Skip to Content
আড়িয়াল খাঁ

Price:

350.00 ৳


Fearless Freedom (Penguin)
Fearless Freedom (Penguin)
600.00 ৳
600.00 ৳
ছায়াছবির ছায়াপথে
ছায়াছবির ছায়াপথে
400.00 ৳
400.00 ৳

আড়িয়াল খাঁ

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/21801/image_1920?unique=c773b04

350.00 ৳ 350.0 BDT 350.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

১৯৮১ সালের ৩০ মে। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের পরের সন্ধ্যা। বরিশালের হিন্দু-অধ্যুষিত ভাটি খানার তেরো বছরের ছেলে জাহেদ তার বাবার সঙ্গে যাচ্ছে আড়িয়াল খাঁ। তার মালেক হুজুর তাকে বলেছেন, ‘তুমি নদীর জ্বলেন্ত পানি ধরবা আর কিছুই পাইবা না, পিরথিবি তো এত্তো ফালতু হয় নাই।’পৃথিবী এত ফালতু না হতে পারে, কিন্তু পৃথিবী নিঃসন্দেহে বিপজ্জনক এক ঘর, যে-ঘরের মেঝে ছাদে, আর ছাদ মেঝেয়। তাই নৌকায় ওঠার ঠিক আগে ফোরকান উদ্দিন নামের এক লোক জাহেদকে বলে বসলেন, ‘ওই ঘটনাডা নৌকায় কাউরে বলছ তো, জানবা যে—তোমার বাবার লগে নদীতে আইজ রাতে তুমিও ফিমিশ।’ কোন ঘটনা? বিদ্দুত বিশ্বাস নামের একজনও একটু আগে তাকে বলেছেন, ‘ছুডো মিয়া, তাইলে বাপের লগে তুমিও মরতে যাও? ভরা বরোষায়?’ আর জাহেদের বোন পারভিনের এত বড় সাহস, সে মেয়ে হয়েও একই আড়িয়ালখাঁর পাড়ে এসে ‘রাজা কনডম’ খোঁজে? নদীর জল থেকে আওয়াজ উঠছে এক গা-কাঁপানো‘মডি-মডি-মডি’। জানা গেল, প্রেসিডেন্ট জিয়া চট্টগ্রামে মারা যাননি। তিনি বৃষ্টির মধ্যে পালিয়ে এসেছেন তারই কাটা লাখুটিয়ার খালে। দু-দুটো পুরুষাঙ্গ কর্তিত হলো, আর এখন এই রাতের নৌকায় কয়লা ওমরের লোকেদের হাতে দা, বস্তা ও ইট। নৌ-পুলিশ নৌকা থামিয়ে জাহেদকে জিজ্ঞাসা করছে, ‘তুমি কি জানো দেশের পেরসিডেন্ট কোথায়? আর তিনি যদি নিহত হইয়া থাকেন, তাহা হইলে তার কবর কোথায়?’ পৃথিবীর সবটাই ভেঙে পড়ছে ঠাঠাঠা, টাসটাস, দ্রিম, বুউম শব্দে। ট্যারর-ট্যারর।

মাসরুর আরেফিন

মাসরুর আরেফিন জন্ম : ৯ই অক্টোবর ১৯৬৯, মাসরুর আরেফিন ২০০৭ সালে রিটেইল ব্যাংকিংয়ের প্রধান হিসেবে সিটি ব্যাংকে যোগদান করেন। তিনি এ ব্যাংকের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ও প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা হিসেবেও কাজ করেন। বর্তমানে তিনি ব্যাংকের মালয়েশিয়াস্থ সাবসিডিয়ারি রেমিট্যান্স প্রতিষ্ঠান এবং এর মার্চেন্ট ব্যাংক সাবসিডিয়ারির পরিচালক হিসেবে নিয়োজিত আছেন। মাসরুর আরেফিন তার ২৪ বছরের ব্যাংকিং ক্যারিয়ারে এএনজেড গ্রিন্ডলেজ ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড কাতার, আমেরিকান এক্সপ্রেস, সিটি ব্যাংক এন.এ এবং ইস্টার্ন ব্যাংকে ব্র ব্যাংকিং, রিটেইল, এসএমই, কার্ডস, অপারেশনস ও ডিজিটাল ব্যাংকিয়ে উচ্চ পদে কাজ করেছেন। বাংলাদেশে আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড চালুর ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯৫ সালে এএনজেড গ্রিন্ডলেজ ব্যাংকে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন মাসরুর। একই ব্যাংকের অস্ট্রেলিয়াস্থ প্রধান কার্যালয়ে তার কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি ২০০৭ সালে শুরু হওয়া সিটি ব্যাংকের ‘পুনর্গঠনে’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বরিশাল ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ছাত্র মাসরুর আরেফিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ এবং মেলবোর্নের ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেন। তিনি ফ্রান্সের ইনসিয়াড বিজনেস স্কুলে উচ্চতর ব্যবস্থাপনায় কোর্স করেছেন। তিনি ব্যাংকিং পেশার পাশাপাশি সাহিত্য জগতেও সমাদৃত। তার অনূদিত ‘ফ্রানৎস কাফকা গল্পসমগ্র’ ২০১৩ সালের ‘ব্র্যাক সমকাল সাহিত্য পুরস্কার’ ও বাংলা একাডেমি কর্তৃক ‘বছরের সেরা প্রকাশনা’ পদক অর্জন করে। ২০১৫ সালে তার অনূদিত ‘হোমারের ইলিয়াড’ ও পাঠকমহলে প্রশংসিত হয়।

Title

আড়িয়াল খাঁ

Author

মাসরুর আরেফিন

Publisher

Kathaprokash

Number of Pages

174

Language

Bengali / বাংলা

First Published

FEB 2022

১৯৮১ সালের ৩০ মে। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের পরের সন্ধ্যা। বরিশালের হিন্দু-অধ্যুষিত ভাটি খানার তেরো বছরের ছেলে জাহেদ তার বাবার সঙ্গে যাচ্ছে আড়িয়াল খাঁ। তার মালেক হুজুর তাকে বলেছেন, ‘তুমি নদীর জ্বলেন্ত পানি ধরবা আর কিছুই পাইবা না, পিরথিবি তো এত্তো ফালতু হয় নাই।’পৃথিবী এত ফালতু না হতে পারে, কিন্তু পৃথিবী নিঃসন্দেহে বিপজ্জনক এক ঘর, যে-ঘরের মেঝে ছাদে, আর ছাদ মেঝেয়। তাই নৌকায় ওঠার ঠিক আগে ফোরকান উদ্দিন নামের এক লোক জাহেদকে বলে বসলেন, ‘ওই ঘটনাডা নৌকায় কাউরে বলছ তো, জানবা যে—তোমার বাবার লগে নদীতে আইজ রাতে তুমিও ফিমিশ।’ কোন ঘটনা? বিদ্দুত বিশ্বাস নামের একজনও একটু আগে তাকে বলেছেন, ‘ছুডো মিয়া, তাইলে বাপের লগে তুমিও মরতে যাও? ভরা বরোষায়?’ আর জাহেদের বোন পারভিনের এত বড় সাহস, সে মেয়ে হয়েও একই আড়িয়ালখাঁর পাড়ে এসে ‘রাজা কনডম’ খোঁজে? নদীর জল থেকে আওয়াজ উঠছে এক গা-কাঁপানো‘মডি-মডি-মডি’। জানা গেল, প্রেসিডেন্ট জিয়া চট্টগ্রামে মারা যাননি। তিনি বৃষ্টির মধ্যে পালিয়ে এসেছেন তারই কাটা লাখুটিয়ার খালে। দু-দুটো পুরুষাঙ্গ কর্তিত হলো, আর এখন এই রাতের নৌকায় কয়লা ওমরের লোকেদের হাতে দা, বস্তা ও ইট। নৌ-পুলিশ নৌকা থামিয়ে জাহেদকে জিজ্ঞাসা করছে, ‘তুমি কি জানো দেশের পেরসিডেন্ট কোথায়? আর তিনি যদি নিহত হইয়া থাকেন, তাহা হইলে তার কবর কোথায়?’ পৃথিবীর সবটাই ভেঙে পড়ছে ঠাঠাঠা, টাসটাস, দ্রিম, বুউম শব্দে। ট্যারর-ট্যারর।
No Specifications