চন্দ্রগুপ্ত

সত্য সেলুকস! কী বিচিত্র এই দেশ!'- প্রাচীন ভারতবর্ষ সম্পর্কে মহাবীর আলেকজাণ্ডারের এই উক্তির কথা কমবেশি সবাই জানেন। তবে সম্ভবত অনেকেই জানেন না যে, এটি দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ‘চন্দ্রগুপ্ত' নাটকের সেকান্দর চরিত্রের একটি কাল্পনিক সংলাপ | শিল্প বা সাহিত্যের ক্ষমতা সত্যিই বিচিত্র! জানে এই উক্তিটির বিশ্বাসযােগ্যতা তোরই প্রমাণ। মানুষ তার নিজেকে, নিজের পরিপাকে, উদীবনের গল্পকে প্রতিবিম্বিত হাতে দেখতে চায় সাহিত্যের আয়নায় । আবার বিকল্প প্রতিবিম্বে সে সন্তুষ্ট হয় না। সে চায় 'মনের মতাে”-কে । সাহিত্যে আমা লেখি জীবনের প্রকাশ, বিকাশ, সৌন্দর্যায়ন, লন, মনি ও দর্শন সাহিত্য তাই মনের খােরাক। প্ৰত্য সাহিত্যে থাকে একই সাথে বাস্তবতা ও মানুষের মনের চিন্তা জগতের ছবি। ইতিহাস ঠিক তা নয়। ইতিহাস হয় ঘটে যাওয়া ঘটনার ললিল । তবে এই দলিলের মলি রূপরেখাটি অক্ষত থাকলেও এর ভেতরের অনেক অক্ষর, অনেক পৃষ্ঠা অস্পষ্ট হয়ে যাবা: সঠিকভাবে পড়ার উপায় থাকে না। ঐতিহাসিক নাটক কিংবা উপন্যাস থিতে গিয়ে লেখকের তাই কল্পনাশক্তির আশ্রয় নেবার সুযােগ রয়েছে। তবে এই সুযােগ বয়াইন নয়। যেমন চন্দ্রগুপ্ত বা কৌটিল্যের মঝার কথােপকথনের কোনাে লিখিত প নেই। তবে এদের মধ্যে সম্পর্কে উচ্চনি-পতং বা ব্যক্তিতে বৃন্দ যদি একা থাকে, মােটর পর শেম্পত্তি এদের সম্পর্ক ছিল সহযোগিতাক্ষণ খাতের গুরু-শিষ্যের লেখক প্রার কল্পনাশক্তি ব্যাবহার করে এই দুজনের কথোপকথনকে দুই মাত্রর আলাপে পরিণত করে সম্পর্কচ্ছেদ দেখাতে পারেন + হিসিক লতার মূল অলিটি লেখককে ঠিক রাখতে হয়। ইতিহাসের শুষ্ক তথ]পন জড় প্রতিমাতে চান বা প্রাণপ্রতিষ্ঠা করে সাহিত্য। খুদান এই অর্থে যে সাহিত্য ইতিহাস পর্যালােচনা করার ন) প্রাণবন্ত ++ষ্টিভঙ্গির জন্ম দেয়। ঐতিহাসিক নাটক বা উপন্যাসের বাচয়িতা কেবলই সাল-তারিখেই নথিতে নিজের দৃষ্টি নিবদ্ধ না রেখে রচনা করেন মাসে হৃদয়ের ইতিহাস, সম্ভাব্যতা ও সর্গ এ ল বিবরণ। পাঠকের মনে, ইতিহাস তাই সব ও অভ্রান্ত ধাপ পায় । নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল সম্ভবত এই সুচনাকাজে সফল এ উঔণ। তাই তার নাটকের কাল্পনিক সংলাপ মানুষের মনে ইতিহাসের সন্তাপে আইএ বিরাজ করেছে। | প্রবল সমসাময়িক কবি দ্বিজোলাল রায় (১৮৬৩-১৯১৯) বাংলাসাহিত্যেয় ক্ষেত্রে চার স্বতন্ত্র শৈলী ও ব্যক্তিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। একাধারে তিনি