বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড : পূূর্বাপর অনুসন্ধান

শেখ মুজিবুর রহমান যখন জন্মেছিলেন তখন ভারতবর্ষে। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন চলছিল। ১৯৪৭ সালে পূর্ব। বাংলাকে অংশ করে ব্রিটিশদের কাছ থেকে পাকিস্তান স্বাধীনতা পায়। পূর্ব বাংলার নতুন নাম হয় পূর্ব পাকিস্তান। শুরু থেকেই পাকিস্তানের শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকে পশ্চিম পাকিস্তানের নেতৃবৃন্দ। তারা পূর্ব বাংলার প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করে। শাসনের নামে শােষণ ছাড়াও তারা বাঙালির কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ভাষার উপর আঘাত করে। শুরু হয় বাঙালির আত্মজাগরণের সংগ্রাম, অধিকার আদায়ের লড়াই এবং শেষ পর্যন্ত মুক্তির সংগ্রাম। আর এইসব সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালি তাকে ‘বঙ্গবন্ধু’ অভিধায় অভিষিক্ত করে। স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের দায়িত্ব নেন বঙ্গবন্ধু। তিনি প্রশাসনিক কাঠামাে উন্নয়ন, সমাজবিরােধী ও দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ, সংবিধান রচনা, নতুন নির্বাচন, বিধ্বস্ত দেশের অবকাঠামােগত উন্নয়নসহ ব্যাপক সংস্কারের কাজ করেন। কিন্তু মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় বাঙালির স্বাধীকার আন্দোলনের নেতা, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আইএসআই-সিআইএয়ের নীলনকশা অনুসারে এদেশীয় কয়েকজন বিপথগামী মানুষ নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যা করে। তাকে হত্যা করার পর তারা বাঙালি জাতির গৌরবজনক সংগ্রামের ইতিহাসকে মুছে ফেলার লক্ষে সংবিধান পরিবর্তন করে। পাঠ্যপুস্তক, ইতিহাসের বই থেকে প্রকৃত ইতিহাস মুছে ফেলে বিকৃত ইতিহাস লিখেছে। কিন্তু কেন এই অপপ্রয়াস? কেন হত্যা করা হলাে তাকে? কারা হত্যাকারী? নেপথ্যের কুশীলব কারা? এইসব প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য ঘটনার পূর্বাপর অনুসন্ধান করা হয়েছে এই বইতে।