Skip to Content
সংস্কৃতি কথা (ভাষাপ্রকাশ)

Price:

280.00 ৳


সংস্কৃতি কথা (কালিকলম)
সংস্কৃতি কথা (কালিকলম)
224.00 ৳
280.00 ৳ (20% OFF)
সংস্কৃতি ভাবনা
সংস্কৃতি ভাবনা
260.00 ৳
325.00 ৳ (20% OFF)

সংস্কৃতি কথা (ভাষাপ্রকাশ)

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/28924/image_1920?unique=5b478ad

280.00 ৳ 280.0 BDT 350.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

ধর্ম ও সংস্কৃতি কখনো পরিপূরক, কখনো আলাদা—এই দ্বৈতদর্শনকে মোতাহের হোসেন চৌধুরী দেখেছেন অনন্য চোখে। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি যে তৎসমাজেই যথাযথ ছিল এমন নয়, বরং এখনও পুরোপুরি প্রাসঙ্গিক । বলা যায়, চিরায়ত চিন্তার যে দর্শন, সেই রূপরেখা রয়েছে তাঁর এই ভাবনায় । ধর্মকে তিনি সাধারণ লোকের কালচার বলেছেন; পাশাপাশি কালচারকে বলেছেন শিক্ষিত তথা মার্জিত লোকের ধর্ম। মানবজীবনের যে চেতনসৌন্দর্য, ভেতরের যে নিবেদিত ঐশ্বর্য—প্রেম ও আনন্দ, সেগুলোকে নিয়ে গেছেন মূলত সব মানুষের কাছে। শিক্ষিত মানুষ এগুলোকে যেমন তার চলতিসংস্কৃতির মধ্যে পেয়ে থাকেন, তেমনি সাধারণ মানুষ পেয়ে থাকেন ধর্ম থেকে । তাই লেখক বলেছেন, সাধারণকে ধর্ম থেকে বঞ্চিত করার মানেটা দাঁড়ায় তাঁকে সংস্কৃতি থেকে বঞ্চিত করা। সমাজে কে কীভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়? মানে একজন সাধারণ মানুষ কী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত? ধর্মই তাকে নিয়ন্ত্রণ করে । লেখক বলতে চেয়েছেন বাইরের আদেশই তাদের পরিচালিত করে। কিন্তু শিক্ষিত মার্জিতদের জন্য বাইরের আদেশ প্রয়োজন হয় না। তাদের ভেতর যে নন্দনালোক থাকে সেটা দ্বারাই তারা পরিচালিত হতে পারেন। শিক্ষিতরা সংস্কৃতিটা নিজের ভেতর বহন করেন। আর সাধারণগণ বহির্য়াদেশ দ্বারা আত্মাকে অনিন্দ্য করে তোলেন। দুটোকে তিনি একটি মাত্রায় এনে যে এক আত্মদর্শন তৈরি করেছেন, সেটি এই ভূখণ্ডের মানুষদের কাছে আজও জীবনদর্শন হিসেবেই পরিগণিত, মানুষকে ভেতর থেকে সুন্দর করে তোলারই যথার্থ পরিক্রমা।

মোতাহের হোসেন চৌধুরী

মােতাহের হােসেন চৌধুরী (১৯০৩-১৯৫৬) জীবদ্দশায় পরিচিত মণ্ডলে এবং সাধারণ পাঠকদের মধ্যে বিশেষ শ্রদ্ধাভাজন ছিলেন। সমাজ ও রাষ্ট্রের যদি নূন্যতম আনুকূল্য পেতেন তা হলে জীবৎকালেই তাঁর দু’চারটি বই প্রকাশিত হতাে। অতীব দুঃখের বিষয় মৃত্যুকালে তার কোনাে প্রকাশিত গ্রন্থ ছিল না। সাহিত্যজীবনের নানা পর্যায়ে মােতাহের হােসেন চৌধুরী একাধিক নামে পত্রপত্রিকায় লিখেছেন, যেমন- মােতাহের হােসেন বি. এ, সৈয়দ মােতাহের হােসেন চৌধুরী বি.এ, মােতাহের হােসেন চৌধুরী এম. এ, মােতাহের হােসেন। চৌধুরী প্রভৃতি। শেষ জীবনে শুধু মােতাহের হােসেন চৌধুরীই লিখতেন। চাকরি-বাকরিসংক্রান্ত ও ব্যক্তিগত কোনাে প্রয়ােজনে তিনি তাঁর পিতৃদত্ত নাম সৈয়দ মােতাহের হােসেন চৌধুরী লিখতেন। তার পৈত্রিক বাড়ি নােয়াখালী জেলার রামগঞ্জ থানার কাঞ্চনপুর গ্রামে। পিতা সৈয়দ আবদুল মজিদ চৌধুরী ছিলেন একজন সাব-রেজিস্ট্রার। খ্রিস্টীয়-ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক যুগে এটি ছিল সম্মানজনক চাকরি । তাদের পারিবারিক সূত্র থেকে জানা যায়, ফিরােজ শাহের রাজত্বকালে শাহ সৈয়দ আহমদ তনুরী ওরফে শাহ মিরান নামে একজন সুফি সাধক ইরাক থেকে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে এই উপমহাদেশে আসেন। মােতাহের হােসেনের মাতামহ মৌলবী আশরাফ উদ্দিন আহমদের বাসভবন ছিল কুমিল্লা শহরের ‘দারােগা-বাড়ি'। এই দারােগা-বাড়িতেই মােতাহের হােসেনের জন্ম। তাঁর নিজের হাতে লেখা পুরনাে কাগজপত্র দেখে প্রবন্ধ-সমগ্রের সম্পাদক সৈয়দ আবুল মকসুদ প্রমাণ পেয়েছেন তাঁর জন্মতারিখ : ১ এপ্রিল ১৯০৩।

Title

সংস্কৃতি কথা (ভাষাপ্রকাশ)

Author

মোতাহের হোসেন চৌধুরী

Publisher

Bhashaprokash

Number of Pages

285

Language

Bengali / বাংলা

First Published

FEB 2022

ধর্ম ও সংস্কৃতি কখনো পরিপূরক, কখনো আলাদা—এই দ্বৈতদর্শনকে মোতাহের হোসেন চৌধুরী দেখেছেন অনন্য চোখে। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি যে তৎসমাজেই যথাযথ ছিল এমন নয়, বরং এখনও পুরোপুরি প্রাসঙ্গিক । বলা যায়, চিরায়ত চিন্তার যে দর্শন, সেই রূপরেখা রয়েছে তাঁর এই ভাবনায় । ধর্মকে তিনি সাধারণ লোকের কালচার বলেছেন; পাশাপাশি কালচারকে বলেছেন শিক্ষিত তথা মার্জিত লোকের ধর্ম। মানবজীবনের যে চেতনসৌন্দর্য, ভেতরের যে নিবেদিত ঐশ্বর্য—প্রেম ও আনন্দ, সেগুলোকে নিয়ে গেছেন মূলত সব মানুষের কাছে। শিক্ষিত মানুষ এগুলোকে যেমন তার চলতিসংস্কৃতির মধ্যে পেয়ে থাকেন, তেমনি সাধারণ মানুষ পেয়ে থাকেন ধর্ম থেকে । তাই লেখক বলেছেন, সাধারণকে ধর্ম থেকে বঞ্চিত করার মানেটা দাঁড়ায় তাঁকে সংস্কৃতি থেকে বঞ্চিত করা। সমাজে কে কীভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়? মানে একজন সাধারণ মানুষ কী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত? ধর্মই তাকে নিয়ন্ত্রণ করে । লেখক বলতে চেয়েছেন বাইরের আদেশই তাদের পরিচালিত করে। কিন্তু শিক্ষিত মার্জিতদের জন্য বাইরের আদেশ প্রয়োজন হয় না। তাদের ভেতর যে নন্দনালোক থাকে সেটা দ্বারাই তারা পরিচালিত হতে পারেন। শিক্ষিতরা সংস্কৃতিটা নিজের ভেতর বহন করেন। আর সাধারণগণ বহির্য়াদেশ দ্বারা আত্মাকে অনিন্দ্য করে তোলেন। দুটোকে তিনি একটি মাত্রায় এনে যে এক আত্মদর্শন তৈরি করেছেন, সেটি এই ভূখণ্ডের মানুষদের কাছে আজও জীবনদর্শন হিসেবেই পরিগণিত, মানুষকে ভেতর থেকে সুন্দর করে তোলারই যথার্থ পরিক্রমা।
No Specifications