Skip to Content
গারো

Price:

640.00 ৳


গান্ধীর আত্মকথা
গান্ধীর আত্মকথা
560.00 ৳
700.00 ৳ (20% OFF)
গাঢ় শঙ্খের খোঁজে অন্যান্য প্রবন্ধ
গাঢ় শঙ্খের খোঁজে অন্যান্য প্রবন্ধ
450.00 ৳
500.00 ৳ (10% OFF)

গারো

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/12865/image_1920?unique=e171086

640.00 ৳ 640.0 BDT 800.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

ভারতবর্ষ প্রাগৈতিহাসিক কালে কখনোই আর্যাবর্ত ছিল না। খ্রিষ্টপূর্ব ও আর্যপূর্বকাল থেকেই ভারতে প্রাচীন মানুষের আগমন ঘটেছে— বিশেষত আদিম অস্ট্রিকভাষাভাষী অস্ট্রেলীয়-এশিয়াটিক মানুষের । তাদের গাত্রবর্ণ কৃষ্ণকায়, চুল কোঁকড়ানো এবং দেহের গড়ন দোহারা । আবার মঙ্গোলীয় রক্তধারার মানবের গাত্রবর্ণ হরিদ্রাভ, মুখমণ্ডল গোলাকার, চোখ পিটপিটে, অনেকাংশে দাড়ি গোঁফহীন । অস্ট্রিক ভাষাভাষীদের প্রথম আগমন ঘটেছিল প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে দক্ষিণ ভারতের সমুদ্র উপকূলে । অপরদিকে ভারতবর্ষে মঙ্গোলীয় রক্তধারার মানব যেমন গারো, খাসী, হাজং, চাকমা, ম্রো, ত্রিপুরা, রাজবংশী, কোচ ইত্যাদি নৃগোষ্ঠীর আগমন ঘটে তিব্বত ও চীনের হোয়াংহো ও ইয়াংসী নদীর অববাহিকা থেকে । তাদের আগে ভারতবর্ষের এই জনপদে মনুষ্য-বসতি ছিল কি-না তা নিয়ে নৃতাত্ত্বিক-গবেষক, ইতিহাসবিদ ও প্রত্নতাত্ত্বিক-গবেষকদের মাঝে বিতর্কের মীমাংসা আজ অবধি শেষ হয়নি । আর সেই সকল কৃষ্ণকায় ও হরিদ্রাভ মানুষেরা ছিল সাঁওতাল, ওরাওঁ, মুণ্ডা এবং গারো, খাসিয়া, হাজং, চাকমা, ত্রিপুরা, ম্রো, মণিপুরী, বম, রাজবংশী ইত্যাদি নানা রকম ভিন্নভাষাভাষী মানুষের পূর্ব পুরুষরাই । যদিও তাদের মধ্যে ভাষাগত ব্যবধান সত্ত্বেও তাদের সংস্কৃতি, আচার-আচরণ, খাদ্য গ্রহণ, পোশাক-পরিচ্ছদ, মোটামুটি অমিলের চেয়ে মিলই বেশি ।

ড. মুস্তাফা মজিদ

ড. মুস্তাফা মজিদ কবি ও গবেষক মুস্তাফা মজিদ এর রয়েছে ১০টি কাব্যগ্রন্থ। যথাক্রমে- ‘মেঘবতী সুবর্ণভূমি, “তােকে নিয়ে প্রেম প্রেম খেলা, কুসুমিত পঞ্চদশী’, ‘পুষ্পপত্রে নীলকণ্ঠ’, ‘জনযুদ্ধের কনভয়, ‘সাকিন সুবিদখালী’, ‘স্বাতীর কাছে চিঠি’, Diary of a Nepalese Guerrillas সম্পাদিত কবিতাসমগ্র ঃ মাও সেতুঙ এবং নিবেদিত কবিতা সংকলন ‘প্রাণিত রবীন্দ্রনাথ’ । এই কবি কবিতা লেখার পাশাপাশি বাংলাদেশে বসবাসরত। মঙ্গোলীয় ক্ষুদ্র নৃগােষ্ঠীর মানুষদের নিয়ে গবেষণার সঙ্গে সঙ্গে লােক প্রশাসন ও আমলাতন্ত্র নিয়েও গবেষণা করে আসছেন। বাংলাদেশের রাখাইন জাতিসত্তার আর্থ-সামাজিক ও প্রশাসনিক সমীক্ষা নিয়ে অভিসন্দর্ভ রচনার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচ ডি ডিগ্রী অর্জন করেন। যা বাংলাদেশের রাখাইন’ শিরােনামে বাংলা ভাষায় বাংলা। একাডেমী এবং The Rakhaines শিরােনামে ইংরেজি ভাষায়। ঢাকার মাওলা ব্রাদার্স থেকে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় । ড. মুস্তাফা মজিদের এ পর্যন্ত রচিত ও সম্পাদিত গ্রন্থ সংখ্যা। ৪০ উর্ধ্ব। তার উল্লেখযােগ্য গ্রন্থের মধ্যে ত্রিপুরা জাতি। পরিচয়’, ‘পটুয়াখালীর রাখাইন উপজাতি', আদিবাসী রাখাইন’, ‘মারমা জাতিসত্তা' বাংলাদেশে মঙ্গোলীয়। আদিবাসী’, ‘গারাে জাতিসত্তহজং জাতিসত্তা’, আদিবাসী সংস্কৃতি (১ম ও ২য় খণ্ড), রূপান্তরের দেশকাল’, ‘সমকালের আত্মকথন’, ‘লােক প্রশাসনের তাত্ত্বিক প্রসঙ্গ’, ‘বাংলাদেশের আমলাতন্ত্র', 'রাজনীতিতে সামরিক আমলাতন্ত্র’, ‘নেতৃত্বের স্বরূপ’, বাংলাদেশে বঙ্কিমচন্দ্র’, ‘মুক্ত ও মুগ্ধদৃষ্টির রবীন্দ্র বিতর্ক’ । আর ছােটদের জন্য রচিত ও সম্পাদিত গল্প গ্রন্থ। ‘দীপুর স্বপ্নের অরণি’, ‘জীবন থেকে’ ও ‘ছােটদের ৭টি মঞ্চ নাটক’ এবং জীবনী গ্রন্থ ‘রূপকথার নায়ক হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন’ ও ‘বঙ্গবীর ওসমানী। মার্কসীয় মুক্ত চিন্তার যৌক্তিক দৃষ্টবাদে অবিচল মুস্তাফা মজিদ কৈশােরে উনসত্তরের গণ অভ্যুত্থান এবং একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে। অংশগ্রহণসহ কৈশাের থেকেই নানা সাংস্কৃতিক আন্দোলনে। জড়িত । বাংলা একাডেমীর জীবন সদস্য, জাতীয় কবিতা পরিষদ, ছায়ানট, ঢাকা থিয়েটার ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য। এছাড়াও তিনি সত্তর ও আশির দশকে শিশু-কিশাের। সংগঠন গড়া ও নাট্য আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলেন । পেশায় প্রথমে সাংবাদিকতা এবং পরে ১৯৮৪ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তথা বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরত আছেন। বর্তমানে মহাব্যবস্থাপক ড. মুস্তাফা মজিদ ১৯৫৫ সালের ১৪ই এপ্রিল পটুয়াখালী জেলার সুবিদখালীতে জন্মগ্রহণ করেন । ভ্রমণ করেছেন ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, সুইডেন, জার্মানী, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ড।

Title

গারো

Author

ড. মুস্তাফা মজিদ

Publisher

Journeyman Books

Number of Pages

328

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Social and Cultural life
  • First Published

    JUN 2023

    ভারতবর্ষ প্রাগৈতিহাসিক কালে কখনোই আর্যাবর্ত ছিল না। খ্রিষ্টপূর্ব ও আর্যপূর্বকাল থেকেই ভারতে প্রাচীন মানুষের আগমন ঘটেছে— বিশেষত আদিম অস্ট্রিকভাষাভাষী অস্ট্রেলীয়-এশিয়াটিক মানুষের । তাদের গাত্রবর্ণ কৃষ্ণকায়, চুল কোঁকড়ানো এবং দেহের গড়ন দোহারা । আবার মঙ্গোলীয় রক্তধারার মানবের গাত্রবর্ণ হরিদ্রাভ, মুখমণ্ডল গোলাকার, চোখ পিটপিটে, অনেকাংশে দাড়ি গোঁফহীন । অস্ট্রিক ভাষাভাষীদের প্রথম আগমন ঘটেছিল প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে দক্ষিণ ভারতের সমুদ্র উপকূলে । অপরদিকে ভারতবর্ষে মঙ্গোলীয় রক্তধারার মানব যেমন গারো, খাসী, হাজং, চাকমা, ম্রো, ত্রিপুরা, রাজবংশী, কোচ ইত্যাদি নৃগোষ্ঠীর আগমন ঘটে তিব্বত ও চীনের হোয়াংহো ও ইয়াংসী নদীর অববাহিকা থেকে । তাদের আগে ভারতবর্ষের এই জনপদে মনুষ্য-বসতি ছিল কি-না তা নিয়ে নৃতাত্ত্বিক-গবেষক, ইতিহাসবিদ ও প্রত্নতাত্ত্বিক-গবেষকদের মাঝে বিতর্কের মীমাংসা আজ অবধি শেষ হয়নি । আর সেই সকল কৃষ্ণকায় ও হরিদ্রাভ মানুষেরা ছিল সাঁওতাল, ওরাওঁ, মুণ্ডা এবং গারো, খাসিয়া, হাজং, চাকমা, ত্রিপুরা, ম্রো, মণিপুরী, বম, রাজবংশী ইত্যাদি নানা রকম ভিন্নভাষাভাষী মানুষের পূর্ব পুরুষরাই । যদিও তাদের মধ্যে ভাষাগত ব্যবধান সত্ত্বেও তাদের সংস্কৃতি, আচার-আচরণ, খাদ্য গ্রহণ, পোশাক-পরিচ্ছদ, মোটামুটি অমিলের চেয়ে মিলই বেশি ।
    No Specifications