুষময়। পৃথিবীতে নারীকে বাঁচতে হয় এক ক্ষুধার্ত জনপদে, পুরুষের খাদ্য হয়ে ওঠার ভয়কে সঙ্গী করে। ফলে নারীর কাছে পুরুষ মাংসাশী প্রাণীরূপে প্রতীয়মান হয়েছে, তার আতঙ্কিত মানসচক্ষে মাদ্রাসার গােলটুপি, সড়ক ও শপিংমল, রাত্রির পুলিশভ্যান, প্রেমিক, এমনকি রাষ্ট্রও মাংসাশী। পুরুষসভ্যতার অভব্য আচরণে, সর্বগ্রাসী ক্ষুধার আঁচড়ে ও রাষ্ট্রযন্ত্রের যাতাকলে পিষ্ট নারী তার মাংসের শত্রুতা নিয়ে ছুটছে সুচ বিছানাে রাস্তায়।। শেলী নাজ তাঁর কবিতায় পরিবার কাঠামােয় অস্তিত্ব সংকটে পীড়িত নারীর আর্তচিত্র। উন্মােচনের পাশাপাশি শােনাতে চেয়েছেন। নারীতন্ত্রের স্বতন্ত্র কণ্ঠস্বর । চির মাতমূর্তি ভেঙে তাঁর কবিতার নারী হয়ে উঠতে চেয়েছে সার্বভৌম, ক্রিয়াশীল, স্বতঃস্ফূর্ত, ট্যাবু যার হাওয়ালােভী জানালা রুখতে পারেনি, রজ্জ্ব ছিড়ে, কবাট উপড়ে যে জীবন যাপন নয়। জীবন উদযাপন করে। তিনি পাল্টে দিতে চেয়েছেন পুরুষসৃষ্ট নারীধারণা, তাঁর কবিতার ভূমণ্ডলে হরিণী শিকার নয় আবির্ভূত হয়েছে শিকারির ভূমিকায়, এখানে রাধার ষােলশ কৃষ্ণ আর পুরুষ মৎস্যরূপে ধরা পড়ে জেলেনির জালে। নানা অভিঘাত ও অভিলাষে চূর্ণবিচূর্ণ হতে হতে তাঁর কবিতায় নারীর মন ও মাংস কথা বলে উঠেছে এমন এক ভাষায়, যা শােনার জন্য এখনাে প্রস্তুত নয় পুরুষতন্ত্রের শ্রবণেন্দ্রিয়। শেলী নাজের কবিতার শরীর ছন্দময়। তাঁর। শব্দমঞ্জরি পুরুষতন্ত্রকে কেন্দ্র করে হয়ে ওঠে ঝাঁঝালাে, উদগ্র ও আক্রমণাত্মক। তাঁর। প্রকাশভঙ্গি ও বিষয়ভাবনা স্বতন্ত্র, সাবলীল ও নতুন। পুরুষের পীড়নের কথা লিখতে গিয়ে পড়েছেন পুরুষের প্রেমে, লিখেছেন প্রেমাতুর পঙক্তিগুচ্ছও।

শেলী নাজ

শেলী নাজ জন্ম : ১১ মার্চ, হবিগঞ্জে। বাবা মো. রহমত উল্লাহ, মা রহিমা খাতুন। শৈশব, কৈশোর ও তারুণ্যের উজ্জ্বল দিনগুলো কেটেছে সমুদ্রবিধৌত চট্টগ্রামে। স্কুল ও কলেজজীবন শেষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণিবিদ্যায় øাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। চাকরিজীবনে প্রবেশ সহকারী জীবাণুবিদ হিসেবে, জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে। বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে কর্মকর্তা হিসেবে ঢাকায় কর্মরত। শৈশব থেকেই লেখালেখি শুরু, মূলত কবিতা দিয়েই। প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় দৈনিক আজাদীতে। নক্ষত্র খচিত ডানায় উড্ডীন হারেমের বাঁদী প্রথম কাব্য। বিষাদ ফুঁড়ে জন্মেছি বিদ্যুৎলতা, শেকলে সমুদ্র বাজে, চর্যার অবাধ্য হরিণী, মমি ও মাধুরী এবং সব চাবি মিথ্যে বলে নামে তাঁর আরো পাঁচটি কাব্য এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। গোড়া থেকেই হাঁটতে চেয়েছেন প্রথাবিরোধী ছকে। প্রতিনিয়তই খুঁজেছেন নিজের শেকড়। তাঁর কবিতায় রয়েছে আত্মনির্ণয়ের যন্ত্রণা, বিপন্নতা, সমাজবাস্তবতায় দ্বান্দ্বিকবোধ। আর লিখতে চেয়েছেন নারীর নিজের জগৎ, নিজস্ব বোধ, সমস্যা ও উপলব্ধির কথা।

Title

সুচের ওপর হাঁটি

Author

শেলী নাজ

Publisher

Bengal Publication

Number of Pages

64

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Poems
  • First Published

    FEB 2013

    পুরুষের কামনারাজ্যে নারী এক সােনালি। ক্ষুধার নাম, এক পত্রপুষ্প সুশােভিত গভীর। উদ্যান, তৃষ্ণা উদ্রেককারী মাংসপুঞ্জ। পুরুষময়। পৃথিবীতে নারীকে বাঁচতে হয় এক ক্ষুধার্ত জনপদে, পুরুষের খাদ্য হয়ে ওঠার ভয়কে সঙ্গী করে। ফলে নারীর কাছে পুরুষ মাংসাশী প্রাণীরূপে প্রতীয়মান হয়েছে, তার আতঙ্কিত মানসচক্ষে মাদ্রাসার গােলটুপি, সড়ক ও শপিংমল, রাত্রির পুলিশভ্যান, প্রেমিক, এমনকি রাষ্ট্রও মাংসাশী। পুরুষসভ্যতার অভব্য আচরণে, সর্বগ্রাসী ক্ষুধার আঁচড়ে ও রাষ্ট্রযন্ত্রের যাতাকলে পিষ্ট নারী তার মাংসের শত্রুতা নিয়ে ছুটছে সুচ বিছানাে রাস্তায়।। শেলী নাজ তাঁর কবিতায় পরিবার কাঠামােয় অস্তিত্ব সংকটে পীড়িত নারীর আর্তচিত্র। উন্মােচনের পাশাপাশি শােনাতে চেয়েছেন। নারীতন্ত্রের স্বতন্ত্র কণ্ঠস্বর । চির মাতমূর্তি ভেঙে তাঁর কবিতার নারী হয়ে উঠতে চেয়েছে সার্বভৌম, ক্রিয়াশীল, স্বতঃস্ফূর্ত, ট্যাবু যার হাওয়ালােভী জানালা রুখতে পারেনি, রজ্জ্ব ছিড়ে, কবাট উপড়ে যে জীবন যাপন নয়। জীবন উদযাপন করে। তিনি পাল্টে দিতে চেয়েছেন পুরুষসৃষ্ট নারীধারণা, তাঁর কবিতার ভূমণ্ডলে হরিণী শিকার নয় আবির্ভূত হয়েছে শিকারির ভূমিকায়, এখানে রাধার ষােলশ কৃষ্ণ আর পুরুষ মৎস্যরূপে ধরা পড়ে জেলেনির জালে। নানা অভিঘাত ও অভিলাষে চূর্ণবিচূর্ণ হতে হতে তাঁর কবিতায় নারীর মন ও মাংস কথা বলে উঠেছে এমন এক ভাষায়, যা শােনার জন্য এখনাে প্রস্তুত নয় পুরুষতন্ত্রের শ্রবণেন্দ্রিয়। শেলী নাজের কবিতার শরীর ছন্দময়। তাঁর। শব্দমঞ্জরি পুরুষতন্ত্রকে কেন্দ্র করে হয়ে ওঠে ঝাঁঝালাে, উদগ্র ও আক্রমণাত্মক। তাঁর। প্রকাশভঙ্গি ও বিষয়ভাবনা স্বতন্ত্র, সাবলীল ও নতুন। পুরুষের পীড়নের কথা লিখতে গিয়ে পড়েছেন পুরুষের প্রেমে, লিখেছেন প্রেমাতুর পঙক্তিগুচ্ছও।
    No Specifications