Skip to Content
যেভাবে স্বাধীনতা পেলাম

Price:

400.00 ৳


যেনো ভুলে না যাই
যেনো ভুলে না যাই
360.00 ৳
450.00 ৳ (20% OFF)
যোগাসনে রোগ আরোগ্য
যোগাসনে রোগ আরোগ্য
640.00 ৳
800.00 ৳ (20% OFF)

যেভাবে স্বাধীনতা পেলাম

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/15503/image_1920?unique=eb8bad0

400.00 ৳ 400.0 BDT 500.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

কুয়াশার ভেতরে হাতড়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি রাষ্ট্র হবে। যার চেহারা, চৌহদ্দি, সীমানা অবয়ব কিছুই দৃশ্যমান ছিল না। ১৯৪০ সালে লাহােরে মুসলিম লীগের কাউন্সিলে বাংলা-আসাম ও সিন্ধু, বেলুচিস্তান, পাঞ্জাব, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ নিয়ে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের কথা ঘােষণা করলেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক। সেই থেকে রাষ্ট্রের নাম হল পাকিস্তান। ১৯৪৬ সালে দিল্লিতে মুসলিম লীগের পার্লামেন্টারি পার্টিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হােসেন শহীদ সােহরাওয়ার্দী কর্তৃক দুই পাকিস্তানের বদলে স্বাধীন সার্বভৌম এক পাকিস্তানের প্রস্তাব গৃহীত হয়। অথচ বাংলার এই দুই মহান নেতাকে লীগ সভাপতি মুহম্মদ আলী জিন্নাহ পাকিস্তান জন্মলগ্নে মুসলিম লীগ দল থেকে ছুড়ে ফেলে দেন। কারণ, দুজনই ছিলেন সমকক্ষ এবং প্রতিদ্বন্দ্বী। পাকিস্তান সৃষ্টির পর জিন্নাহর জীবিতকালেই আমলাচক্র রাষ্ট্রকে কজা করে। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট বিজয়ী হয়। ক্রমাগত আন্দোলনের মুখে ১৯৫৬ সালে জন্মের দীর্ঘ ৯ বছর পর গৃহীত হয় শাসনতন্ত্র প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইস্কান্দার মীর্জা ও সামরিক প্রধান জেনারেল আইয়ুব খান ৭ অক্টোবর ১৯৫৮ সালে সামরিক আইন জারি করে শাসনতন্ত্র ছুড়ে ফেলে দেন। সিভিল-মিলিটারি ব্যুরােক্রেসি বাঙালির কণ্ঠ। চেপে ধরে। এর বিরুদ্ধে ১৯৪৮ সাল থেকেই হােসেন শহীদ সােহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানী এবং শেখ মুজিবুর রহমানসহ সংগ্রামী নেতৃবৃন্দ নিরবিচ্ছিন্নভাবে বাংলা ভাষা-সংস্কৃতির উপর আঘাত, শাসন ও শােষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। মৃত্যু ভয়কে তুচ্ছ করে শেখ মুজিব বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য ৬৬ সালে ছয় দফা ঘােষণা করলে তাকে ফাঁসি দেবার জন্য আগরতলা ষড়যন্ত্রের মামলা দায়ের করেন প্রেসিডেন্ট আইয়ুব। কিন্তু ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে বাধ্য হয়ে ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহৃত হয়, শেখ মুজিব মুক্তি লাভ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত হন। উত্তাল গণআন্দোলনের মুখে '৬৯ সালে ক্ষমতা দখল করেন। সেনাপ্রধান জেনারেল ইয়াহিয়া খান। ৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়। কিন্তু সামরিক-বেসামরিক আমলাচক্র বাঙালির গণরায় বানচালের চক্রান্ত করে। বঙ্গবন্ধু এসব চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র মােকবেলা করে ৭ মার্চ '৭১ স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের ঘােষণা দেন। স্বহস্তে শাসনভার গ্রহণ করেন। ইয়াহিয়া খান আলােচনার এক পর্যায়ে সামরিক বাহিনীকে ক্র্যাক ডাউনের নির্দেশ দেন। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘােষণা করেন। নয় মাসের যুদ্ধে লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে অভ্যুদ্বয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

Prof. Abu Sayeed

আবু সাইয়িদ (জন্ম: ১ নভেম্বর ১৯৪৫) একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী। তিনি পাবনা-৮ ও পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। আবু সাইয়িদ ১ নভেম্বর ১৯৪৫ সালে পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার বৃশালিখা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ২০১৩ সালে আবু সাইয়িদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন তার পিএইচডি গবেষণার বিষয় ছিল "ইন্ডিপেন্ডেন্স অফ বাংলাদেশ: এ ডিপলোমেটিক ওয়ার" (বাংলাদেশের স্বাধীনতা: একটি কূটনৈতিক যুদ্ধ) আবু সাইয়িদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও রাকসু ভিপি ছিলেন। তিনি ১৯৭০ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সাত নম্বর সেক্টরে উপদেষ্টা ও ক্যাম্প ইনচার্জ ছিলেন। ১৯৭২ সালে গঠিত ৩৪ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন পাবনা-৮ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৭৫ সালে তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের বাকশাল সরকার কর্তৃক পাবনা জেলার গভর্নর নিযুক্ত হন। ১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পাবনা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সপ্তম জাতীয় সংসদে তিনি তথ্য প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।তিনি ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাকশালের প্রার্থী হিসেবে, ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে, ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ও ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণফোরাম থেকে পাবনা-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে পরাজিত হন।

Title

যেভাবে স্বাধীনতা পেলাম

Author

Prof. Abu Sayeed

Publisher

Bhorer Kagoj Prokashan

Number of Pages

248

Language

Bengali / বাংলা

First Published

MAY 2021

কুয়াশার ভেতরে হাতড়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি রাষ্ট্র হবে। যার চেহারা, চৌহদ্দি, সীমানা অবয়ব কিছুই দৃশ্যমান ছিল না। ১৯৪০ সালে লাহােরে মুসলিম লীগের কাউন্সিলে বাংলা-আসাম ও সিন্ধু, বেলুচিস্তান, পাঞ্জাব, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ নিয়ে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের কথা ঘােষণা করলেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক। সেই থেকে রাষ্ট্রের নাম হল পাকিস্তান। ১৯৪৬ সালে দিল্লিতে মুসলিম লীগের পার্লামেন্টারি পার্টিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হােসেন শহীদ সােহরাওয়ার্দী কর্তৃক দুই পাকিস্তানের বদলে স্বাধীন সার্বভৌম এক পাকিস্তানের প্রস্তাব গৃহীত হয়। অথচ বাংলার এই দুই মহান নেতাকে লীগ সভাপতি মুহম্মদ আলী জিন্নাহ পাকিস্তান জন্মলগ্নে মুসলিম লীগ দল থেকে ছুড়ে ফেলে দেন। কারণ, দুজনই ছিলেন সমকক্ষ এবং প্রতিদ্বন্দ্বী। পাকিস্তান সৃষ্টির পর জিন্নাহর জীবিতকালেই আমলাচক্র রাষ্ট্রকে কজা করে। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট বিজয়ী হয়। ক্রমাগত আন্দোলনের মুখে ১৯৫৬ সালে জন্মের দীর্ঘ ৯ বছর পর গৃহীত হয় শাসনতন্ত্র প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইস্কান্দার মীর্জা ও সামরিক প্রধান জেনারেল আইয়ুব খান ৭ অক্টোবর ১৯৫৮ সালে সামরিক আইন জারি করে শাসনতন্ত্র ছুড়ে ফেলে দেন। সিভিল-মিলিটারি ব্যুরােক্রেসি বাঙালির কণ্ঠ। চেপে ধরে। এর বিরুদ্ধে ১৯৪৮ সাল থেকেই হােসেন শহীদ সােহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানী এবং শেখ মুজিবুর রহমানসহ সংগ্রামী নেতৃবৃন্দ নিরবিচ্ছিন্নভাবে বাংলা ভাষা-সংস্কৃতির উপর আঘাত, শাসন ও শােষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। মৃত্যু ভয়কে তুচ্ছ করে শেখ মুজিব বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য ৬৬ সালে ছয় দফা ঘােষণা করলে তাকে ফাঁসি দেবার জন্য আগরতলা ষড়যন্ত্রের মামলা দায়ের করেন প্রেসিডেন্ট আইয়ুব। কিন্তু ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে বাধ্য হয়ে ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহৃত হয়, শেখ মুজিব মুক্তি লাভ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত হন। উত্তাল গণআন্দোলনের মুখে '৬৯ সালে ক্ষমতা দখল করেন। সেনাপ্রধান জেনারেল ইয়াহিয়া খান। ৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়। কিন্তু সামরিক-বেসামরিক আমলাচক্র বাঙালির গণরায় বানচালের চক্রান্ত করে। বঙ্গবন্ধু এসব চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র মােকবেলা করে ৭ মার্চ '৭১ স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের ঘােষণা দেন। স্বহস্তে শাসনভার গ্রহণ করেন। ইয়াহিয়া খান আলােচনার এক পর্যায়ে সামরিক বাহিনীকে ক্র্যাক ডাউনের নির্দেশ দেন। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘােষণা করেন। নয় মাসের যুদ্ধে লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে অভ্যুদ্বয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
No Specifications