বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ : ইতিহাস ও তত্ত্ব খন্ড ২

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। মঞ্চের সামনে উত্তাল জনসমুদ্র। গণমানুষের শােষণমুক্তির। স্বপ্নচারী-সংগ্রামী-সাহসী নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছরের বাঙালির পায়ের শিকল ভাঙার এক সুললিত মহাকাব্যিক অভিব্যক্তি প্রকাশ করলেন। আন্তঃশাস্ত্রীয় গুণের আলােকে সেই মহাকাব্যের ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন-দেশের প্রায় ৫০ জন সমাজচিন্তক পণ্ডিত-গবেষক-অধ্যাপকরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক-কলামিস্ট। এই গ্রন্থধৃত প্রতিটি রচনার ভেতর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের অন্তর্গত ইতিহাস চেতনা, হাজার বছরের। বাঙালি জাতির জীবন সংগ্রাম ও পার্থিব অভিযাত্রার কথা বর্ণনা করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণে সামষ্টিক চিন্তা, দেশপ্রেম, সমাজের মঙ্গলচিন্তা এবং শ্রেণিচেতনাজাত দ্বান্দ্বিকতার সম্মিলিত ব্যাখ্যার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। বাঙালির মুক্তির মহাসনদ এ ভাষণ। এ ভাষণ একই সঙ্গে, শৈল্পিক-নান্দনিক ও বিপ্লবের ঘােষণা এবং সেই সঙ্গে বাঙালি সংস্কৃতি ও বাংলার লােকদর্শনজাত মানবিকতার আকর। আমরা প্রত্যাশা করবাে এই গ্রন্থ প্রকাশের পর প্রাচীন-প্রবীণের পাশাপাশি আরাে নতুন নতুন ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ নিয়ে নতুন-প্রজন্ম এ ভাষণের বিশ্বজনীন গবেষণায় এগিয়ে আসবেন-বাঙালি মাত্রেই এই ভাষণের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবেন-সবার আগ্রহ, উদ্দীপনা ও মঙ্গল কামনায়।