Skip to Content
অঞ্জনাঢ্য গান

Price:

720.00 ৳


Nani A. Palkhivala : A Life
Nani A. Palkhivala : A Life
1,200.00 ৳
1,200.00 ৳
ব্ঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা : হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায়
ব্ঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা : হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায়
700.00 ৳
700.00 ৳

অঞ্জনাঢ্য গান

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/11469/image_1920?unique=a7f63ea

720.00 ৳ 720.0 BDT 720.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

'পাড়ায় ঢুকলে ঠ্যাং খোড়া করে দেব'- কথাটা শুনলেই মনের মধ্যে কেমন যেন একটা অনভ্যস্থ অনুভূতি জেঁকে বসে। এটা অঞ্জন দত্তর তুমুল জনপ্রিয় গান। অঞ্জন দত্তর ভাষ্যমতে, 'সাম্প্রদায়িক ইস্যু নিয়ে একটা গান, অথচ লোকে ধেই ধেই করে নাচে। আনন্দ করে।' অঞ্জন দত্তর গানের নিগূঢ় নির্যাস এখানেই। একটা গান হচ্ছে টেলিফোন কলে। গানটা যখন লেখা হয়েছে তখন ল্যান্ডফোনের সেই মান্ধাতার আমল। কিন্তু বোতাম টিপে বিশ্বভ্রমণের যুগেও এই গানের আবেদনে একরত্তি ভাটা পড়েনি। কনসার্টে অঞ্জন যখন গেয়ে ওঠেন, 'এটা কি টু ফোর ফোর ওয়ান ওয়ান থ্রি নাইন', মুহূর্তেই সেটা জনসমুদ্রের কোরাস-বাষ্পে পরিণত হয়। হাতের মোবাইল শূন্যে উঁচিয়ে স্থিরচঞ্চল বেগে আরম্ভ হয় পুরনো অঞ্জনের নতুন দৃশ্যধারণ।' তখন অঞ্জন হয়ে ওঠেন আজকের। এই সময়ের। চূড়ান্ত সমকালীন। এই সমকাল-প্রাসঙ্গিকতাই অঞ্জন দত্তর জাত্যাভিমান কিম্বা কৌলিন্যের আমূলরহস্য। উন্মাতাল মধ্যযৌবনে অঞ্জন অবলীলায় গানের মধ্যে বলে দিলেন, 'আমার রাস্তা হাঁটে, আমি হাঁটি না।' সেই গানেই আরেকটা লাইন, 'আমার বয়েস বাড়ে আমি বাড়ি না।'' এটাই অঞ্জন। তিনি, তাঁর গানের শ্রোতা সেই পনের-কুড়িতেই আঁকড়ে পড়ে আছে। হয়তো একদিন বাবাটা শুনেছিল, আজকে ছেলেটা শুনছে। আর অঞ্জনের বুড়ো গিটার আরও অঞ্জনাঢ্য হয়ে উঠছে। অঞ্জন দত্ত তাঁর গানে সেই স্মৃতিশোভিত দার্জিলিং, এই পুরনো কলকাতা, এই বাস-ট্রাম-ফেরিওলা, পার্ক স্ট্রীট, এন্টালি মার্কেট, ডক্টর লেনের ঘুপচি গলি, নোনাধরা মলিন একটা বাড়ির অনেক-অনেক দুঃখকে নিয়ে এসেছেন চরিত্রের ভিতর দিয়ে।' তুমুল আত্মোৎকর্ষ ব্যঞ্জনায় এখানে দোল খায় অঞ্জনের বিমূর্ত নস্টালজিয়া। কিন্তু এই দুঃখগুলোকে কোথাও গিয়ে তিনি সেলিব্রেট করেন।' অঞ্জন নিজেই একটা মুসলমান বাচ্চাছেলে হয়ে পড়ছে জবড়জং আলোকসজ্জাময় পুজো নয়; ক্রিসমাসের দিনে। সেখানে ছেলেটি আলীবাবা। সে চারটা মুরগি ছাড়িয়ে একটা টাকা পায়। অঞ্জন সেই ছেলেটি হয়েই বলছে, 'স্বপ্ন দেখি ঘুড়ি ওড়াই কালো আকাশে।'' অঞ্জনের প্রত্যেকটা গান অঞ্জনের জীবনের অমূল্য সম্পদ। অঞ্জন দত্ত এক সময় পত্রিকায় সাংবাদিকতা করতেন। গল্প বলার ভূত তাঁর কাঁধে চেপে বসে আছে জীবনভর। বড়দিনের কলকাতাকে নিয়ে রিপোর্ট; তাতে শিশুশ্রম বলে এই ছেলেটার প্রতিবেদন ছাপতে দিল না দপ্তরপ্রধান। অঞ্জনের তাতে মন খারাপ হয়েছিল। সেই মন খারাপের সাদাপাখিটাই পরে গান হয়ে গেছে।

Title

অঞ্জনাঢ্য গান

Publisher

Chapakhana Prokashoni

Number of Pages

203

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Songs
  • Essays
  • First Published

    MAR 2023

    'পাড়ায় ঢুকলে ঠ্যাং খোড়া করে দেব'- কথাটা শুনলেই মনের মধ্যে কেমন যেন একটা অনভ্যস্থ অনুভূতি জেঁকে বসে। এটা অঞ্জন দত্তর তুমুল জনপ্রিয় গান। অঞ্জন দত্তর ভাষ্যমতে, 'সাম্প্রদায়িক ইস্যু নিয়ে একটা গান, অথচ লোকে ধেই ধেই করে নাচে। আনন্দ করে।' অঞ্জন দত্তর গানের নিগূঢ় নির্যাস এখানেই। একটা গান হচ্ছে টেলিফোন কলে। গানটা যখন লেখা হয়েছে তখন ল্যান্ডফোনের সেই মান্ধাতার আমল। কিন্তু বোতাম টিপে বিশ্বভ্রমণের যুগেও এই গানের আবেদনে একরত্তি ভাটা পড়েনি। কনসার্টে অঞ্জন যখন গেয়ে ওঠেন, 'এটা কি টু ফোর ফোর ওয়ান ওয়ান থ্রি নাইন', মুহূর্তেই সেটা জনসমুদ্রের কোরাস-বাষ্পে পরিণত হয়। হাতের মোবাইল শূন্যে উঁচিয়ে স্থিরচঞ্চল বেগে আরম্ভ হয় পুরনো অঞ্জনের নতুন দৃশ্যধারণ।' তখন অঞ্জন হয়ে ওঠেন আজকের। এই সময়ের। চূড়ান্ত সমকালীন। এই সমকাল-প্রাসঙ্গিকতাই অঞ্জন দত্তর জাত্যাভিমান কিম্বা কৌলিন্যের আমূলরহস্য। উন্মাতাল মধ্যযৌবনে অঞ্জন অবলীলায় গানের মধ্যে বলে দিলেন, 'আমার রাস্তা হাঁটে, আমি হাঁটি না।' সেই গানেই আরেকটা লাইন, 'আমার বয়েস বাড়ে আমি বাড়ি না।'' এটাই অঞ্জন। তিনি, তাঁর গানের শ্রোতা সেই পনের-কুড়িতেই আঁকড়ে পড়ে আছে। হয়তো একদিন বাবাটা শুনেছিল, আজকে ছেলেটা শুনছে। আর অঞ্জনের বুড়ো গিটার আরও অঞ্জনাঢ্য হয়ে উঠছে। অঞ্জন দত্ত তাঁর গানে সেই স্মৃতিশোভিত দার্জিলিং, এই পুরনো কলকাতা, এই বাস-ট্রাম-ফেরিওলা, পার্ক স্ট্রীট, এন্টালি মার্কেট, ডক্টর লেনের ঘুপচি গলি, নোনাধরা মলিন একটা বাড়ির অনেক-অনেক দুঃখকে নিয়ে এসেছেন চরিত্রের ভিতর দিয়ে।' তুমুল আত্মোৎকর্ষ ব্যঞ্জনায় এখানে দোল খায় অঞ্জনের বিমূর্ত নস্টালজিয়া। কিন্তু এই দুঃখগুলোকে কোথাও গিয়ে তিনি সেলিব্রেট করেন।' অঞ্জন নিজেই একটা মুসলমান বাচ্চাছেলে হয়ে পড়ছে জবড়জং আলোকসজ্জাময় পুজো নয়; ক্রিসমাসের দিনে। সেখানে ছেলেটি আলীবাবা। সে চারটা মুরগি ছাড়িয়ে একটা টাকা পায়। অঞ্জন সেই ছেলেটি হয়েই বলছে, 'স্বপ্ন দেখি ঘুড়ি ওড়াই কালো আকাশে।'' অঞ্জনের প্রত্যেকটা গান অঞ্জনের জীবনের অমূল্য সম্পদ। অঞ্জন দত্ত এক সময় পত্রিকায় সাংবাদিকতা করতেন। গল্প বলার ভূত তাঁর কাঁধে চেপে বসে আছে জীবনভর। বড়দিনের কলকাতাকে নিয়ে রিপোর্ট; তাতে শিশুশ্রম বলে এই ছেলেটার প্রতিবেদন ছাপতে দিল না দপ্তরপ্রধান। অঞ্জনের তাতে মন খারাপ হয়েছিল। সেই মন খারাপের সাদাপাখিটাই পরে গান হয়ে গেছে।
    No Specifications