Skip to Content
খাঁচা

Price:

180.00 ৳


ভয়ানক দুঃস্বপ্ন
ভয়ানক দুঃস্বপ্ন
108.00 ৳
135.00 ৳ (20% OFF)
খাঁচাবন্দি মানুষেরা
খাঁচাবন্দি মানুষেরা
200.00 ৳
250.00 ৳ (20% OFF)

খাঁচা

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/33278/image_1920?unique=45e4992

180.00 ৳ 180.0 BDT 225.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

আমরা সবাই সংসার নামক এক মায়াবী খাঁচায় বন্দী । এই বন্দিত্ব কাঙ্ক্ষিত , কার্যত সুখের, যদি কার্যকর থাকে এর অন্তঃস্থ আবেগ অনুভূতি ও মর্যাদার উপাদান সমূহ এবং পারস্পরিক নির্ভরতা ভারসাম্যপূর্ণ আচরণ দ্বারা হয় সংস্থিত । এতই সূক্ষাতিসূক্ষ সংবেদনশীল সূতায় নির্মিত এই খাঁচা যে, উপলব্ধিতে ও জীবনাচরণে যখনই এর ব্যত্যয় ঘটে, অনাকাঙ্ক্ষিত হৃদয়স্পর্শী দুঃখজনক কিছু ঘটে যেতে বাধ্য । তখন আর করার কিছুই থাকে না, নিয়তি তাকে নিয়ন্ত্রন করে। সমাজান্তৰ্গত মানুষের এইসব জীবন সংলগ্ন আলেখ্য নিয়েই উপন্যাস “খাঁচা” । নারী চরিত্র প্রধান এই উপন্যাসে আমাদের চিরন্তন সমাজ ব্যবস্থার কারণে বিয়ে নামক বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে একজন নারীর বদলে যাওয়া জীবনচিত্রের পায়ে শিকল পরিয়ে দেয় সংসার নামক খাঁচা। একদিকে নারীর নিজের মনে ডানা মেলে উড়ার স্বপ্ন আর অন্যদিকে সংসার নামক বেড়াজালে আটকে পড়ে স্বামী সংসার সবকিছু আগলে রাখার প্রাণপন চেষ্টার দুই বিপরীত মুখী অবস্থান নারীর জীবনের মানসপটে কি প্রভাব ফেলে তার প্রতিচ্ছবি এই উপন্যাসে প্রতীয়মান। নারীর মুক্ত চিন্তার প্রতি ক্রমবর্ধমান বাঁধা বিপত্তি, সংসারে নারীর মনুষ্য পরিচিতির অনুপস্থিতি একজন নারীকে প্রতিনিয়ত তার সংসার নামক খাঁচার শিকলে বন্দি করে চলেছে যার ফলশ্রুতিতে সন্তানদের মনোজগতে এর কিরূপ প্রভাব পড়ে তার সম্পর্কে কিছু স্পষ্ট বক্তব্য যেমন এই উপন্যাসে প্রতীয়মান তেমনি সংসার নামক খাঁচার বন্দিত্ব ভেঙে মৃত্তিকা নামক অভিমানী এই নারী চরিত্রের হারিয়ে যাওয়া এবং অপরদিকে ফারজানা নামক চরিত্রের নিজেকে খুঁজে পাওয়ার নিরীক্ষে তার স্বপ্ন স্থান পাহাড়ের বুকে সাগরের তীরে ডানা মেলে উড়ে বেড়ানোর মত মুক্তির সুখ কি? তার সম্পর্কেও সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে এই উপন্যাসে। এছাড়া একজন পুরুষের মনোজগতে কি চলতে থাকে, কিসের পিছনে সে ছুটতে থাকে অলীক সুখের আশায়। সেই অলীক সুখ প্রাপ্য হলেও কি মানসিক শান্তি খুঁজে পাওয়া যায়? অদৃশ্য সুখের পিছনে ছুটতে থাকা হিমাদ্রি একসময় হারিয়ে ফেলে স্ত্রী মৃত্তিকা, দুই সন্তান কাব্য ও ফড়িং এর ভালোবাসা। হারিয়েই কি, তাদের মূল্য বুঝতে পারে হিমাদ্রি। অভিমানে দূরে সরে যাওয়া স্ত্রীকে খুঁজে পাওয়ার জন্য হিমাদ্রির প্রাণান্তকর চেষ্টা আদৌ কি সফল হবে? সবশেষে নিজ পরিচয়ের সন্ধানে ছুটে চলা ফারজানার আসল পরিচয় কি? হিমাদ্রি কি খুঁজে পাবে তার হারিয়ে যাওয়া মৃত্তিকাকে? উপলব্ধি কি করতে পারবে তার অভিমানের কারণ? হিমাদ্রি, মৃত্তিকা, ফারজানা, কবির, কাব্য, ফড়িং, , - তাঁদের মনোজগৎ ও পারিবারিক জীবন জগতের অনুকূল এবং প্রতিকূল পারিপার্শ্বিকতা , আবেগ- অনুভূতির সমন্বয়হীনতা, আপাত সুখের একটি সংসার কীভাবে উদ্দিষ্টের বাইরে নিয়ন্ত্রনহীনতায় চলে যায় তাঁর আবেগঘন অথচ নির্মোহ আলেখ্য এই উপন্যাস। বস্তুত, এই পুরুষশাসিত সমাজে দাম্পত্য জীবনের অনুচ্চারিত কিছু প্রশ্নের নির্লিপ্ত উত্তর খুঁজে পাওয়ার নিরন্তর প্রচেষ্টা “খাঁচা”।

তাসনীম সাদিয়া সুহানা

তাসনীম সাদিয়া সুহানা খুব অল্প বয়স থেকে ঘটে যাওয়া দৈনিক ঘটনাগুলাে নিজের মত করে ডায়েরির কিংবা লেখার খাতায় ছােট ছােট করে লিখে রাখতে ভালােবাসেন। সেই থেকে লেখা লেখির অভ্যাস। নিজেকে গল্প বলার মানুষ হিসেবে পরিচয় দিতে বেশি ভালােবাসেন। গল্প বলার জন্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছেন ছােট গল্প, কবিতা আর উপন্যাস। মানুষের জীবনে প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া গল্পগুলােকে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন অনবরত। সে চেষ্টার সফলতা হিসেবে স্কুল-কলেজের ম্যাগাজিনগুলােতে লেখা ছাপা হলেও বড় আকারে প্রথম সফলতা আসে ২০১৯-এর একুশে বই মেলায়, প্রকাশিত ‘দুই দুগুনে চার’ গল্প সমগ্রে নিজের লেখা একটি গল্প অন্তর্ভুক্ত হয়। এরপর প্রকাশিত কবিতা সংকলনে ছাপা হয় কবিতা ।। সেই থেকে নব উদ্যমে নতুন কিছু সৃষ্টির প্রচেষ্টায় বাঙালি পরিবারের সম্পর্কের বিভিন্ন দিকগুলাে নিয়ে বৃহৎ আকারে ২০১৯ সালে রচনা করেন প্রথম। উপন্যাস ‘বিনি সুতার টানে।। বলার চেষ্টা করেন মানুষের জীবনের নানা উত্থানপতন। আর উন্মােচনের চেষ্টা করেন কখনাে কখনাে জীবনের সাথে জড়িত রহস্যকে। যা ২০২০ সালের একুশে বই মেলায় প্রকাশ পায়। ২০২১ সালে প্রকাশিত হয় তার আরেকটি সমকালীন উপন্যাস- ‘খাঁচা’ । এছাড়া ২০২০ ও ২০২১ একুশে বই মেলায় এগারােটি গল্প ও কবিতা সংকলনে গল্প ও কবিতা প্রকাশিত হয়। জন্ম থেকে বেড়ে উঠা চট্টগ্রাম শহরে। ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশােনা শেষ করে জড়িয়ে পড়েন লেখা লেখির এই জগৎটাতে।। গল্প সেতাে গল্প নয় জীবনেরও কথা কয়। এই নশ্বর জীবনে গল্পরাই কেবল হয়ে থাকে অবিনশ্বর।। এই বিশ্বাস নিয়ে লিখে যেতে চান আরাে অনেক গল্প কবিতা আর উপন্যাস। বেঁচে থাকতে চান মানুষের মনে। আর তার জন্য পাঠকের দোয়া আর ভালােবাসা কাম্য।

Title

খাঁচা

Author

তাসনীম সাদিয়া সুহানা

Publisher

Ananya

Number of Pages

107

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Novel
  • First Published

    FEB 2021

    আমরা সবাই সংসার নামক এক মায়াবী খাঁচায় বন্দী । এই বন্দিত্ব কাঙ্ক্ষিত , কার্যত সুখের, যদি কার্যকর থাকে এর অন্তঃস্থ আবেগ অনুভূতি ও মর্যাদার উপাদান সমূহ এবং পারস্পরিক নির্ভরতা ভারসাম্যপূর্ণ আচরণ দ্বারা হয় সংস্থিত । এতই সূক্ষাতিসূক্ষ সংবেদনশীল সূতায় নির্মিত এই খাঁচা যে, উপলব্ধিতে ও জীবনাচরণে যখনই এর ব্যত্যয় ঘটে, অনাকাঙ্ক্ষিত হৃদয়স্পর্শী দুঃখজনক কিছু ঘটে যেতে বাধ্য । তখন আর করার কিছুই থাকে না, নিয়তি তাকে নিয়ন্ত্রন করে। সমাজান্তৰ্গত মানুষের এইসব জীবন সংলগ্ন আলেখ্য নিয়েই উপন্যাস “খাঁচা” । নারী চরিত্র প্রধান এই উপন্যাসে আমাদের চিরন্তন সমাজ ব্যবস্থার কারণে বিয়ে নামক বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে একজন নারীর বদলে যাওয়া জীবনচিত্রের পায়ে শিকল পরিয়ে দেয় সংসার নামক খাঁচা। একদিকে নারীর নিজের মনে ডানা মেলে উড়ার স্বপ্ন আর অন্যদিকে সংসার নামক বেড়াজালে আটকে পড়ে স্বামী সংসার সবকিছু আগলে রাখার প্রাণপন চেষ্টার দুই বিপরীত মুখী অবস্থান নারীর জীবনের মানসপটে কি প্রভাব ফেলে তার প্রতিচ্ছবি এই উপন্যাসে প্রতীয়মান। নারীর মুক্ত চিন্তার প্রতি ক্রমবর্ধমান বাঁধা বিপত্তি, সংসারে নারীর মনুষ্য পরিচিতির অনুপস্থিতি একজন নারীকে প্রতিনিয়ত তার সংসার নামক খাঁচার শিকলে বন্দি করে চলেছে যার ফলশ্রুতিতে সন্তানদের মনোজগতে এর কিরূপ প্রভাব পড়ে তার সম্পর্কে কিছু স্পষ্ট বক্তব্য যেমন এই উপন্যাসে প্রতীয়মান তেমনি সংসার নামক খাঁচার বন্দিত্ব ভেঙে মৃত্তিকা নামক অভিমানী এই নারী চরিত্রের হারিয়ে যাওয়া এবং অপরদিকে ফারজানা নামক চরিত্রের নিজেকে খুঁজে পাওয়ার নিরীক্ষে তার স্বপ্ন স্থান পাহাড়ের বুকে সাগরের তীরে ডানা মেলে উড়ে বেড়ানোর মত মুক্তির সুখ কি? তার সম্পর্কেও সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে এই উপন্যাসে। এছাড়া একজন পুরুষের মনোজগতে কি চলতে থাকে, কিসের পিছনে সে ছুটতে থাকে অলীক সুখের আশায়। সেই অলীক সুখ প্রাপ্য হলেও কি মানসিক শান্তি খুঁজে পাওয়া যায়? অদৃশ্য সুখের পিছনে ছুটতে থাকা হিমাদ্রি একসময় হারিয়ে ফেলে স্ত্রী মৃত্তিকা, দুই সন্তান কাব্য ও ফড়িং এর ভালোবাসা। হারিয়েই কি, তাদের মূল্য বুঝতে পারে হিমাদ্রি। অভিমানে দূরে সরে যাওয়া স্ত্রীকে খুঁজে পাওয়ার জন্য হিমাদ্রির প্রাণান্তকর চেষ্টা আদৌ কি সফল হবে? সবশেষে নিজ পরিচয়ের সন্ধানে ছুটে চলা ফারজানার আসল পরিচয় কি? হিমাদ্রি কি খুঁজে পাবে তার হারিয়ে যাওয়া মৃত্তিকাকে? উপলব্ধি কি করতে পারবে তার অভিমানের কারণ? হিমাদ্রি, মৃত্তিকা, ফারজানা, কবির, কাব্য, ফড়িং, , - তাঁদের মনোজগৎ ও পারিবারিক জীবন জগতের অনুকূল এবং প্রতিকূল পারিপার্শ্বিকতা , আবেগ- অনুভূতির সমন্বয়হীনতা, আপাত সুখের একটি সংসার কীভাবে উদ্দিষ্টের বাইরে নিয়ন্ত্রনহীনতায় চলে যায় তাঁর আবেগঘন অথচ নির্মোহ আলেখ্য এই উপন্যাস। বস্তুত, এই পুরুষশাসিত সমাজে দাম্পত্য জীবনের অনুচ্চারিত কিছু প্রশ্নের নির্লিপ্ত উত্তর খুঁজে পাওয়ার নিরন্তর প্রচেষ্টা “খাঁচা”।
    No Specifications