Skip to Content
নিস্তব্ধতার শেষ প্রহর

Price:

240.00 ৳


নিস্কৃতি
নিস্কৃতি
224.00 ৳
280.00 ৳ (20% OFF)
নিস্তার মোল্লার মহাভারত
নিস্তার মোল্লার মহাভারত
200.00 ৳
250.00 ৳ (20% OFF)
20% OFF

নিস্তব্ধতার শেষ প্রহর

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/25303/image_1920?unique=7309d84

240.00 ৳ 240.0 BDT 300.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

রাত বারোটা পঁয়ত্রিশ । সাবিহা বারান্দায় দাঁড়িয়ে আকাশ দেখছে । রাত নিয়ম করে তার আকাশ দেখতে বেশ ভালো লাগে । আদি ঘর থেকে বেরিয়ে এসে সাবিহার কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বলল,"যাবে?" -সাবিহা অবাক হয়ে আদির দিকে তাকালো । কোথায় নিতে চায় আদি তাকে? কেনো জানি আজ খুব ইচ্ছেও করছে যেতে । কেন ইচ্ছে করছে আমার? এই গভীর রাতে ঝিঁঝি পোকার ডাক মাঝেমধ্যে ব্যাঙের গ্যাঙ্গোর গ্যাং ডাক,ঠান্ডা বাতাস । সব মিলিয়ে মন্দ লাগছে না সাবিহার । চুলগুলো বাতাসে বারবার চোখেমুখে এসে লেপ্টে যাচ্ছে । সাবিহাও কম যায় না । সেই বারবার সরিয়ে দিচ্ছে । আদির পিছন পিছন যেতেই বাড়ির কিনারায় দিঘির যে অংশ গা ঘেশে ধানী জমিতে মিলেছে সেখানেই বড় একটা নৌকা বাঁধা । অন্ধকারে তেমন বুঝা যাচ্ছে না দূর থেকে । যত কাছে এগুচ্ছে সাবিহা মুগ্ধতায় তাকাচ্ছে । নৌকার কাছাকাছি যেতেই গ্রামের মঞ্জুর, " কেমন হইছে ভাবি?" সাবিহা চোখ বড় বড় করে ঘুরিয়ে দেখতে দেখতে নৌকার দিকে তাকিয়ে বলল," চমৎকার মঞ্জুর ভাই। লাল শাপলা ফুলে সাজিয়েছেন নৌকা । দেখেই বুঝায় যাচ্ছে না এইটা কোনো সাধারণ শাপলা । আপনার মাথায় এমন বুদ্ধি আসলো কীভাবে মঞ্জুর ভাই?" -" ভাবি, আমি তো সাজাই নাই । ভাই নিজে হাতে সাজাইছেন । আমারে কইলো, মঞ্জুর আইজ আমার পরী আইবো এহানে । সারারাত পরীরে লইয়া ঘুরতে যামু । বৈঠার ছল্লাত ছল্লাত আওয়াজে আমার পরী মুগ্ধ হইবো । সে ডাগোর ডাগোর আঙ্গুল দিয়া পানি ছুইবো । আমি চান্দের আলোয় তারে দেখমু । আবার ভোর হইলে নৌকা পাড়ে ভেড়াবি । " মঞ্জুর কথা শেষ না করতেই সাবিহা হা হা হা করে হেসে, " তোমার ভাই এইভাবে কথা বলে? কই আমার সাথে তো বলে না? আদি, তুমি এইভাবে কথা বলো না-কি সত্যি সত্যি? " আদি মঞ্জুরের দিকে হাত উঠিয়ে," মারবো ধরে তোমারে একটা । বেশি পাকনামি করতেছো তাই না ! তোমার নৌকার হারিকেনটা একটু বাড়িয়ে দাও । তোমার ভাবি উঠতে না হয় সমস্যা হবে । অল্প বয়সে বাপ হইলে যা হয় । মঞ্জুর দাঁত দেখিয়ে হেসে," ওহ ভুইলা গেছি । ভাবি আহেন । নৌকার মাঝখানটায় বসেন । ভাইজান আপনেও বসেন ।" -" মঞ্জুর তুমি কী জানো তুমি কথা বেশি বলো ?" -" জানি ভাইজান, তৌফিক চাচাও আমারে এই কথাডা কয় । কিন্তু কী করুম চোপা থামাইতে পারি না ।" সাবিহা হাঁটু দুটো উঠিয়ে হাতদুটোকে হাটুর সাথে বেঁধে, " আকাশের চাঁদের দিকে তাকিয়ে আছে । চাঁদ তার সাথে সাথে যাচ্ছে । মৃদু বাতাসে মন ছুঁয়ে যাচ্ছে আজ গলা ছেড়ে গাইতে ইচ্ছে করছে," আমার একলা আকাশ থমকে গেছে তোমার কথা ভেবে, শুধু তোমার কথা ভেবে,,,,, আদি তো থমকে যেতে দেয়নি । তার জীবনে আলো হয়ে ফিরে এসেছে । সমস্ত অন্ধকারকে তার জীবন থেকে দূরে ঠেলে আলো নিয়ে এসেছে ।

রাবেয়া সুলতানা

রাবেয়া সুলতানা। ১ নভেম্বর নােয়াখালী জেলায় চাটখিল থানায় জন্মগ্রহণ করেন। নিজের ব্যাপারে তেমন কিছুই বলার নেই। তবে চেষ্টা করি নিজের লেখা দিয়ে পাঠক/পাঠিকার মনে আকাশ সমান ভালােবাসা তৈরি করতে। নিজেকে নিয়ে খুবই কম ভাবতে চাই। আমি কে এবং কী করি তা একদিন আমার পাঠকরাই ঠিকি খুঁজে নিবে তাই আমার বলার মতাে কিছু। নেই। আর নিজেও তেমন আহামরি নিজের পরিচয় গড়তে পারিনি। যেদিন পারব সেদিন উৎকণ্ঠে সবার সাথে শেয়ার করব।

Title

নিস্তব্ধতার শেষ প্রহর

Author

রাবেয়া সুলতানা

Publisher

Boibazar Prokashoni

Number of Pages

191

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Novel
  • First Published

    FEB 2021

     Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

     Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

     Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

     International Delivery: Charges vary by country and book weight - will be informed after order confirmation.

     3 Days Happy Return. Change of mind is not applicable

     Multiple Payment Methods: Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

    রাত বারোটা পঁয়ত্রিশ । সাবিহা বারান্দায় দাঁড়িয়ে আকাশ দেখছে । রাত নিয়ম করে তার আকাশ দেখতে বেশ ভালো লাগে । আদি ঘর থেকে বেরিয়ে এসে সাবিহার কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বলল,"যাবে?" -সাবিহা অবাক হয়ে আদির দিকে তাকালো । কোথায় নিতে চায় আদি তাকে? কেনো জানি আজ খুব ইচ্ছেও করছে যেতে । কেন ইচ্ছে করছে আমার? এই গভীর রাতে ঝিঁঝি পোকার ডাক মাঝেমধ্যে ব্যাঙের গ্যাঙ্গোর গ্যাং ডাক,ঠান্ডা বাতাস । সব মিলিয়ে মন্দ লাগছে না সাবিহার । চুলগুলো বাতাসে বারবার চোখেমুখে এসে লেপ্টে যাচ্ছে । সাবিহাও কম যায় না । সেই বারবার সরিয়ে দিচ্ছে । আদির পিছন পিছন যেতেই বাড়ির কিনারায় দিঘির যে অংশ গা ঘেশে ধানী জমিতে মিলেছে সেখানেই বড় একটা নৌকা বাঁধা । অন্ধকারে তেমন বুঝা যাচ্ছে না দূর থেকে । যত কাছে এগুচ্ছে সাবিহা মুগ্ধতায় তাকাচ্ছে । নৌকার কাছাকাছি যেতেই গ্রামের মঞ্জুর, " কেমন হইছে ভাবি?" সাবিহা চোখ বড় বড় করে ঘুরিয়ে দেখতে দেখতে নৌকার দিকে তাকিয়ে বলল," চমৎকার মঞ্জুর ভাই। লাল শাপলা ফুলে সাজিয়েছেন নৌকা । দেখেই বুঝায় যাচ্ছে না এইটা কোনো সাধারণ শাপলা । আপনার মাথায় এমন বুদ্ধি আসলো কীভাবে মঞ্জুর ভাই?" -" ভাবি, আমি তো সাজাই নাই । ভাই নিজে হাতে সাজাইছেন । আমারে কইলো, মঞ্জুর আইজ আমার পরী আইবো এহানে । সারারাত পরীরে লইয়া ঘুরতে যামু । বৈঠার ছল্লাত ছল্লাত আওয়াজে আমার পরী মুগ্ধ হইবো । সে ডাগোর ডাগোর আঙ্গুল দিয়া পানি ছুইবো । আমি চান্দের আলোয় তারে দেখমু । আবার ভোর হইলে নৌকা পাড়ে ভেড়াবি । " মঞ্জুর কথা শেষ না করতেই সাবিহা হা হা হা করে হেসে, " তোমার ভাই এইভাবে কথা বলে? কই আমার সাথে তো বলে না? আদি, তুমি এইভাবে কথা বলো না-কি সত্যি সত্যি? " আদি মঞ্জুরের দিকে হাত উঠিয়ে," মারবো ধরে তোমারে একটা । বেশি পাকনামি করতেছো তাই না ! তোমার নৌকার হারিকেনটা একটু বাড়িয়ে দাও । তোমার ভাবি উঠতে না হয় সমস্যা হবে । অল্প বয়সে বাপ হইলে যা হয় । মঞ্জুর দাঁত দেখিয়ে হেসে," ওহ ভুইলা গেছি । ভাবি আহেন । নৌকার মাঝখানটায় বসেন । ভাইজান আপনেও বসেন ।" -" মঞ্জুর তুমি কী জানো তুমি কথা বেশি বলো ?" -" জানি ভাইজান, তৌফিক চাচাও আমারে এই কথাডা কয় । কিন্তু কী করুম চোপা থামাইতে পারি না ।" সাবিহা হাঁটু দুটো উঠিয়ে হাতদুটোকে হাটুর সাথে বেঁধে, " আকাশের চাঁদের দিকে তাকিয়ে আছে । চাঁদ তার সাথে সাথে যাচ্ছে । মৃদু বাতাসে মন ছুঁয়ে যাচ্ছে আজ গলা ছেড়ে গাইতে ইচ্ছে করছে," আমার একলা আকাশ থমকে গেছে তোমার কথা ভেবে, শুধু তোমার কথা ভেবে,,,,, আদি তো থমকে যেতে দেয়নি । তার জীবনে আলো হয়ে ফিরে এসেছে । সমস্ত অন্ধকারকে তার জীবন থেকে দূরে ঠেলে আলো নিয়ে এসেছে ।
    No Specifications