Skip to Content
মুক্তি  সংগ্রামে  মেহেরপুর

Price:

256.00 ৳


মুক্তচিন্তায় বাধা
মুক্তচিন্তায় বাধা
240.00 ৳
300.00 ৳ (20% OFF)
মুক্তি কত দূরে
মুক্তি কত দূরে
320.00 ৳
400.00 ৳ (20% OFF)

মুক্তি সংগ্রামে মেহেরপুর

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/27555/image_1920?unique=5b478ad

256.00 ৳ 256.0 BDT 320.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

বাংলাদেশের পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত মেহেরপুর জেলা নানাভাবে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও সংস্কৃতিচর্চায় এ এলাকা বিশেষ অবদান রেখেছে। পলাশীর আম্রকাননে বাংলার সৌভাগ্য-রবি অস্ত গেলে ধীরে ধীরে সারা ভারতবর্ষ রাজনৈতিক অমানিশায় ঢেকে যায় । সমাজে সচেতনতা, শৃঙ্খলা, সাহস ও শক্তির অভাবে যে সুদূরপ্রসারী পরিণতি ঘটে উপমহাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস পর্যালােচনা করলে তা সবার কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্ত হতে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়েছে এদেশের মানুষকে। এরই ধারাবাহিকতায় লক্ষ লক্ষ দেশপ্রেমিকের আত্মত্যাগে স্বাধীন হয়েছে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। | ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার অন্তর্গত মেহেরপুর জেলার। বৈদ্যনাথতলা গ্রামে কিছুসংখ্যক সাহসী ও দূরদর্শী বাঙালি রাজনীতিবিদ বাংলাদেশের স্বাধীন সরকারের পত্তন করেছিলেন। তাঁদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হয়েছিল। পরবর্তীকালে এ ঐতিহাসিক স্থানের নামকরণ করা হয় মুজিবনগর। মুজিবনগর বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা ও দেশপ্রেমের অবিস্মরণীয় ইতিহাস বহন করছে। এই স্থান থেকে কিছু দূরে পলাশীর আম্রকাননে যে গ্লানি, বেদনা, পরাজয় ও হতাশার সূত্রপাত হয়েছিল, তার বিপরীতে বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে সেদিনের সে সিদ্ধান্তের ফলশ্রুতিতে বিজয় অর্জন করতে পেরেছিল এদেশের মুক্তিকামী জনগণ। এ বাংলাদেশের মুক্তিযােদ্ধা এবং সর্বস্তরের জনসাধারণের সক্রিয় অংশগ্রহণে একটি ব্রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের আধিপত্যবাদের নগ্নরূপ প্রকাশ পায়। প্রথমেই আঘাত আসে বাঙালির ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর। অধিকার-সচেতন বাঙালি ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন আন্দোলনমুখী। বায়ত্তশাসন ও স্বাধিকারের পথপরিক্রমায় তারা ধীরে ধীরে এগিয়েছে স্বাধীনতার লক্ষ্যাভিমুখে। শত শহিদের রক্তরাঙা পথে বাঙালির এ সাহসী পদযাত্রা। ১৯৪৮ সালে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার ঘঘাষণার প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে। ওঠে। ১৯৫২ সালে ২১শে ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে মছিল বের হয় তার ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণের ফলে রফিক, সালাম, বরকতসহ বাংলার অনেক সন্তান শহিদ হন। ১৯৫৪ সালের মার্চ মাসের সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব-পাকিস্তানে যুক্তফ্রন্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সরকার গঠন করে। কিন্তু পাকিস্তানি স্বৈরশাসকরা। এ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা মেনে নেয়নি। মে মাসে কেন্দ্রীয় সরকারের ষড়যন্ত্রমূলক নর্দেশে মন্ত্রিসভা ভেঙে দিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়।

Title

মুক্তি সংগ্রামে মেহেরপুর

Publisher

Bangla Academy

Number of Pages

185

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Liberation War-M
  • First Published

    FEB 2019

    বাংলাদেশের পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত মেহেরপুর জেলা নানাভাবে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও সংস্কৃতিচর্চায় এ এলাকা বিশেষ অবদান রেখেছে। পলাশীর আম্রকাননে বাংলার সৌভাগ্য-রবি অস্ত গেলে ধীরে ধীরে সারা ভারতবর্ষ রাজনৈতিক অমানিশায় ঢেকে যায় । সমাজে সচেতনতা, শৃঙ্খলা, সাহস ও শক্তির অভাবে যে সুদূরপ্রসারী পরিণতি ঘটে উপমহাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস পর্যালােচনা করলে তা সবার কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্ত হতে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়েছে এদেশের মানুষকে। এরই ধারাবাহিকতায় লক্ষ লক্ষ দেশপ্রেমিকের আত্মত্যাগে স্বাধীন হয়েছে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। | ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার অন্তর্গত মেহেরপুর জেলার। বৈদ্যনাথতলা গ্রামে কিছুসংখ্যক সাহসী ও দূরদর্শী বাঙালি রাজনীতিবিদ বাংলাদেশের স্বাধীন সরকারের পত্তন করেছিলেন। তাঁদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হয়েছিল। পরবর্তীকালে এ ঐতিহাসিক স্থানের নামকরণ করা হয় মুজিবনগর। মুজিবনগর বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা ও দেশপ্রেমের অবিস্মরণীয় ইতিহাস বহন করছে। এই স্থান থেকে কিছু দূরে পলাশীর আম্রকাননে যে গ্লানি, বেদনা, পরাজয় ও হতাশার সূত্রপাত হয়েছিল, তার বিপরীতে বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে সেদিনের সে সিদ্ধান্তের ফলশ্রুতিতে বিজয় অর্জন করতে পেরেছিল এদেশের মুক্তিকামী জনগণ। এ বাংলাদেশের মুক্তিযােদ্ধা এবং সর্বস্তরের জনসাধারণের সক্রিয় অংশগ্রহণে একটি ব্রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের আধিপত্যবাদের নগ্নরূপ প্রকাশ পায়। প্রথমেই আঘাত আসে বাঙালির ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর। অধিকার-সচেতন বাঙালি ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন আন্দোলনমুখী। বায়ত্তশাসন ও স্বাধিকারের পথপরিক্রমায় তারা ধীরে ধীরে এগিয়েছে স্বাধীনতার লক্ষ্যাভিমুখে। শত শহিদের রক্তরাঙা পথে বাঙালির এ সাহসী পদযাত্রা। ১৯৪৮ সালে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার ঘঘাষণার প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে। ওঠে। ১৯৫২ সালে ২১শে ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে মছিল বের হয় তার ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণের ফলে রফিক, সালাম, বরকতসহ বাংলার অনেক সন্তান শহিদ হন। ১৯৫৪ সালের মার্চ মাসের সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব-পাকিস্তানে যুক্তফ্রন্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সরকার গঠন করে। কিন্তু পাকিস্তানি স্বৈরশাসকরা। এ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা মেনে নেয়নি। মে মাসে কেন্দ্রীয় সরকারের ষড়যন্ত্রমূলক নর্দেশে মন্ত্রিসভা ভেঙে দিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়।
    No Specifications