Skip to Content
মুক্তিযুদ্ধের রচনাসমগ্র

Price:

1,500.00 ৳


Atomic Habits by James Clear
Atomic Habits by James Clear
1,798.00 ৳
1,798.00 ৳
Hercule Poirot : The Complete Short Stories
Hercule Poirot : The Complete Short Stories
2,100.00 ৳
2,100.00 ৳

মুক্তিযুদ্ধের রচনাসমগ্র

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/3043/image_1920?unique=f760e98

1,500.00 ৳ 1500.0 BDT 1,500.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

একাত্তরে আমাদের বীর মুক্তিযােদ্ধারা যখন দেশের ভেতরে অস্ত্র হাতে শত্রুর মােকাবিলা করছেন, ঠিক সে সময়ই প্রবাসী বাঙালিরা বিদেশে আমাদের। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আরেক রণাঙ্গন খুলেছিলেন বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি শাসকদের দীর্ঘ শােষণ-নির্যাতন, বিশেষ করে ২৫ মার্চ থেকে চলা গণহত্যা সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে অবহিত করা, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন এবং আর্থিক ও কূটনৈতিক সমর্থন-সহায়তা সংগ্রহই ছিল তাঁদের সে লড়াইয়ের লক্ষ্য। আর সে লড়াইয়ের। অগ্রসেনানীদের একজন ছিলেন আবুল মাল। আবদুল মুহিত সবাই জানেন ১৯৭১এ। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় মুরুব্বি ছিল যুক্তরাষ্ট্র। আর সেই যুক্তরাষ্ট্রেরই পাকিস্তান দূতাবাসে কর্মরত থাকা অবস্থায় পক্ষ ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের ব্যাপারটি তাঁর ও তাঁর সহকর্মীদের জন্য খুব সহজ কিংবা সাধারণ ব্যাপার ছিল না। এর জন্য রাজনৈতিক সচেতনতা ও দূরদর্শিতা, অসমসাহস ও দৃঢ় মনােবলের প্রয়ােজন ছিল সেদিন তাঁরা যার পরিচয় দিয়েছিলেন। বাঙালির জাতিরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়। ছিল ইতিহাসের অনিবার্যতা। তারপরেও বিনা। ত্যাগে এই স্বাধীনতা অর্জিত হয় নি। দীর্ঘ। লড়াই-সংগ্রামের পথ বেয়ে ও রক্তের সাগর পাড়ি দিয়ে আমাদেরকে এই গন্তব্যে পৌঁছতে হয়েছে আবার এই চলার পথই নতুন এই রাষ্ট্রটির ভবিষ্যৎ গতিপথও নির্ধারণ করে দিয়েছে। তা পরবর্তীকালে তাতে সাময়িক যতাে ব্যাঘাত-বিপর্যয় বা ছন্দপতনই ঘটুক না কেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসে তাঁদের সংগ্রামের স্মৃতি, মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক পটভূমি এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের চলার পথ নির্মাণে তার তাৎপর্যের মতাে বিষয়গুলাে সবিস্তারে উঠে এসেছে লেখকের মুক্তিযুদ্ধের রচনাসমগ্র বইটিতে পাঠককে যা শুধু জানাবেই না, একইসঙ্গে ভাবাবেও।

আবুল মাল আবদুল মুহিত

আবুল মাল আবদুল মুহিত (জন্ম: ২৫ জানুয়ারি, ১৯৩৪) একজন খ্যাতনামা বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, লেখক এবং ভাষাসৈনিক। এছাড়াও তিনি ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।আবুল মাল আবদুল মুহিত ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে সিলেটের এমসি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে ঐ বিষয়ে প্রথম শ্রেণী পেয়ে কৃতকার্য হন এবং একই বিষয়ে ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। বিদেশে চাকুরীরত অবস্থায় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন তিনি। অতঃপর ১৯৬৩-৬৪ শিক্ষাবর্ষে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমপিএ ডিগ্রী লাভ করেন। পাকিস্তান সিভিল সার্ভিস সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব হিসেবে ছিলেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। ১৯৬০ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্বে ছিলেন। অর্থনৈতিক পরামর্শক হিসেবে ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৎকালীন পাকিস্তান দূতাবাসে যোগদান করেছিলেন। চাকুরীরত অবস্থায় পাকিস্তান কর্মপরিকল্পনা কমিশনের প্রধান ও উপ-সচিব ছিলেন। ঐ সময় তিনি পূর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্তানের বৈষম্য প্রতিবেদন আকারে তুলে ধরেন ও পাকিস্তান জাতীয় কংগ্রেসে পেশ করেন। পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে পরিকল্পনা কমিশনের সচিব হিসেবে নিযুক্ত হন। এছাড়াও, ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বহিঃসম্পদ বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মুহিত। বাংলাদেশ থেকে এসকাপের প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে দায়িত্বপালন করেন আবুল মাল আবদুল মুহিত আবুল মাল আবদুল মুহিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহা ঐক্যজোটের মনোনয়নে সিলেট-১ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে প্রার্থী হন। ঐ নির্বাচনে জনতার রায়ে তিনি 'সংসদ সদস্য' হিসেবে নির্বাচিত হন। ৬ জানুয়ারী, ২০০৯ তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রী হিসেবে শপথ বাক্য পাঠ করেন। তিনি বহু গ্রন্থের লেখক। তিনি বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় লিখে থাকেন।

Title

মুক্তিযুদ্ধের রচনাসমগ্র

Author

আবুল মাল আবদুল মুহিত

Publisher

Mowla Brothers

Number of Pages

575

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Liberation War
  • First Published

    FEB 2017

    একাত্তরে আমাদের বীর মুক্তিযােদ্ধারা যখন দেশের ভেতরে অস্ত্র হাতে শত্রুর মােকাবিলা করছেন, ঠিক সে সময়ই প্রবাসী বাঙালিরা বিদেশে আমাদের। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আরেক রণাঙ্গন খুলেছিলেন বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি শাসকদের দীর্ঘ শােষণ-নির্যাতন, বিশেষ করে ২৫ মার্চ থেকে চলা গণহত্যা সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে অবহিত করা, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন এবং আর্থিক ও কূটনৈতিক সমর্থন-সহায়তা সংগ্রহই ছিল তাঁদের সে লড়াইয়ের লক্ষ্য। আর সে লড়াইয়ের। অগ্রসেনানীদের একজন ছিলেন আবুল মাল। আবদুল মুহিত সবাই জানেন ১৯৭১এ। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় মুরুব্বি ছিল যুক্তরাষ্ট্র। আর সেই যুক্তরাষ্ট্রেরই পাকিস্তান দূতাবাসে কর্মরত থাকা অবস্থায় পক্ষ ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের ব্যাপারটি তাঁর ও তাঁর সহকর্মীদের জন্য খুব সহজ কিংবা সাধারণ ব্যাপার ছিল না। এর জন্য রাজনৈতিক সচেতনতা ও দূরদর্শিতা, অসমসাহস ও দৃঢ় মনােবলের প্রয়ােজন ছিল সেদিন তাঁরা যার পরিচয় দিয়েছিলেন। বাঙালির জাতিরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়। ছিল ইতিহাসের অনিবার্যতা। তারপরেও বিনা। ত্যাগে এই স্বাধীনতা অর্জিত হয় নি। দীর্ঘ। লড়াই-সংগ্রামের পথ বেয়ে ও রক্তের সাগর পাড়ি দিয়ে আমাদেরকে এই গন্তব্যে পৌঁছতে হয়েছে আবার এই চলার পথই নতুন এই রাষ্ট্রটির ভবিষ্যৎ গতিপথও নির্ধারণ করে দিয়েছে। তা পরবর্তীকালে তাতে সাময়িক যতাে ব্যাঘাত-বিপর্যয় বা ছন্দপতনই ঘটুক না কেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসে তাঁদের সংগ্রামের স্মৃতি, মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক পটভূমি এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের চলার পথ নির্মাণে তার তাৎপর্যের মতাে বিষয়গুলাে সবিস্তারে উঠে এসেছে লেখকের মুক্তিযুদ্ধের রচনাসমগ্র বইটিতে পাঠককে যা শুধু জানাবেই না, একইসঙ্গে ভাবাবেও।
    No Specifications