Skip to Content
সরল সমাজপাঠ

Price:

240.00 ৳


রচনাসংগ্রহ (অনিল কুমার সরকার)
রচনাসংগ্রহ (অনিল কুমার সরকার)
240.00 ৳
300.00 ৳ (20% OFF)
সহজ পাঠ : চতুর্থ ভাগ
সহজ পাঠ : চতুর্থ ভাগ
220.00 ৳
275.00 ৳ (20% OFF)
20% OFF

সরল সমাজপাঠ

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/28902/image_1920?unique=7842928

240.00 ৳ 240.0 BDT 300.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

আধুনিক কালে (সামাজিক) গবেষণা পদ্ধতি বলতে প্রথমেই আপনার ধরে নিতে হবে যে তেমন কোনো আপ্তজ্ঞান আপনার থাকা চলবে না। কোনো বৌদ্ধিক উপলব্ধিও থাকা চলবে না। এমনকি যাকে কমনসেন্স বলে সেটাও কম থাকলে ভালো। বা কমনসেন্স দিয়ে আগানোর ইচ্ছা না-থাকা ভালো। আপনার গবেষণা করে-করে অনুসিদ্ধান্ত বলতে হবে; উপলব্ধি বলতে হবে। আপনার তামাম অভিব্যক্তিই গবেষণালব্ধ হলে ভালো। আপনি একজন সামাজিক গবেষক-এর থেকে আমরা কী বুঝব? আমরা বুঝব যে আপনি সামাজিক কম, এবং গবেষক বেশি। এমনকি আপনাকে অসামাজিক সাব্যস্ত করে আগালেই বরং আপনার পেশাজীবীতা সম্বন্ধে সর্বাপেক্ষা সঠিক ধারণা করা হতে পারে। ঐতিহ্য প্রসঙ্গ এলেই আপনাদের অনেকের যেমন কান্নামাখা গলাভেজা জাতীয়তাবোধ জাগরুক হয়, সেটা মেহেরবানি করে খানিকক্ষণের জন্য অব্যহতি দিন। নাহলে এই হারিয়ে যাওয়া বিষয়ক আজকের বোঝাবুঝিতে ভেজাল বাধবে। তবে আমাদের আলোচ্য বিষয় খাদ্যবস্তু বিধায় জাতীয়তাবোধের সঙ্গে আপনাদের লোভও জাগতে পারে। ধরা যাক রুমালি রুটি, কিংবা বাঙ্গির হালুয়া। না ধরুন, বাখরখানি; এটাই ফাইনাল। বাখরখানি অবশ্য আপনার অত্যন্ত নরম ডেলিকেট হাতে ধরতে হবে। এটা ‘পুরান ঢাকা’র ‘ঐতিহ্য’ ইত্যাদি নিয়ে নানান কথা আপনি বলতেই পারেন। তবে সবচেয়ে ভালো হয় খাবার সময় এসব আলোচনা না-করা। এটা খুবই নাজুক ও ডেলিকেট বস্তু। আপনার আলাপের সময় আধচ িবানো বাখরখানি ধুলিময় হয়ে আপনার প্রিয়তম, কিংবা বসের মুখে গিয়ে পড়তে পারে। তো, এটা এখনো ‘বিলুপ্ত’ ঐতিহ্য নয়। তবে ধারণা বা আশঙ্কা করা যেতে পারে এর অবলোপের। এই বস্তুটার পরতে পরতে লেয়ারে লেয়ারে এমন কেয়ার থাকে, ধরলেই বুঝতে পারবেন যে এর কারিগরের নিষ্ঠার সঙ্গে তা শিখতে হয়। কারিগরের ওস্তাদ থাকেন, তাঁর ওস্তাদ থাকেন, তাঁরও ওস্তাদ থেকেছিলেন। পরম্পরা যাকে বলে, ঐতিহ্যের ক্ষেত্রে যা অতীব প্রাসঙ্গিক। এর আটা-ময়দাও, আন্দাজ করা যায় বিশেষ পদ্ধতিতে প্রক্রিয়াজাত করা লাগে। এর চুলাও যে কোনো চুলা নয় যে টু-বার্নার একটা জায়গামতো লাগিয়ে নিলেন। তো এই লেয়ারসম্পন্ন কেয়ারজাত বস্তুটা তো বানাতে হবে!

Manosh Chowdhury

মানস চৌধুরী জন্ম: বরগুনা, ২৮ মার্চ ১৯৬৯। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃবিজ্ঞানের শিক্ষক। কথাশিল্পী, সংকলক, অনুবাদক, কলামিস্ট ইত্যাদি। শিল্পকলার পত্রিকা Depart-এর নির্বাহী সম্পাদক। প্রকাশিত গ্রন্থ : নৃবিজ্ঞানের প্রথম পাঠ (রেহনুমা আহমেদ-এর সঙ্গে যৌথ বিরচিত), কর্তার সংসার: নারীবাদী রচনা সংকলন (সায়দিয়া গুলরুখ-এর সঙ্গে যৌথ সম্পাদিত), এইডস ও যৌনতা নিয়ে ডিসকোর্স (সায়দিয়া গুলরুখ-এর সঙ্গে যৌথ বিরচিত), নৃবিজ্ঞান পরিচিতি (প্রশান্ত ত্রিপুরা ও রেহনুমা আহমেদ-এর সঙ্গে যৌথ বিরচিত), মুক্ত আলোচনা (আইনুন নাহার-এর সঙ্গে যৌথ সম্পাদিত), সাম্প্রতিক নৃবিজ্ঞান (নুরুল আলম এবং আইনুন নাহার-এর সঙ্গে যৌথ সম্পাদিত), চর্চা (জহির আহমেদ-এর সঙ্গে যৌথ সম্পাদিত), কাকগৃহ (ছোটগল্প), আয়ানাতে নিজের মুখটা(ছোটগল্প), ময়নাতদন্তহীন একটি মৃত্যু, (ছোটগল্প)।

Title

সরল সমাজপাঠ

Author

Manosh Chowdhury

Publisher

Gronthik Prakashon

Number of Pages

135

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Sociology
  • First Published

    APR 2023

     Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

     Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

     Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

     International Delivery: Charges vary by country and book weight - will be informed after order confirmation.

     3 Days Happy Return. Change of mind is not applicable

     Multiple Payment Methods: Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

    আধুনিক কালে (সামাজিক) গবেষণা পদ্ধতি বলতে প্রথমেই আপনার ধরে নিতে হবে যে তেমন কোনো আপ্তজ্ঞান আপনার থাকা চলবে না। কোনো বৌদ্ধিক উপলব্ধিও থাকা চলবে না। এমনকি যাকে কমনসেন্স বলে সেটাও কম থাকলে ভালো। বা কমনসেন্স দিয়ে আগানোর ইচ্ছা না-থাকা ভালো। আপনার গবেষণা করে-করে অনুসিদ্ধান্ত বলতে হবে; উপলব্ধি বলতে হবে। আপনার তামাম অভিব্যক্তিই গবেষণালব্ধ হলে ভালো। আপনি একজন সামাজিক গবেষক-এর থেকে আমরা কী বুঝব? আমরা বুঝব যে আপনি সামাজিক কম, এবং গবেষক বেশি। এমনকি আপনাকে অসামাজিক সাব্যস্ত করে আগালেই বরং আপনার পেশাজীবীতা সম্বন্ধে সর্বাপেক্ষা সঠিক ধারণা করা হতে পারে। ঐতিহ্য প্রসঙ্গ এলেই আপনাদের অনেকের যেমন কান্নামাখা গলাভেজা জাতীয়তাবোধ জাগরুক হয়, সেটা মেহেরবানি করে খানিকক্ষণের জন্য অব্যহতি দিন। নাহলে এই হারিয়ে যাওয়া বিষয়ক আজকের বোঝাবুঝিতে ভেজাল বাধবে। তবে আমাদের আলোচ্য বিষয় খাদ্যবস্তু বিধায় জাতীয়তাবোধের সঙ্গে আপনাদের লোভও জাগতে পারে। ধরা যাক রুমালি রুটি, কিংবা বাঙ্গির হালুয়া। না ধরুন, বাখরখানি; এটাই ফাইনাল। বাখরখানি অবশ্য আপনার অত্যন্ত নরম ডেলিকেট হাতে ধরতে হবে। এটা ‘পুরান ঢাকা’র ‘ঐতিহ্য’ ইত্যাদি নিয়ে নানান কথা আপনি বলতেই পারেন। তবে সবচেয়ে ভালো হয় খাবার সময় এসব আলোচনা না-করা। এটা খুবই নাজুক ও ডেলিকেট বস্তু। আপনার আলাপের সময় আধচ িবানো বাখরখানি ধুলিময় হয়ে আপনার প্রিয়তম, কিংবা বসের মুখে গিয়ে পড়তে পারে। তো, এটা এখনো ‘বিলুপ্ত’ ঐতিহ্য নয়। তবে ধারণা বা আশঙ্কা করা যেতে পারে এর অবলোপের। এই বস্তুটার পরতে পরতে লেয়ারে লেয়ারে এমন কেয়ার থাকে, ধরলেই বুঝতে পারবেন যে এর কারিগরের নিষ্ঠার সঙ্গে তা শিখতে হয়। কারিগরের ওস্তাদ থাকেন, তাঁর ওস্তাদ থাকেন, তাঁরও ওস্তাদ থেকেছিলেন। পরম্পরা যাকে বলে, ঐতিহ্যের ক্ষেত্রে যা অতীব প্রাসঙ্গিক। এর আটা-ময়দাও, আন্দাজ করা যায় বিশেষ পদ্ধতিতে প্রক্রিয়াজাত করা লাগে। এর চুলাও যে কোনো চুলা নয় যে টু-বার্নার একটা জায়গামতো লাগিয়ে নিলেন। তো এই লেয়ারসম্পন্ন কেয়ারজাত বস্তুটা তো বানাতে হবে!
    No Specifications