Skip to Content
আমার বাবা শহীদ কর্নেল জামিল (বীর উত্তম)

Price:

400.00 ৳


আমার জীবন : খণ্ড ৫
আমার জীবন : খণ্ড ৫
640.00 ৳
800.00 ৳ (20% OFF)
আমার রেণু
আমার রেণু
360.00 ৳
450.00 ৳ (20% OFF)
20% OFF

আমার বাবা শহীদ কর্নেল জামিল (বীর উত্তম)

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/11827/image_1920?unique=7842928

400.00 ৳ 400.0 BDT 500.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

সেই দিন ভোরে, শহীদ কর্নেল জামিলের জন্য তার পরিবার থেকে বিদায় নিয়ে যাওয়াটা একটা কঠিন সিদ্ধান্ত ছিলো। ঘটনাটি আমি আমাদের মুসলিম ইতিহাসে হযরত ইমাম হোসাইন (আ:) এর সাথে কিছুটা তুলনা করতে পারি। ৬১ হিজরী সনে ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কারবালায় এজিদের বিশাল সৈন্যবাহিনীর সম্মুখীন হয়েছিলেন। এভাবেই নীতিবান, আদর্শবান একজন বীর তার কাজের মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে নজির রেখে যান এবং তা থেকে আমরা অনুপ্রাণিত হই। কারবালার ঘটনা ন্যায় এবং অন্যায়ের বিরাট এক শিক্ষা। কারবালা আমাদের মনে করিয়ে দেয় আমাদের দায়িত্ব। বুঝিয়ে দেয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে নিঃসার্থভাবে সব কিছু বিলিয়ে দিতে! শহীদ কর্নেল জামিল তেমনি তার আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমাদের শিখিয়েছেন নিষ্ঠাবান হতে, দেশপ্রেম ও জাতিকে ভালোবাসতে এবং পিতার মর্যাদা রক্ষা করতে। তাকেও বলা হয়েছিলো ফিরে যাবার জন্য। উত্তরে তিনি বলেছিলেন, “আমি তো ফিরে যেতে আসিনি। তোমরা আমার কমান্ড মানো। আমাকে যেতে দাও ‘বঙ্গবন্ধুর’ কাছে।” তাই হয়েছিলো; সৈন্যরা তার কথা মেনে পথ ছেড়ে দিয়েছিলো। কিন্তু ঘাতকেরা সেদিন ছিলো নিষ্ঠুর। যে কোনো মূল্যে বঙ্গবন্ধুকে তার পরিবারসহ নিঃশেষ করে দিতে হবে। যুগে যুগে এভাবেই বীরদের জন্ম হয় আামাদের বিবেককে স্মরণ করিয়ে দেবার জন্য। অনেকে বলেন, কর্নেল জামিল তো খালি হাতে চলে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুকে বাঁচাতে। কিন্তু আমি বলি, উনি খালি হাতে যাননি। তিনি তার ভালোবাসা, বিশ্বাস, দায়িত্ববোধ, শপথ, দেশপ্রেম, আত্মবিশ্বাস, কর্তব্যপরায়ণতা সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। সে দিন ভোরে পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে ছুটে যাওয়াটা কি তার ভুল ছিলো? বোকামি ছিলো?

আফরোজা জামিল কংকা

আফরোজা জামিল কঙ্কা জন্ম, ঢাকায়। বাবা শহীদ বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জামিল উদ্দিন আহমেদ এবং মা আনজুমান আরা জামিল। তিনি একজন দৃশ্যমান চিত্রশিল্পী। ১৯৭৯ সালে মাধ্যমিক শেষ করে কলেজ অব ফাইন আর্টস অ্যান্ড ক্রাফট্স, ঢাকা থেকে ১৯৮১ সালে প্রি ডিগ্রি বিএফএ সমাপ্ত করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা অনুষদের প্রাচ্যকলা বিভাগ থেকে ব্যাচেলর অব ফাইন আর্টস ডিগ্রি লাভ করেন ১৯৮৫ সালে।১৯৮৬ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত দুবছর আড়ং ডিজাইন সেন্টারে ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেন। ছাপচিত্রের ওপরে ১৯৯০ সালে এবং স্টুডিও পটারির ওপর ২০০৪ সালে পড়াশোনা করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। দেশে এবং বিদেশে তার আটটি একক এবং বহু দলীয় চিত্রপ্রদর্শনী হয়েছে। বিভিন্ন শিল্প শিবির ও শিল্প কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছেন এবং আয়োজনও করেছেন।

Title

আমার বাবা শহীদ কর্নেল জামিল (বীর উত্তম)

Author

আফরোজা জামিল কংকা

Publisher

Shrabon Prokashani

Number of Pages

256

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Politics
  • First Published

    FEB 2024

     Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

     Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

     Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

     International Delivery: Charges vary by country and book weight - will be informed after order confirmation.

     3 Days Happy Return. Change of mind is not applicable

     Multiple Payment Methods: Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

    সেই দিন ভোরে, শহীদ কর্নেল জামিলের জন্য তার পরিবার থেকে বিদায় নিয়ে যাওয়াটা একটা কঠিন সিদ্ধান্ত ছিলো। ঘটনাটি আমি আমাদের মুসলিম ইতিহাসে হযরত ইমাম হোসাইন (আ:) এর সাথে কিছুটা তুলনা করতে পারি। ৬১ হিজরী সনে ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কারবালায় এজিদের বিশাল সৈন্যবাহিনীর সম্মুখীন হয়েছিলেন। এভাবেই নীতিবান, আদর্শবান একজন বীর তার কাজের মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে নজির রেখে যান এবং তা থেকে আমরা অনুপ্রাণিত হই। কারবালার ঘটনা ন্যায় এবং অন্যায়ের বিরাট এক শিক্ষা। কারবালা আমাদের মনে করিয়ে দেয় আমাদের দায়িত্ব। বুঝিয়ে দেয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে নিঃসার্থভাবে সব কিছু বিলিয়ে দিতে! শহীদ কর্নেল জামিল তেমনি তার আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমাদের শিখিয়েছেন নিষ্ঠাবান হতে, দেশপ্রেম ও জাতিকে ভালোবাসতে এবং পিতার মর্যাদা রক্ষা করতে। তাকেও বলা হয়েছিলো ফিরে যাবার জন্য। উত্তরে তিনি বলেছিলেন, “আমি তো ফিরে যেতে আসিনি। তোমরা আমার কমান্ড মানো। আমাকে যেতে দাও ‘বঙ্গবন্ধুর’ কাছে।” তাই হয়েছিলো; সৈন্যরা তার কথা মেনে পথ ছেড়ে দিয়েছিলো। কিন্তু ঘাতকেরা সেদিন ছিলো নিষ্ঠুর। যে কোনো মূল্যে বঙ্গবন্ধুকে তার পরিবারসহ নিঃশেষ করে দিতে হবে। যুগে যুগে এভাবেই বীরদের জন্ম হয় আামাদের বিবেককে স্মরণ করিয়ে দেবার জন্য। অনেকে বলেন, কর্নেল জামিল তো খালি হাতে চলে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুকে বাঁচাতে। কিন্তু আমি বলি, উনি খালি হাতে যাননি। তিনি তার ভালোবাসা, বিশ্বাস, দায়িত্ববোধ, শপথ, দেশপ্রেম, আত্মবিশ্বাস, কর্তব্যপরায়ণতা সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। সে দিন ভোরে পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে ছুটে যাওয়াটা কি তার ভুল ছিলো? বোকামি ছিলো?
    No Specifications