সুধীন্দ্রনাথ দত্তের সুনির্বাচিত কবিতা

মাত্র এক শাে তিরিশটি মৌলিক কবিতা লিখে যিনি আধুনিক বাংলা কবিতার দ্বিতীয় প্রধান পুরুষ, তাঁর সম্বন্ধে বিস্ময়কর-শব্দটি স্বতঃস্ফূর্ত উঠে আসে। কিন্তু শিল্পে সংখ্যা বা পরিমাণ তাে কোনও ব্যাপার নয়, উৎকর্ষই শেষ বিচাৰ্যবস্তু। আর সেই বিচারে সুধীন্দ্রনাথ ও ১৯০১-৬০) আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম প্রধান পুরুষ। সুধীন্দ্রনাথ জামে ইলেন কলকাতার এক উচ্চশিক্ষিত ও ধনাঢ্য পরিবারে। সুধীন্দ্রনাথের পিতা হরনাথ দত্ত (১৮৬৮-১৯৪২) ছিলেন দার্শনিক, পণ্ডিত, মনীষী ও রাজনীতিবিদ। সাশ্চাত্য দর্শন, ইতিহাস ও সাহিত্যে তার জ্ঞান ছিল ব্যাপক ও গভীর, দুটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন, তাঁর ধর্মবিষয়ক গ্রন্থের সংখ্যা অনেক, বাংলায় কালিদাসের “মেষ [ত”-এর অনুবাদও করেছিলেন। সুধীন্দ্রনাথ তাঁর অসম্পূর্ণ ইংরেজি আত্মজীবনীতে জালি Sইল : যৌবনে রবীন্দ্রসুহৃদ তাঁর পিতা গােপনে কবিতাও লিখতেন। সুধীন্দ্রনাথের টা আপােশ ব দত্ত (১৮৭৬-১৯১৬) ছিলেন সেকালের বিখ্যাত অভিনেতা, তিনিও কটি পত্রিকা পরিচালনা ও সম্পাদনা করেন, বেশ কয়েকটি নাটক ও প্রহসনও তিনি জানাজল করেছিলেন। তার ইংরেজি আত্মজীবনীতে সুধীন্দ্রনাথ তাঁর পিতা ও পিতৃব্য সম্বন্ধে বরিত বর্ণনা করেছেন। সুধীন্দ্রনাথের লেখায় মনীষা ও দার্শনিকতা ও নাট্যীভবন আসলে পারিবারিক ঐতিহ্যসূত্রে পাওয়া। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে এম.এ. সতেছিলেন, কিন্তু পরীক্ষা দেননি। অ্যাটর্নিশিপে শিক্ষানবিশিও করেছিলেন কয়েক বছর কয়েকবার বিদেশ সফর করেন। প্রথমবার রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে। দু বার বিবাহ : প্রথম স্ত্রী ছবি বসু; দ্বিতীয় স্ত্রী রবীন্দ্রসঙ্গীত গায়িকা রাজেশ্বরী দত্ত (১৯২০-৭৬)। লিস্তান । নানারকম পেশায় নিযুক্ত ছিলেন; তার মধ্যে উল্লেখযােগ্য : সাংবাদিকতা কলকতার দৈনিক স্টেটসম্যান' পত্রিকার সহকারী সম্পাদক এবং মানবেন্দ্রনাথ এ-সম্পাদিত মার্কসিয়ান ওয়ে’ পত্রিকার সহযােগী সম্পাদক : ১৯৪৫-৪৯) এবং অধ্যাপনা (যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগে’ : ১৯৫৬-৫৭ এবং ১৯৫৯-৬০)। পরিচয় পত্রিকা (প্রথমে ত্রৈমাসিক : ১৯৩১-৩৬, পরে মাসিক : ১১৩৬-৪৩) প্রকাশ ও সম্পাদনা করেছেন বারাে বছর— যে-পত্রিকা আধুনিক বাংলা সাহিত্যের সুপ্রতিষ্ঠায় একটি প্রধান ভূমিকা উদযাপন করেছে। রচনা করেছেন সাতটি