Skip to Content
নোরা (হেনরিক ইবসেন) (বিএসকে)

Price:

80.00 ৳


নোনাজলের পালঙ্ক
নোনাজলের পালঙ্ক
40.00 ৳
50.00 ৳ (20% OFF)
নৌকাডুবি (কাকলী)
নৌকাডুবি (কাকলী)
96.00 ৳
120.00 ৳ (20% OFF)
20% OFF

নোরা (হেনরিক ইবসেন) (বিএসকে)

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/43114/image_1920?unique=0f5c404

80.00 ৳ 80.0 BDT 100.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

১৮৭০ সালের মধ্যেই ইউরােপীয় নাটকে বাস্তববাদী ধারার ক্ষেত্রে বেশকিছুটা অগ্রগতি হয়ে গেছে। বেশকিছু পরীক্ষানিরীক্ষা এবং নাটক লেখা হয়ে গেছে। একটা মােটামুটি শক্ত ভিত্তিও পেয়ে গিয়েছিল বাস্তববাদী নাটকের ধারা। অনেকে মিলে এই কাজটা করেছেন—কিন্তু বিশেষ এমন একজন তখনাে আসেননি যিনি এই নতুন ধারার প্রতিভূ হিসেবে চিহ্নিত হতে পারেন। নাটকের ক্ষেত্রে যখন সেই মানুষটির অপেক্ষা চলছে ঠিক তখনই হেনরিক ইবসেনের আবির্ভাব। হেনরিক ইবসেনই বহু প্রতীক্ষিত সেই মানুষ। ইবসেনের জন্ম ১৮২৮ সালে নরওয়ের শিয়েন শহরে। ‘পিয়ার জিন্ট লেখার আগ পর্যন্ত জীবনের চল্লিশটি বছর প্রায় পুরােটাই তার দুর্দিন। জীবন-সংগ্রাম, সাহিত্যজীবনে একের পর এক ব্যর্থতা, আর্থিক অনটন—এসবের মধ্যেই কেটেছে। তঁার সময়। জন্ম নিয়েছিলেন অর্থবিত্তশালী পরিবারেই। ইবসেন যখন চার বছরের তখন তাদের পুরাে পরিবারটা বাড়ি বদল করে একটা বড় বাড়িতে চলে আসে। এখানে চলতে থাকে অত্যন্ত বেহিসেবি জীবনযাপন। এভাবে বেশিদিন চালানাে সম্ভব হয়নি। ইবসেন তখন এতই ছােট যে পারিবারিক জৌলুসের সেই দিনগুলাে। পরবর্তী সময়ে তিনি আর মনেও করতে পারতেন না। তার ছয় বছর বয়সের সময়ই পিতা নুড ইবসেন দেউলিয়া হয়ে পড়েন। সুতরাং শিয়েন শহর ছেড়ে গ্রামের দিকে খামারবাড়িতে তাদের চলে যেতে হয়। ইবসেন একেবারে ছােটবেলা থেকেই চুপচাপ। নিজের মধ্যে একটি জগৎ তৈরি করে তার ভেতরে বাস করতেন। তাদের পরিবার ছিল বড় এবং এই বড় পরিবারের বচেয়ে বড় সন্তান তিনি। ছােট্ট পরিত্যক্ত একটি ভাড়ার-ঘর ছিল তার নিজস্ব জগৎ। সেখানে নিরিবিলি ছােটভাইদের ব্যঙ্গ করে ছবি আঁকতেন, থিয়েটার বানিয়ে খেলতেন। এই জগতে কেউ প্রবেশ করার চেষ্টা করলেও ভীষণ খেপে যেতেন ইবসেন। অত্যন্ত জেদি প্রকৃতির ছিলেন বলে কেউ তাকে খুব একটা ঘাটাত না। হেডউইগ নামে তার একটি বােন ছিল। এই বােনটির প্রতি তিনি খুবই দুর্বল ছিলেন। দ্য ওয়াইল্ড ডাক’-এর নায়িকার নাম তিনি রেখেছিলেন হেডউইগ। পরবর্তী জীবনে ইবসেন শুধু এই বােনের সঙ্গেই সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন। ইবসেন ডাক্তার হতে চেয়েছিলেন কিন্তু বাবার অর্থে কুলােয়নি বলে তা হওয়া সম্ভব হয়নি। ডাক্তার না হলেও, বাড়ি থেকে প্রায় পঞ্চাশ মাইল দূরে গ্রিমস্টাডে একটি ওষুধের কারখানায় ছয় বছরের মতাে কাজ করেছিলেন। এখানে তার সময় মােটেই ভালাে কাটেনি। প্রথমদিকে মাঝেমধ্যে শিয়েন শহরে অনিয়মিত হলেও যেতেন, কিন্তু এক পর্যায়ে যােগাযােগ একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। ব্যাপারটা এতদূর

খায়রুল আলম সবুজ

খায়রুল আলম সবুজ একজন বাংলাদেশী অভিনেতা, লেখক, ও অনুবাদক। মঞ্চাভিনয়ের মধ্য দিয়ে কর্মজীবন শুরু করা সবুজ পরবর্তী কালে টেলিভিশন নাটকে নিয়মিত হন। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি সাহিত্যচর্চার সাথেও জড়িতে। তিনি অনুবাদ সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০২০ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। ১২ বছর বয়স থেকে বরিশালে থাকাকালীন অভিনয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন খায়রুল আলম সবুজ। তখন মঞ্চদল করে নাটকে অভিনয় করতেন। তার অভিনীত প্রথম মঞ্চ নাটক ছিল ‘সূর্যমুখী’। এরপর পড়াশোনা করতে পাকিস্তানের করাচিতে চলে যান। সেখানে গান এবং অভিনয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। পিটিভিতে (পাকিস্তান টেলিভিশন) তাকে ১৯৭০ সালে প্রথম গান গেয়েছেন। ১৯৭১ সালের ১৮ মার্চ খায়রুল আলম সবুজ ঢাকায় চলে আসেন। এসে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে। সেখানে ম. হামিদের সঙ্গে ডাকসু নাটক বিভাগ ‘নাট্যচক্র’ গড়ে তোলেন। ম. হামিদ ছিলেন সভাপতি আর সবুজ ছিলেন সাধারণ সম্পাদক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ‘নাট্যচক্র’র মাধ্যমেই তার কর্মজীবন শুরু হয়। মঞ্চে তিনি পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়, এখানে এখন, ওথেলো, সেনাপতিসহ একাধিক নাটকে অভিনয় করেন। টেলিভিশনে তার প্রথম কাজ ছিল বিটিভির টেলিভিশন নাটক জলের রঙ্গে লেখা। টিভিতে তার অভিনীত প্রথম ধারাবাহিক নাটক ছিল ঢাকায় থাকি।তিনি হুমায়ূন আহমেদের কোথাও কেউ নেই টেলিভিশন ধারাবাহিকে মামুন চরিত্রে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে পুনে ইনস্টিটিউট থেকে নির্মিত উজান চলচ্চিত্রে। এরপর তিনি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ছাড়পত্র-এ অভিনয় করেন।

Title

নোরা (হেনরিক ইবসেন) (বিএসকে)

Author

খায়রুল আলম সবুজ

Publisher

Bishwo Shahitto Kendro

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Drama
  •  Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

     Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

     Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

     International Delivery: Charges vary by country and book weight - will be informed after order confirmation.

     3 Days Happy Return. Change of mind is not applicable

     Multiple Payment Methods: Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

    ১৮৭০ সালের মধ্যেই ইউরােপীয় নাটকে বাস্তববাদী ধারার ক্ষেত্রে বেশকিছুটা অগ্রগতি হয়ে গেছে। বেশকিছু পরীক্ষানিরীক্ষা এবং নাটক লেখা হয়ে গেছে। একটা মােটামুটি শক্ত ভিত্তিও পেয়ে গিয়েছিল বাস্তববাদী নাটকের ধারা। অনেকে মিলে এই কাজটা করেছেন—কিন্তু বিশেষ এমন একজন তখনাে আসেননি যিনি এই নতুন ধারার প্রতিভূ হিসেবে চিহ্নিত হতে পারেন। নাটকের ক্ষেত্রে যখন সেই মানুষটির অপেক্ষা চলছে ঠিক তখনই হেনরিক ইবসেনের আবির্ভাব। হেনরিক ইবসেনই বহু প্রতীক্ষিত সেই মানুষ। ইবসেনের জন্ম ১৮২৮ সালে নরওয়ের শিয়েন শহরে। ‘পিয়ার জিন্ট লেখার আগ পর্যন্ত জীবনের চল্লিশটি বছর প্রায় পুরােটাই তার দুর্দিন। জীবন-সংগ্রাম, সাহিত্যজীবনে একের পর এক ব্যর্থতা, আর্থিক অনটন—এসবের মধ্যেই কেটেছে। তঁার সময়। জন্ম নিয়েছিলেন অর্থবিত্তশালী পরিবারেই। ইবসেন যখন চার বছরের তখন তাদের পুরাে পরিবারটা বাড়ি বদল করে একটা বড় বাড়িতে চলে আসে। এখানে চলতে থাকে অত্যন্ত বেহিসেবি জীবনযাপন। এভাবে বেশিদিন চালানাে সম্ভব হয়নি। ইবসেন তখন এতই ছােট যে পারিবারিক জৌলুসের সেই দিনগুলাে। পরবর্তী সময়ে তিনি আর মনেও করতে পারতেন না। তার ছয় বছর বয়সের সময়ই পিতা নুড ইবসেন দেউলিয়া হয়ে পড়েন। সুতরাং শিয়েন শহর ছেড়ে গ্রামের দিকে খামারবাড়িতে তাদের চলে যেতে হয়। ইবসেন একেবারে ছােটবেলা থেকেই চুপচাপ। নিজের মধ্যে একটি জগৎ তৈরি করে তার ভেতরে বাস করতেন। তাদের পরিবার ছিল বড় এবং এই বড় পরিবারের বচেয়ে বড় সন্তান তিনি। ছােট্ট পরিত্যক্ত একটি ভাড়ার-ঘর ছিল তার নিজস্ব জগৎ। সেখানে নিরিবিলি ছােটভাইদের ব্যঙ্গ করে ছবি আঁকতেন, থিয়েটার বানিয়ে খেলতেন। এই জগতে কেউ প্রবেশ করার চেষ্টা করলেও ভীষণ খেপে যেতেন ইবসেন। অত্যন্ত জেদি প্রকৃতির ছিলেন বলে কেউ তাকে খুব একটা ঘাটাত না। হেডউইগ নামে তার একটি বােন ছিল। এই বােনটির প্রতি তিনি খুবই দুর্বল ছিলেন। দ্য ওয়াইল্ড ডাক’-এর নায়িকার নাম তিনি রেখেছিলেন হেডউইগ। পরবর্তী জীবনে ইবসেন শুধু এই বােনের সঙ্গেই সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন। ইবসেন ডাক্তার হতে চেয়েছিলেন কিন্তু বাবার অর্থে কুলােয়নি বলে তা হওয়া সম্ভব হয়নি। ডাক্তার না হলেও, বাড়ি থেকে প্রায় পঞ্চাশ মাইল দূরে গ্রিমস্টাডে একটি ওষুধের কারখানায় ছয় বছরের মতাে কাজ করেছিলেন। এখানে তার সময় মােটেই ভালাে কাটেনি। প্রথমদিকে মাঝেমধ্যে শিয়েন শহরে অনিয়মিত হলেও যেতেন, কিন্তু এক পর্যায়ে যােগাযােগ একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। ব্যাপারটা এতদূর
    No Specifications