নিঃশ্বাসে বিশ্বাসে

ওর সদ্য গোঁফ গজানাের বয়স থেকেই আমাদের পরিচয়। অসাধারণ প্রাণশক্তি আর অমিত তেজের তরুণ। তখনকার বাংলাদেশ আর আজকের বাস্তবতায় অনেক ব্যবধান। তখন একদিকে যেমন বঙ্গবন্ধুকে মর্যাদায় ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম আরেকদিকে চোখে সাম্যবাদের সমাজতন্ত্রের স্বপ্ন। এই যুবক কীভাবে এবং কতােভাবে যে সেকাজে আত্মনিয়ােগ করেছিল তা এক ইতিহাস। দিন নাই রাত নাই রােদে পুডে জলে ভিজে বিপদ মাথায় নিয়ে সমাজতন্ত্রের স্বপ্ন ফেরী করলেও ছড়া লেখা ছাড়েনি। নিয়মিত ছড়া লেখায় তার সহযােদ্ধা ছিলাে টগবগে যুবক আবদেল মান্নান আর সন্তোষ বড়ুয়া। ভাগ্য অথবা সময়ের আবর্তে মান্নান এখন সুফিসাধক। আর সন্তোষ প্রবাসী। দেশের মাটি আঁকড়ে পড়ে থাকা আমাদের প্রিয় যুবকটি এখনাে সমানতালে লিখে চলেছে। তার সবচেয়ে বড় সম্পদ চটজলদি ছন্দ মিলিয়ে লেখার ক্ষমতা। সামাজিক মিডিয়ায় বিশেষত ফেইসবুকে ক্রিকেট খেলার আপডেট আমি তার ছড়াতেই পেয়ে যাই। বাংলাদেশ যেদিন খেলে সেদিন তার ছড়াই বলে দেয় কি হচ্ছে। চটজলদি লেখার কিছু বিপদ বাধাও আছে বৈকি। প্রথমত এগুলাে সময়ের চাহিদা মিটিয়ে ফুরিয়ে যায় । তারপরে আছে বহুপ্রজ হবার আশংকা। তবে তার বেলায় একটা আশাবাদ এই- ও জানে কোন সময়ে সরে দাড়াতে হয়। ব্যক্তিজীবনে অধ্যাপনার পর সরকারি গুরুদায়িত্বে থেকেও লিখে চলেছে অবিরাম। যে বিষয়টি আমি বলবাে এমন চলমান মানুহকে ভালােবাসার বিকল্প নাই। আমাদের ভেতর অনেকেই পাছে লােকে কিছু বলার ভয় আর আত্মগর্বের কারণে দর্শকের ভূমিকায় থাকতে পছন্দ করি। কিন্তু ও তা করে না। সবসময় মুখর আর সৃষ্টিশীল। হঠাৎ করে জানালাে তার একখানা ছড়ার বইয়ের কাজ প্রায় শেষ। নিঃশ্বাসে বিশ্বাসে' নামের এই ছড়া পুস্তকের ভূমিকা লেখার জন্য অনুরােধ পেয়ে আমি বিস্মিত ও আপ্লুত হয়েছি।"se" **