Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)
Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)
Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)
International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.
3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable
Multiple Payment Methods
Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available.
এক দুপুরে আনিস ভাইয়ের ফোন। তুমি কি অফিসে? তাইলে একটু আমার রম্নমে আস। আমি অফিসেই ছিলাম। তাই একটু না পুরােপুরি গিয়ে হাজির হলাম। উনি উনার একগাদা বই ধরিয়ে দিয়ে বললেন, এগুলা পড়। আমি বললাম, জ্ঞান লাভের জন্য? উনি বললেন, হ, তােমার জ্ঞানের অভাব আছে। জ্ঞানই শক্তি। মনােযােগ দিয়ে পইড়াে কিন্তু।
উনি সিরিয়াসলিই পড়তে বলতেছেন নাকি রসিকতা বুঝতে না পেরে বলি, আপনার রম্য লেখা তাে আমি নিয়মিতই পড়ি। এ পর্যত্ম যা লিখছেন সব গােগ্রাসে পড়েছি। আবার পড়তে বলতেছেন? কোন পরীঙ্গা-টরীড়া দিতে হবে নাকি আপনার লেখার উপর? এমসিকিউ হইলে সুবিধা। খাটনি কম। আনিস ভাই বলেন, ফাইজলামি কইরাে না। বিভাস প্রকাশনী আমার একটা বাছাই রম্য বের করতে চায়। তুমি এগুলা থেকে একটু বাইছা দাও। মনে মনে বলি, কেমনে কি? ইদানীং ফেসবুকের স্ট্যাটাস ছাড়া কিছু পড়ি না, পড়তে ভালােও লাগে না। এতগুলাে বই কেমনে পড়বাে? বাঁচার জন্য বলি, আনিস ভাই আপনার সব লেখাই তাে অসাধারণ। বাছা-বাছির কোন অবকাশ নাই। সবগুলাে এক মলাটে বাই ফেলেন। কোন লেখা বাদ দিয়ে পাঠককে রস বঞ্চিত করা ঠিক হবে না। | আনিস ভাই এই তেল নিলেন না। তা তাে বটেই, তা তাে বটেই বলতে বলতে টোপ ফেললেন একটা, যাও তুমি লেখা বাছাই করে দিলে এই বই তােমার নামে হবে। বইয়ের নাম হবে, সিমু নাসের সম্পাদিত আনিসুল হকের বাছাই রম্য। এমনকি বইয়ের রয়্যালিটির টাকাও পাবা। আমার লেখা বইয়ের টাকায় তুমি কোটিপতি হয়ে যাবা। এ সুযােগ জীবনে বার বার আসবে না। আমি সেদিন থেকে সম্ভবত পৃথিবীর প্রথম ব্যক্তি হিসেবে কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বই পড়া শুরম্ন করলাম।
মানুষ বলে সঙ্গ দোষে লােহা ভাসে। আমি বলি, একই লেখকের লেখা দিন রাত পড়লে পাঠকের উপর লেখকের শারীরিক ও মানসিক প্রভাব পড়ে। আনিস ভাইয়ের সাত খন্ড রম্য রচনা পড়তে পড়তে আমার মাথার চুল সামনের দিকে আনিস ভাইয়ের মতাে পাকা শুরম্ন করলাে, গায়ের রং উজ্জ্বল শ্যামবর্ন থেকে ফর্সায় টার্ন নিলাে, মনের মধ্যে গােফ রাখার বাসনা জাগলাে। অফিসে উনি যাদের যাদের তুমি তুমি করে বলেন আমারও তাদের তুমি তুমি
এক দুপুরে আনিস ভাইয়ের ফোন। তুমি কি অফিসে? তাইলে একটু আমার রম্নমে আস। আমি অফিসেই ছিলাম। তাই একটু না পুরােপুরি গিয়ে হাজির হলাম। উনি উনার একগাদা বই ধরিয়ে দিয়ে বললেন, এগুলা পড়। আমি বললাম, জ্ঞান লাভের জন্য? উনি বললেন, হ, তােমার জ্ঞানের অভাব আছে। জ্ঞানই শক্তি। মনােযােগ দিয়ে পইড়াে কিন্তু।
উনি সিরিয়াসলিই পড়তে বলতেছেন নাকি রসিকতা বুঝতে না পেরে বলি, আপনার রম্য লেখা তাে আমি নিয়মিতই পড়ি। এ পর্যত্ম যা লিখছেন সব গােগ্রাসে পড়েছি। আবার পড়তে বলতেছেন? কোন পরীঙ্গা-টরীড়া দিতে হবে নাকি আপনার লেখার উপর? এমসিকিউ হইলে সুবিধা। খাটনি কম। আনিস ভাই বলেন, ফাইজলামি কইরাে না। বিভাস প্রকাশনী আমার একটা বাছাই রম্য বের করতে চায়। তুমি এগুলা থেকে একটু বাইছা দাও। মনে মনে বলি, কেমনে কি? ইদানীং ফেসবুকের স্ট্যাটাস ছাড়া কিছু পড়ি না, পড়তে ভালােও লাগে না। এতগুলাে বই কেমনে পড়বাে? বাঁচার জন্য বলি, আনিস ভাই আপনার সব লেখাই তাে অসাধারণ। বাছা-বাছির কোন অবকাশ নাই। সবগুলাে এক মলাটে বাই ফেলেন। কোন লেখা বাদ দিয়ে পাঠককে রস বঞ্চিত করা ঠিক হবে না। | আনিস ভাই এই তেল নিলেন না। তা তাে বটেই, তা তাে বটেই বলতে বলতে টোপ ফেললেন একটা, যাও তুমি লেখা বাছাই করে দিলে এই বই তােমার নামে হবে। বইয়ের নাম হবে, সিমু নাসের সম্পাদিত আনিসুল হকের বাছাই রম্য। এমনকি বইয়ের রয়্যালিটির টাকাও পাবা। আমার লেখা বইয়ের টাকায় তুমি কোটিপতি হয়ে যাবা। এ সুযােগ জীবনে বার বার আসবে না। আমি সেদিন থেকে সম্ভবত পৃথিবীর প্রথম ব্যক্তি হিসেবে কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বই পড়া শুরম্ন করলাম।
মানুষ বলে সঙ্গ দোষে লােহা ভাসে। আমি বলি, একই লেখকের লেখা দিন রাত পড়লে পাঠকের উপর লেখকের শারীরিক ও মানসিক প্রভাব পড়ে। আনিস ভাইয়ের সাত খন্ড রম্য রচনা পড়তে পড়তে আমার মাথার চুল সামনের দিকে আনিস ভাইয়ের মতাে পাকা শুরম্ন করলাে, গায়ের রং উজ্জ্বল শ্যামবর্ন থেকে ফর্সায় টার্ন নিলাে, মনের মধ্যে গােফ রাখার বাসনা জাগলাে। অফিসে উনি যাদের যাদের তুমি তুমি করে বলেন আমারও তাদের তুমি তুমি
No Specifications