Skip to Content
হাঁসুলী বাঁকের উপকথা (অবসর)

Price:

280.00 ৳


মাইন্ডসেট
মাইন্ডসেট
400.00 ৳
400.00 ৳
আবুল মনসুর আহমদের আয়না : বিষয় ও প্রকরণ
আবুল মনসুর আহমদের আয়না : বিষয় ও প্রকরণ
175.00 ৳
175.00 ৳

হাঁসুলী বাঁকের উপকথা (অবসর)

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/29559/image_1920?unique=09443f6

280.00 ৳ 280.0 BDT 280.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

‘তারাশঙ্কর জীবনের বহুমুখিতা খুঁজেছিলেন সামাজিক বহির্জীবনে। ব্যক্তিকে অবলম্বন করে মানব-অস্তিত্বের জটিল প্রহেলিকাময় অলিগলির মধ্যে ঢুকতে চান নি। জীবনের যৌথ সামাজিক প্রত্যক্ষগোচর রূপটিকেই তিনি বিচার করে দেখতে চেয়েছেন তাঁর সাহিত্যে। তাঁর মতো আর কোনো বাঙালি সাহিত্যিক এত দীর্ঘ জটবাঁধা গ্রাম-জীবনের পথে হাঁটেন নি।’ তাঁর ‘হাঁসুলী বাঁকের উপকথা’ বেরোয় ১৯৪৭-এ। এই উপন্যাসের সূত্রে আমরা বাংলা উপন্যাসের আলাদা মানচিত্রে, আলাদা ভূগোলে গিয়ে পৌঁছুই। ‘হাঁসুলী বাঁকের উপকথা’য় উঠে এসেছে লোকায়তিক জগতের অতলে লুকিয়ে থাকা এক আদিম সমাজচিত্র। কোপাই নদীর প্রায় বৃত্তাকার বাঁক, মেয়েদের গলার হাঁসুলীর মতো সেই বাঁকে নিবিড়-নিশ্ছিদ্র বাঁশবন, বেতবন। সূর্যের আলো সেখানে ঢোকার পথ পায় না। এইখানে বাঁশবাঁদির কাহারদের বসবাস। লৌকিক দেবতা অপদেবতার নির্দেশে চলে কাহারদের সমাজ। কুসংস্কার, লোকবিশ্বাস, প্রথা, রীতি, করণ-কারণ-বজ্রের মতো কঠিন অনুশাসন মানুষের সমস্ত আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে। সমাজবিজ্ঞানীর নিষ্ঠায় রাঢ়ের এই প্রান্তবাসী, অন্ত্যজ, অস্পৃশ্য সমাজের ছবি এঁকেছেন তারাশঙ্কর। আমরা দেখছি, বাঁশবাঁদির অন্ধকার হালকা হচ্ছে, কাহারদের ‘বাবার থান’ একালের কাহার-যুবক করালীর হাতে ভূমিশায়ী হচ্ছে, দেবতার জায়গায় বেরিয়ে আসছে দগ্ধ চন্দ্রবোড়া সাপ। দেখতে পাচ্ছি, বাবুদের জমিতে বাঁধা কাহারদের কিছুতেই আর জমির সঙ্গে আটকে রাখা যাচ্ছে না। যোগাযোগের জন্য লোহার রেলপথ নির্মিত হচ্ছে, চটকল বসছে, কারখানা তৈরি হচ্ছে। বোঝা যাচ্ছে, মুছে যাবে, উবে যাবে কাহারদের বাঁশবাঁদি। তাদের নেতা কোশকেঁধে বনওয়ারীর পতন ঘটবে, উত্থান ঘটবে নতুন কালের নেতা করালীর। এই পূর্ণচিত্র আঁকতে গিয়ে তারাশঙ্কর দীর্ঘনিশ্বাস ফেলেছেন পুরোনোর বিদায়ে, আবাহনও জানিয়েছেন নতুন কালকে।

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় (২৩ জুলাই, ১৮৯৮- সেপ্টেম্বর ১৪, ১৯৭১) বিংশ শতাব্দীর একজন বিশিষ্ট বাঙালি কথাসাহিত্যিক ছিলেন। তার সামগ্রিক সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে ৬৫টি উপন্যাস, ৫৩টি গল্পগ্রন্থ, ১২টি নাটক, ৪টি প্রবন্ধের বই, ৪টি আত্মজীবনী, ২টি ভ্রমণ কাহিনী, ১টি কাব্যগ্রন্থ এবং ১টি প্রহসন লিখেছেন। এই বিশিষ্ট সাহিত্যিক রবীন্দ্র পুরস্কার, সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার, জ্ঞানপীঠ পুরস্কার,পদ্মশ্রী এবং পদ্মভূষণ পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছেন। তারাশঙ্কর কংগ্রেসের কর্মী হয়ে সমাজসেবামূলক কাজ করেন এবং এর জন্য তিনি কিছুদিন জেলও খাটেন। একবার তিনি ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্টও হয়েছিলেন। ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি পশ্চিমবঙ্গের বিধান পরিষদের সদস্য হন। তার লেখায় বিশেষ ভাবে পাওয়া যায় বীরভূম-বর্ধমান অঞ্চলের সাঁওতাল, বাগদি, বোষ্টম, বাউরি, ডোম, গ্রাম্য কবিয়াল সম্প্রদায়ের কথা। ছোট বা বড় যে ধরনের মানুষই হোক না কেন, তারাশঙ্কর তার সব লেখায় মানুষের মহত্ত্ব ফুটিয়ে তুলেছেন, যা তার লেখার সবচেয়ে বড় গুণ। সামাজিক পরিবর্তনের বিভিন্ন চিত্র তার অনেক গল্প ও উপন্যাসের বিষয়। সেখানে আরও আছে গ্রাম জীবনের ভাঙনের কথা, নগর জীবনের বিকাশের কথা।

Title

হাঁসুলী বাঁকের উপকথা (অবসর)

Author

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়

Publisher

Abosar Prokashona Sangstha

Language

Bengali / বাংলা

‘তারাশঙ্কর জীবনের বহুমুখিতা খুঁজেছিলেন সামাজিক বহির্জীবনে। ব্যক্তিকে অবলম্বন করে মানব-অস্তিত্বের জটিল প্রহেলিকাময় অলিগলির মধ্যে ঢুকতে চান নি। জীবনের যৌথ সামাজিক প্রত্যক্ষগোচর রূপটিকেই তিনি বিচার করে দেখতে চেয়েছেন তাঁর সাহিত্যে। তাঁর মতো আর কোনো বাঙালি সাহিত্যিক এত দীর্ঘ জটবাঁধা গ্রাম-জীবনের পথে হাঁটেন নি।’ তাঁর ‘হাঁসুলী বাঁকের উপকথা’ বেরোয় ১৯৪৭-এ। এই উপন্যাসের সূত্রে আমরা বাংলা উপন্যাসের আলাদা মানচিত্রে, আলাদা ভূগোলে গিয়ে পৌঁছুই। ‘হাঁসুলী বাঁকের উপকথা’য় উঠে এসেছে লোকায়তিক জগতের অতলে লুকিয়ে থাকা এক আদিম সমাজচিত্র। কোপাই নদীর প্রায় বৃত্তাকার বাঁক, মেয়েদের গলার হাঁসুলীর মতো সেই বাঁকে নিবিড়-নিশ্ছিদ্র বাঁশবন, বেতবন। সূর্যের আলো সেখানে ঢোকার পথ পায় না। এইখানে বাঁশবাঁদির কাহারদের বসবাস। লৌকিক দেবতা অপদেবতার নির্দেশে চলে কাহারদের সমাজ। কুসংস্কার, লোকবিশ্বাস, প্রথা, রীতি, করণ-কারণ-বজ্রের মতো কঠিন অনুশাসন মানুষের সমস্ত আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে। সমাজবিজ্ঞানীর নিষ্ঠায় রাঢ়ের এই প্রান্তবাসী, অন্ত্যজ, অস্পৃশ্য সমাজের ছবি এঁকেছেন তারাশঙ্কর। আমরা দেখছি, বাঁশবাঁদির অন্ধকার হালকা হচ্ছে, কাহারদের ‘বাবার থান’ একালের কাহার-যুবক করালীর হাতে ভূমিশায়ী হচ্ছে, দেবতার জায়গায় বেরিয়ে আসছে দগ্ধ চন্দ্রবোড়া সাপ। দেখতে পাচ্ছি, বাবুদের জমিতে বাঁধা কাহারদের কিছুতেই আর জমির সঙ্গে আটকে রাখা যাচ্ছে না। যোগাযোগের জন্য লোহার রেলপথ নির্মিত হচ্ছে, চটকল বসছে, কারখানা তৈরি হচ্ছে। বোঝা যাচ্ছে, মুছে যাবে, উবে যাবে কাহারদের বাঁশবাঁদি। তাদের নেতা কোশকেঁধে বনওয়ারীর পতন ঘটবে, উত্থান ঘটবে নতুন কালের নেতা করালীর। এই পূর্ণচিত্র আঁকতে গিয়ে তারাশঙ্কর দীর্ঘনিশ্বাস ফেলেছেন পুরোনোর বিদায়ে, আবাহনও জানিয়েছেন নতুন কালকে।
No Specifications