Skip to Content
টুইটুবানির ফুল

Price:

624.00 ৳


টু কিল আ মকিংবার্ড (হারপার লী) (অবসর)
টু কিল আ মকিংবার্ড (হারপার লী) (অবসর)
480.00 ৳
600.00 ৳ (20% OFF)
টুঙ্গিপাড়া থেকে ধানমন্ডি ৩২
টুঙ্গিপাড়া থেকে ধানমন্ডি ৩২
368.00 ৳
460.00 ৳ (20% OFF)
20% OFF

টুইটুবানির ফুল

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/13229/image_1920?unique=fa64fa7

624.00 ৳ 624.0 BDT 780.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

অনেকটা সময় একরকম করে বসে থেকে শরীর লেগে আছে। একটু ঘুরে বসতে চাইল মিরু। ডানে-বায়ে নড়ে বসতেই চেয়ারটা ক্যাঁচক্যাঁচ শব্দ করে কেঁদে উঠল। ভেঙে যাবে না তো? অবচেতনে নিজের তলপেট আঁকড়ে ধরল ও। সদ্য জানান দেওয়া যে অস্তিত্বটা ওর শরীরজুড়ে, তার কোনোবা ক্ষতি হতে দেবে না যেন! ডান হাতের পরে বাঁহাতটাও তলপেটে রাখল ও। আদর করার ভঙ্গিতে জড়িয়ে ধরল। যে ভ্রুণটা আরেকটা মিরু হয়ে পৃথিবীতে আসতে চাইছে, নিজের সমস্ত সত্ত্বা দিয়ে তাকে অনুভব করতে চাইল। চোখ মুদে আত্মায় অনুভব করতে চাইল নিজের সন্তানকে। তারপর বিদ্রুপাত্মক হাসি ফুটে উঠল ওর ঠোঁটজুড়ে, বড়ো নির্মম আর ক্রুর সে হাসি! এই অনাগত সন্তানকেই তো হত্যা করতে এখানে এসেছে মিরু! মিরু যেন ছোটো হৃদপিণ্ডের কম্পনগুলোর সারগাম শুনতে পেল। টের পেল ওই কোমল কলির মতো শরীরটুকুনের উষ্ণতা! মিরুর একটু ছুঁতে ইচ্ছে করল ছোট্ট মানুষটাকে। একটু কোলে নিতে ইচ্ছে করল। বুকের একদম ভেতরে নিয়ে বাচ্চাটাকে চেপে ধরতে মন কেমন করল। ছোটো আঙুলগুলোকে পেঁচিয়ে ধরার জন্য ওর আঙুলের ডগায় ডগায় ব্যথার বোধ ঢেউ তুলল, শরীরজুড়ে পিপাসা পেল। পেয়েও সব হারানোর যন্ত্রনায় ওর কষ্ট শুরু হলো। গলার নিচের দিকে, শ্বাসযন্ত্রটাকে ঠেসে ধরে, এক দলা কান্না ঘুরে ঘুরে পাকিয়ে উঠল। দমবন্ধ লাগতে লাগল ওর। ও চোখ বন্ধ করে ফেলল। বুজে থাকা চোখের পানিতে ভিজে যেতে লাগল ওর দুই গাল, চিবুক, বুক, হৃদয়ের অলিগলি! - 'আম্মা, কাঁদতেছেন কেন? কষ্ট হইতেছে? তাইলে ফালায়েন না বাচ্চাডা। রাইখা দেন। ছোটো স্যাররে সব খুইলা কন। আমনে না কন আমি কই? নাইলে মিয়াভাইয়ের কাছে চইলা যান। মিয়াভাই আপনারে চোখে হারায়। বাচ্চার কথা জানলে আপনারে তারা মাথায় কইরা রাখব। সব ঠিক হয়ে যাবে, আম্মা! বাচ্চা জানটারে বাঁচায়ে রাখেন! বাচ্চা জানটার তো কোনো দোষ নাই!’ এক মুহূর্তের জন্য মিরুর পুরো পৃথিবীটা ভীষণ রকম সুখী হয়ে উঠল। কী সুন্দর কথা! বাচ্চা জান! বাচ্চা একটা জান! খুব কি ক্ষতি হবে এই বাচ্চা জানটা পৃথিবীতে এসে গেলে? একটা গোলুমোলু মেয়েবাবু আসুক। তার নাম দেবে ও টুইটুবানির ফুল! আদর করে টুইপাখি বলে ডাকবে ওকে। পুরো নাম ধরে ডাকবে না মিরু ওকে। ছোটো করে ডাকবে ‘টুইপাখি? ও টুইপাখি?

আফসানা আশা

আফসানা আশা সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যমে ‘টুইটুবানির ফুল’ নামের পাঠকপ্রিয় ধারাবাহিক বড়গল্প দিয়ে। লেখালেখির শুরু ১৯৮৮ সালে খুলনায় জন্ম। নেওয়া আফসানা আশা’র। পড়াশােনা ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে, ভালােবাসার জায়গাও সাহিত্য। ব্যক্তিগত জীবনে এক কন্যাসন্তানের জননী। নিজেকে রঙধনুর মাম্মাম বলে পরিচয় দিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বােধ করেন।

Title

টুইটুবানির ফুল

Author

আফসানা আশা

Publisher

Anuj Prokashon

Number of Pages

383

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Novel
  • First Published

    FEB 2025

     Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

     Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

     Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

     International Delivery: Charges vary by country and book weight - will be informed after order confirmation.

     3 Days Happy Return. Change of mind is not applicable

     Multiple Payment Methods: Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

    অনেকটা সময় একরকম করে বসে থেকে শরীর লেগে আছে। একটু ঘুরে বসতে চাইল মিরু। ডানে-বায়ে নড়ে বসতেই চেয়ারটা ক্যাঁচক্যাঁচ শব্দ করে কেঁদে উঠল। ভেঙে যাবে না তো? অবচেতনে নিজের তলপেট আঁকড়ে ধরল ও। সদ্য জানান দেওয়া যে অস্তিত্বটা ওর শরীরজুড়ে, তার কোনোবা ক্ষতি হতে দেবে না যেন! ডান হাতের পরে বাঁহাতটাও তলপেটে রাখল ও। আদর করার ভঙ্গিতে জড়িয়ে ধরল। যে ভ্রুণটা আরেকটা মিরু হয়ে পৃথিবীতে আসতে চাইছে, নিজের সমস্ত সত্ত্বা দিয়ে তাকে অনুভব করতে চাইল। চোখ মুদে আত্মায় অনুভব করতে চাইল নিজের সন্তানকে। তারপর বিদ্রুপাত্মক হাসি ফুটে উঠল ওর ঠোঁটজুড়ে, বড়ো নির্মম আর ক্রুর সে হাসি! এই অনাগত সন্তানকেই তো হত্যা করতে এখানে এসেছে মিরু! মিরু যেন ছোটো হৃদপিণ্ডের কম্পনগুলোর সারগাম শুনতে পেল। টের পেল ওই কোমল কলির মতো শরীরটুকুনের উষ্ণতা! মিরুর একটু ছুঁতে ইচ্ছে করল ছোট্ট মানুষটাকে। একটু কোলে নিতে ইচ্ছে করল। বুকের একদম ভেতরে নিয়ে বাচ্চাটাকে চেপে ধরতে মন কেমন করল। ছোটো আঙুলগুলোকে পেঁচিয়ে ধরার জন্য ওর আঙুলের ডগায় ডগায় ব্যথার বোধ ঢেউ তুলল, শরীরজুড়ে পিপাসা পেল। পেয়েও সব হারানোর যন্ত্রনায় ওর কষ্ট শুরু হলো। গলার নিচের দিকে, শ্বাসযন্ত্রটাকে ঠেসে ধরে, এক দলা কান্না ঘুরে ঘুরে পাকিয়ে উঠল। দমবন্ধ লাগতে লাগল ওর। ও চোখ বন্ধ করে ফেলল। বুজে থাকা চোখের পানিতে ভিজে যেতে লাগল ওর দুই গাল, চিবুক, বুক, হৃদয়ের অলিগলি! - 'আম্মা, কাঁদতেছেন কেন? কষ্ট হইতেছে? তাইলে ফালায়েন না বাচ্চাডা। রাইখা দেন। ছোটো স্যাররে সব খুইলা কন। আমনে না কন আমি কই? নাইলে মিয়াভাইয়ের কাছে চইলা যান। মিয়াভাই আপনারে চোখে হারায়। বাচ্চার কথা জানলে আপনারে তারা মাথায় কইরা রাখব। সব ঠিক হয়ে যাবে, আম্মা! বাচ্চা জানটারে বাঁচায়ে রাখেন! বাচ্চা জানটার তো কোনো দোষ নাই!’ এক মুহূর্তের জন্য মিরুর পুরো পৃথিবীটা ভীষণ রকম সুখী হয়ে উঠল। কী সুন্দর কথা! বাচ্চা জান! বাচ্চা একটা জান! খুব কি ক্ষতি হবে এই বাচ্চা জানটা পৃথিবীতে এসে গেলে? একটা গোলুমোলু মেয়েবাবু আসুক। তার নাম দেবে ও টুইটুবানির ফুল! আদর করে টুইপাখি বলে ডাকবে ওকে। পুরো নাম ধরে ডাকবে না মিরু ওকে। ছোটো করে ডাকবে ‘টুইপাখি? ও টুইপাখি?
    No Specifications