Skip to Content
নামচিহ্নহীন

Price:

300.00 ৳


কিশোর গল্প : শরতচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
কিশোর গল্প : শরতচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
320.00 ৳
320.00 ৳
প্রাথমিক গণিতের ব্যাকরণ
প্রাথমিক গণিতের ব্যাকরণ
250.00 ৳
250.00 ৳

নামচিহ্নহীন

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/25102/image_1920?unique=c773b04

300.00 ৳ 300.0 BDT 300.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

এরশাদ বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১৯৯০ সালের ২৮ নভেম্বর ময়মনসিংহে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ফিরোজ ও জাহাঙ্গীর। উপন্যাসের সূচনাবিন্দু-মিছিলে আরও অন্তত দুজন নিহত হয় বলে জানা যায়, যাদের নিহত হওয়ার-ই স্বীকৃতি মেলে না। এদের একজনের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ ঘটনার পরদিন গভীর রাতে গ্রামের বাড়িতে এনে পুলিশ দাফন করে। শত শত মানুষের ভিড়ে এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত অখ্যাত যুবক অস্বীকৃতির চাদরে হারিয়ে যায়। আখ্যানের মূল চলন-নব্বইয়ের গণআন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত ও স্বীকৃতিহীন শহীদের অনুজ করোনাকালে আকস্মিক নিখোঁজ হয়। দুশ্চিন্তা আর দহন নিয়ে পুরো পরিবার অপেক্ষা করে তাদের ছেলে ফিরবে! নিখোঁজ হওয়ার কারণ নিয়ে সংশয় থাকলেও বোঝা যায় যে, নামচিহ্নহীন হওয়ার জন্য কারণ বা যুক্তি আদৌ প্রয়োজন হয় না। এই পৃথিবীতে নামচিহ্ন মানে কী? কারা ঠিক করে নাম ও চিহ্নের সীমানা। বিশাল মিছিল গড়ে ওঠে, নায়ক/নায়কদের নাম উজ্জ্বল হয়ে ছড়িয়ে থাকে, সাধারণ মানুষ কেবলই সংখ্যা, কেবলই এক একটি সংখ্যা-কোনোক্রমে মানুষকে সংখ্যার ছাঁচে ফেলে দিতে পারলে প্রকৃত দগদগে সত্য আড়ালে পড়ে থাকে। দোদুল্যমান সত্য আর ন্যায়ের ‘ইচ্ছেখুশি’ মাপকাঠির সামনে প্রচল বিশ্বাস ভেঙে পড়ে। এই উপন্যাসের চরিত্ররা তাই অনেকে খাপছাড়া-মনের ভেতরে বহুকাল চেপে রাখা হতাশা-রাগ জমে অনিয়ন্ত্রিত, প্রজ্ঞাহীন প্রবাহিত হয়, যা অসঙ্গত মনে হলেও এর গহিনে থাকে গভীর বেদনা। গণআন্দোলনে নিহত শহীদের স্বীকৃতিহীনতার প্রেক্ষাপটকে নেপথ্যে রেখে এই উপন্যাসের চরিত্ররা পরস্পর ঘন হয়ে গূঢ় প্রশ্নটিই সামনে নিয়ে আসে-মানুষ কখন শুধু সংখ্যা হয়ে যায়? কেন হয়?

মাহবুব আজীজ

মাহবুব আজীজ জন্ম ৩ মার্চ, ১৯৭৩। ময়মনসিংহের কেওয়াটখালীতে। বাবার বদলির চাকরির সুবাদে বর্ণাঢ্য শৈশব কাটে দেশের নানা অঞ্চলে। ময়মনসিংহ জিলা স্কুল, আনন্দমোহন কলেজের পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। জার্মানির ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব জার্নালিজম থেকে সাংবাদিকতায় তিনি উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ছাত্রজীবনে কাজ করেছেন পত্রিকার প্রদায়ক ও বেসরকারি সাহায্য সংস্থার মাঠ পর্যায়ের কর্মী হিসেবে। ঘুরেছেন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। বিচিত্র শ্রেণি ও পেশার সংস্পর্শে এসেছেন। তিনি পেশাদার সাংবাদিক। বর্তমানে দৈনিক সমকালের ফিচার সম্পাদক। মাহবুব আজীজ শিল্প-সাহিত্যের বিভিন্ন মাধ্যমে কাজ করেন। কবিতা ও কথাসাহিত্যে তিনি ধারাবাহিকভাবে কাজ করে চলেছেন। টেলিভিশন ও মঞ্চের জন্য নাটক রচনা করেছেন; নির্মাণ করেছেন টেলিভিশন চলচ্চিত্র। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা নয়টি। ‘দাহ’ তাঁর দ্বিতীয় ছোটগল্পগ্রন্থ। তাঁর আরেকটি গল্পগ্রন্থ- ‘ঘোর অথবা অনন্ত তৃষার গল্প’। পুরস্কার: সিটি-আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার (২০১৫)

Title

নামচিহ্নহীন

Author

মাহবুব আজীজ

Publisher

Kathaprokash

Number of Pages

114

Language

Bengali / বাংলা

First Published

FEB 2022

এরশাদ বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১৯৯০ সালের ২৮ নভেম্বর ময়মনসিংহে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ফিরোজ ও জাহাঙ্গীর। উপন্যাসের সূচনাবিন্দু-মিছিলে আরও অন্তত দুজন নিহত হয় বলে জানা যায়, যাদের নিহত হওয়ার-ই স্বীকৃতি মেলে না। এদের একজনের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ ঘটনার পরদিন গভীর রাতে গ্রামের বাড়িতে এনে পুলিশ দাফন করে। শত শত মানুষের ভিড়ে এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত অখ্যাত যুবক অস্বীকৃতির চাদরে হারিয়ে যায়। আখ্যানের মূল চলন-নব্বইয়ের গণআন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত ও স্বীকৃতিহীন শহীদের অনুজ করোনাকালে আকস্মিক নিখোঁজ হয়। দুশ্চিন্তা আর দহন নিয়ে পুরো পরিবার অপেক্ষা করে তাদের ছেলে ফিরবে! নিখোঁজ হওয়ার কারণ নিয়ে সংশয় থাকলেও বোঝা যায় যে, নামচিহ্নহীন হওয়ার জন্য কারণ বা যুক্তি আদৌ প্রয়োজন হয় না। এই পৃথিবীতে নামচিহ্ন মানে কী? কারা ঠিক করে নাম ও চিহ্নের সীমানা। বিশাল মিছিল গড়ে ওঠে, নায়ক/নায়কদের নাম উজ্জ্বল হয়ে ছড়িয়ে থাকে, সাধারণ মানুষ কেবলই সংখ্যা, কেবলই এক একটি সংখ্যা-কোনোক্রমে মানুষকে সংখ্যার ছাঁচে ফেলে দিতে পারলে প্রকৃত দগদগে সত্য আড়ালে পড়ে থাকে। দোদুল্যমান সত্য আর ন্যায়ের ‘ইচ্ছেখুশি’ মাপকাঠির সামনে প্রচল বিশ্বাস ভেঙে পড়ে। এই উপন্যাসের চরিত্ররা তাই অনেকে খাপছাড়া-মনের ভেতরে বহুকাল চেপে রাখা হতাশা-রাগ জমে অনিয়ন্ত্রিত, প্রজ্ঞাহীন প্রবাহিত হয়, যা অসঙ্গত মনে হলেও এর গহিনে থাকে গভীর বেদনা। গণআন্দোলনে নিহত শহীদের স্বীকৃতিহীনতার প্রেক্ষাপটকে নেপথ্যে রেখে এই উপন্যাসের চরিত্ররা পরস্পর ঘন হয়ে গূঢ় প্রশ্নটিই সামনে নিয়ে আসে-মানুষ কখন শুধু সংখ্যা হয়ে যায়? কেন হয়?
No Specifications