মেকং পাড়ের মন্দির-মুগ্ধ লোকালয়ে

চারটি ভিন্ন ভিন্ন দেশ তথা— লাওস, ভিয়েতনাম, কম্বােডিয়া ও থাইল্যান্ডের প্রেক্ষাপটে নির্মিত উনিশটি ভ্রমণগল্পে লেখক সপরিবারে বসবাসের অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিশিয়েছেন তাঁর সাংস্কৃতিক পর্যবেক্ষণ। ভ্রমণ। বৃত্তান্তের সূত্রপাত হয় ভিয়েনচান নগরীতে বসবাস ও অন্ধ স্কুলের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার ভেতর। দিয়ে। লেখক অতঃপর পাঠককে নিয়ে যান বাংবিয়াং এর শিলাপাহাড়ে জলমগ্ন একটি গুহায়। ছােট্ট একটি শিশুকন্যাসহ ঘুরে বেড়ান লুয়াং প্রাবাং এর রাজপ্রাসাদে। অন্য এপিসােডে ওঠে আসে প্রত্যন্ত অঞ্চলের আদিবাসী জনগােষ্ঠির দিনযাপনের পুঙ্খানুপুঙ্খ খতিয়ান। ভিয়েতনামের ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতিবাদে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর অগ্নিতি বা হ্যানয়ের ফরাসি কুটিবাড়ির আঙিনায় আধেক অন্ধ ও নির্বাক। নারীর সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার বিবরণ পাঠককে উদ্বুদ্ধ করে। নীরব প্রতিফলনে। মন্দিরকেন্দ্রিক বৌদ্ধ ধর্মের। রীতি-রিচ্যুয়েলের বয়ানে প্রতিফলিত হয় জনগােষ্ঠির বিশ্বাস ও বাসনা। লেখক কুশলী হাতে কোনও আলেখ্যে আঁকেন নগরীর আর্বাণ দৃশ্যপট, আবার। কোনও কোনও নকশায় চিত্রিত করেন জলবেদেদের নৌকাভিত্তিক জীবনযাপন। কখনাে দূর থেকে। অবলােকন করেন নমপেনের নৌকা বাইচ, কখনাে বা পাঠককে সঙ্গী করে ঘুরে বেড়ান আন্দামান সমুদ্রের। লােনাজলে ভাসমান পল্লীতে। চিয়াংমাইতে বৃদ্ধা এক রাজকুমারীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের ঘটনাও সৃষ্টি করে বিষয়বস্তুতে বিচিত্র মাত্রা।