Skip to Content
গায়ত্রী সন্ধ্যা (অখণ্ড)

Price:

800.00 ৳


গান্ধীস হিন্দুইজম দ্য স্ট্রাগল অ্যাগেইনস্ট জিন্নাহস ইসলাম
গান্ধীস হিন্দুইজম দ্য স্ট্রাগল অ্যাগেইনস্ট জিন্নাহস ইসলাম
760.00 ৳
950.00 ৳ (20% OFF)
গিফট কার্ড : ১০০০০
গিফট কার্ড : ১০০০০
10,000.00 ৳
10,000.00 ৳

গায়ত্রী সন্ধ্যা (অখণ্ড)

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/1949/image_1920?unique=b047574

800.00 ৳ 800.0 BDT 1,000.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

সেলিনা হােসেন রচিত ‘গায়ত্রী সন্ধ্যা’ উপন্যাসের পটভূমি ১৯৪৭ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত সময়। দীর্ঘ আটাশ বছরের আর্থসামজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক পটভূমিতে রচিত হয়েছে এ উপন্যাস। আটাশ বছর কালের পরিধিতে বড় সময় নয়, কিন্তু একটি জনগােষ্ঠীর ইতিহাসের জন্য বড় সময়। এই সময়ের মধ্যে সংঘটিত হয়েছে নানা ঘটনা। যেসব ঘটনার অভিবত তৈরি ইতিহাসের এক একটি অধ্যায়। ১৯৪৭ সালে বৃটিশ ভারত দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে লাভ করেছিল স্বাধীনতা। ধােপে টেকেনি এ স্বাধীনতার আদর্শগত ভিত্তি। ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জয়ী হয়ে বাঙালি অর্জন করে একটি পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত এবং স্বাধীন ভূখণ্ড। এ জাতিকে স্বাধীনতার স্বপ্নে অনুপ্রাণিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭৫ সালে তাঁর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে পট-পরিবর্তন হয় ইতিহাসের। শুরু হয় বাঙালির উল্টো যাত্রা। ‘গায়ত্রী সন্ধ্যা উপন্যাস এই সময়ের শিল্পিত শব্দরূপ। সময়ের এই পরিধি পূর্ববঙ্গের বাঙালি অধিবাসীর জীবনের দিকবলয়। একটি সূচনা থেকে অন্য সূচনায় প্রবেশের ক্রান্তিকাল। এতবড় পটভূমিতে এমন একটি উপন্যাস আর লেখা হয়েছে। বলে আমাদের জানা নেই। বাঙালি জীবনের এই দলিলকে অসাধারণ দক্ষতায় ব্যয় করেছেন সেলিনা হােসেন। এই বইয়ের প্রথম খণ্ড প্রকাশিত হয় ১৯৯৪ সালে। পরপর তিন বছরে প্রকাশিত হয়েছে তিনটি খণ্ড। ২০০১ সালের মধ্যে প্রথম দুটি খন্ত্রে ততীয় মুদ্রণ হয়েছে, তৃতীয় খণ্ডের দুটি মুদ্রণ হয়েছে। এত অল্প সময়ে এই বইয়ের তিনটি মুদ্রণ নিঃসন্দেহে পাঠকের কাছে এর গ্রহণযােগ্যতার প্রমাণ। পাঠকের বিচারই একটি উপন্যাসের বড় মানদণ্ড। সময়ই বলে দেয় কালের রুচিতে তার অবস্থান কী। গায়ত্রী সন্ধ্যা বড় একটি যাত্রার জটিল শিল্পরূপ হলেও পাঠকের গ্রহণযােগ্যতার বিচারে উতরেছে বলে আমাদের বিশ্বাস। তাই এই ত্রয়ী উপন্যাসের অখণ্ড রূপ প্রকাশ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এই ত্রয়ী উপন্যাসটি পাঠককে একসঙ্গে দেয়ার প্রত্যাশা থেকে আমাদের এই আয়ােজন। আমাদের বিশ্বাস শুধু এই প্রজন্ম নয়, আগামী প্রজন্মের মাঝেও এ উপন্যাস সমাদৃত হবে। সমাদৃত হবে এ কারণে যে শিল্পের মাঝে পাঠক আবিষ্কার করবে নিজেকে, নিজের ইতিহাসকে। শুধু তাই নয় এ উপন্যাস পাঠকের নিজের কাহিনী। কোনাে একজনের নয়, একসঙ্গে সবার। এ উপন্যাসে পাঠক পাবে নিজের অতীতের মাঝে সমকালের চিত্র। যে চিত্র সময়ের ব্যবধানে ভিন্ন রূপে কখনাে ফিরে আসে ভিন্ন সময়ে। উপন্যাস যােগসূত্র ঘটাবে অতীত এবং বর্তমানের। যে বর্তমান পুরনাে হবে না পাঠকের নান্দনিক বােধের কাছে। এই প্রত্যাশাই আমাদের কাম্য।

সেলিনা হোসেন

সেলিনা হোসেন ২১টি উপন্যাস, ৭টি গল্পগ্রন্থ ও ৪টি প্রবন্ধগ্রন্থের রচয়িতা সেলিনা হোসেন বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক। সমকালীন রাজনৈতিক সংকট ও দ্বন্দ্বের উৎস ও প্রেক্ষাপট উঠে এসেছে সেলিনা হোসেন এর বই সমূহ-তে। সেলিনা হোসেন এর বই সমগ্র অনূদিত হয়েছে ইংরেজি, রুশসহ একাধিক ভাষায়। প্রবীণ এ লেখিকা ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর কর্মজীবন থেকে অবসর নেন। সেলিনা হোসেন ১৯৪৭ সালের ১৪ই জুন রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন। আদি পৈতৃক নিবাস নোয়াখালীতে হলেও সেখানে বেশি দিন থাকা হয়নি তার। চাকরিসূত্রে তার বাবা রাজশাহী চলে এলে সেটিই হয়ে ওঠে সেলিনার শহর। স্থানীয় এক বালিকা বিদ্যালয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে রাজশাহী মহিলা কলেজে ভর্তি হন। ছোটবেলা থেকেই সাহিত্য পড়তে ভালোবাসতেন তিনি। আর ভালোবাসার টানে উচ্চ মাধ্যমিক শেষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন। এখান থেকেই স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমির গবেষণা সহকারী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন সেলিনা হোসেন। এরপর সরকারি কলেজে শিক্ষকতা এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশনেও কাজ করেছেন তিনি। পাশাপাশি পত্রপত্রিকার জন্য চালিয়ে গেছেন তার কলম। টানা ২০ বছর তিনি ‘ধান শালিকের দেশ’ পত্রিকার সম্পাদনা করেন। ১৯৯৭ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বাংলা একাডেমির প্রথম নারী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সেলিনা হোসেন মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস রচনা করে পাঠকমনে চিরস্থায়ী আসন করে নিয়েছেন। তার রচিত মুক্তযুদ্ধ বিষয়ক কালজয়ী উপন্যাস ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ নিয়ে তৈরি হয়েছে চলচ্চিত্রও। ‘যাপিত জীবন’, ‘ক্ষরণ’, ‘কাঁটাতারে প্রজাপতি’, ‘ভালোবাসা প্রীতিলতা’, ‘যুদ্ধ’, ‘গায়ত্রী সন্ধ্যা’ (তিন খণ্ড) ইত্যাদি তার জনপ্রিয় উপন্যাস। ‘স্বদেশে পরবাসী’, ‘একাত্তরের ঢাকা’, ‘ঊনসত্তরের গণ-আন্দোলন’ ইত্যাদি তার জনপ্রিয় প্রবন্ধ। কিশোরদের জন্য তিনি লিখেছেন ‘কাকতাড়ুয়া’, ‘চাঁদের বুড়ি পান্তা ইলিশ’, ‘আকাশ পরী’, ‘এক রূপোলি নদী’ সহ বেশ কিছু সুপাঠ্য গ্রন্থ। সাহিত্যাঙ্গনে এই অনবদ্য অবদানের জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ডি.লিট ডিগ্রি প্রদান করে। এছাড়াও তিনি ‘আলাওল সাহিত্য পুরস্কার’, ‘রবীন্দ্রস্মৃতি পুরস্কার’, ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার’ সহ অসংখ্য পদক পুরস্কার পেয়েছেন।

Title

গায়ত্রী সন্ধ্যা (অখণ্ড)

Author

সেলিনা হোসেন

Publisher

Somoy Prokashon

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Novel
  • সেলিনা হােসেন রচিত ‘গায়ত্রী সন্ধ্যা’ উপন্যাসের পটভূমি ১৯৪৭ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত সময়। দীর্ঘ আটাশ বছরের আর্থসামজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক পটভূমিতে রচিত হয়েছে এ উপন্যাস। আটাশ বছর কালের পরিধিতে বড় সময় নয়, কিন্তু একটি জনগােষ্ঠীর ইতিহাসের জন্য বড় সময়। এই সময়ের মধ্যে সংঘটিত হয়েছে নানা ঘটনা। যেসব ঘটনার অভিবত তৈরি ইতিহাসের এক একটি অধ্যায়। ১৯৪৭ সালে বৃটিশ ভারত দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে লাভ করেছিল স্বাধীনতা। ধােপে টেকেনি এ স্বাধীনতার আদর্শগত ভিত্তি। ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জয়ী হয়ে বাঙালি অর্জন করে একটি পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত এবং স্বাধীন ভূখণ্ড। এ জাতিকে স্বাধীনতার স্বপ্নে অনুপ্রাণিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭৫ সালে তাঁর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে পট-পরিবর্তন হয় ইতিহাসের। শুরু হয় বাঙালির উল্টো যাত্রা। ‘গায়ত্রী সন্ধ্যা উপন্যাস এই সময়ের শিল্পিত শব্দরূপ। সময়ের এই পরিধি পূর্ববঙ্গের বাঙালি অধিবাসীর জীবনের দিকবলয়। একটি সূচনা থেকে অন্য সূচনায় প্রবেশের ক্রান্তিকাল। এতবড় পটভূমিতে এমন একটি উপন্যাস আর লেখা হয়েছে। বলে আমাদের জানা নেই। বাঙালি জীবনের এই দলিলকে অসাধারণ দক্ষতায় ব্যয় করেছেন সেলিনা হােসেন। এই বইয়ের প্রথম খণ্ড প্রকাশিত হয় ১৯৯৪ সালে। পরপর তিন বছরে প্রকাশিত হয়েছে তিনটি খণ্ড। ২০০১ সালের মধ্যে প্রথম দুটি খন্ত্রে ততীয় মুদ্রণ হয়েছে, তৃতীয় খণ্ডের দুটি মুদ্রণ হয়েছে। এত অল্প সময়ে এই বইয়ের তিনটি মুদ্রণ নিঃসন্দেহে পাঠকের কাছে এর গ্রহণযােগ্যতার প্রমাণ। পাঠকের বিচারই একটি উপন্যাসের বড় মানদণ্ড। সময়ই বলে দেয় কালের রুচিতে তার অবস্থান কী। গায়ত্রী সন্ধ্যা বড় একটি যাত্রার জটিল শিল্পরূপ হলেও পাঠকের গ্রহণযােগ্যতার বিচারে উতরেছে বলে আমাদের বিশ্বাস। তাই এই ত্রয়ী উপন্যাসের অখণ্ড রূপ প্রকাশ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এই ত্রয়ী উপন্যাসটি পাঠককে একসঙ্গে দেয়ার প্রত্যাশা থেকে আমাদের এই আয়ােজন। আমাদের বিশ্বাস শুধু এই প্রজন্ম নয়, আগামী প্রজন্মের মাঝেও এ উপন্যাস সমাদৃত হবে। সমাদৃত হবে এ কারণে যে শিল্পের মাঝে পাঠক আবিষ্কার করবে নিজেকে, নিজের ইতিহাসকে। শুধু তাই নয় এ উপন্যাস পাঠকের নিজের কাহিনী। কোনাে একজনের নয়, একসঙ্গে সবার। এ উপন্যাসে পাঠক পাবে নিজের অতীতের মাঝে সমকালের চিত্র। যে চিত্র সময়ের ব্যবধানে ভিন্ন রূপে কখনাে ফিরে আসে ভিন্ন সময়ে। উপন্যাস যােগসূত্র ঘটাবে অতীত এবং বর্তমানের। যে বর্তমান পুরনাে হবে না পাঠকের নান্দনিক বােধের কাছে। এই প্রত্যাশাই আমাদের কাম্য।
    No Specifications