Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)
Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)
Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)
International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.
3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable
Multiple Payment Methods
Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available.
আমার আরাে কিছু ক্ষুদ্র উপন্যাস নিয়ে এবার 'সময় প্রকাশন' থেকে উপন্যাসসমগ্রের আরাে একটি খণ্ড বেরুচ্ছে। আমি ভাবতে পারিনি এ কয়েক বছরের লেখা নিয়ে তৃতীয় খণ্ড উপন্যাস বেরুতে পারে। এ খণ্ডের প্রায় সবগুলাে রচনাই ডিকটেশন দিয়ে অর্থাৎ অন্যের সাহায্য নিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে। চোখের দৃষ্টি এমন এক পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে যে, আমার পক্ষে এমুহূর্তে আর কলম ধরে কোনাে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। আমার ভক্ত ও একান্ত প্রিয় কয়েকজন তরুণ লেখক এ কাজে আমাকে সাহায্য করেছেন। আমি বলে গেছি, তারা কাহিনীটি লিখে গেছেন। আমি দাড়ি, কমা, সেমিকোলন ইত্যাদিসহ লেখার খুঁটিনাটি সবকিছু শ্রুতিলেখক তরুণদের একটানা বলে গেছি। তারা শুধু কাহিনীটি কাগজে অনেকটা মােহগ্রস্তের মতাে লিপিবদ্ধ করে গেছেন। আমি তাদের এই মুগ্ধতা যেমন উপভােগ করেছি, তেমনি তারাও বিশ্বস্ততার সাথে আমার কাহিনী বয়নের ক্ষমতাকে সম্মান জানিয়ে আমাকে কোনাে উপদেশ দিতে চান নি। যেমন বলেছি তেমনি লিখেছেন। ভুল-ভ্রান্তির দায়-দায়িত্ব তাদের নয়। সেটা একান্ত আমার।
অনেক কবি-সাহিত্যিকই দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে অন্যের সহায়তাগ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছেন। এখন আমিও এ পর্যায়ে উপনীত হয়েছি। যেহেতু পত্রপত্রিকাগুলােতে বিশেষ সংখ্যার জন্য এখনাে আমার লেখার চাহিদা রয়েছে, সে কারণে আমি ক্ষীণদৃষ্টির অজুহাত তুলে লেখা-লেখি বন্ধ করে দেইনি। একজন সৃজনশীল কবির পক্ষে সেটা সম্ভব নয়। চোখ ও কান অকেজো হয়ে গেলে সম্ভবত লেখকের উদ্যমও উদ্ভাবনা আরাে বেড়ে যায়। আমারও বলার বিষয় ফুরােয় নি।
এরমধ্যে আমার এ দেশীয় চোখের চিকিৎসকগণ আমাকে আশ্বাস দিচ্ছেন, আরাে একটি অপারেশনের পর আমার ডান চোখটি বই পড়ার যােগ্য হয়ে উঠতে পারে। অথচ দু’বছর আগে আমি প্যারিসের একজন প্রাইভেট চক্ষুরােগ বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়ে হতাশ হয়ে ফিরেছিলাম। তিনি বলেছিলেন, রেটিনায় ক্ষয় শুরু হয়েছে। এ রােগের আপাতত কোনাে সুফল পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমি হতাশ হইনি। যিনি আমাকে দেখার ক্ষমতা দিয়ে দুনিয়ায় পাঠিয়েছিলেন, আমি তার উপরই ভরসা করে আসছি।
এক অদ্ভুত ধরণের চক্ষুরােগ। আমি ঠিক অন্ধ নই। কষ্টে-সৃষ্টে প্রবল আলাের নিচে বই বা পত্র-পত্রিকা রেখে এখনাে কিছুক্ষণ পড়তে পারি। তবে স্বল্প সময়ের জন্য। এটাই আমার প্রতি আমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ বলে মনে করি ।
আল মাহমুদ
আমার আরাে কিছু ক্ষুদ্র উপন্যাস নিয়ে এবার 'সময় প্রকাশন' থেকে উপন্যাসসমগ্রের আরাে একটি খণ্ড বেরুচ্ছে। আমি ভাবতে পারিনি এ কয়েক বছরের লেখা নিয়ে তৃতীয় খণ্ড উপন্যাস বেরুতে পারে। এ খণ্ডের প্রায় সবগুলাে রচনাই ডিকটেশন দিয়ে অর্থাৎ অন্যের সাহায্য নিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে। চোখের দৃষ্টি এমন এক পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে যে, আমার পক্ষে এমুহূর্তে আর কলম ধরে কোনাে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। আমার ভক্ত ও একান্ত প্রিয় কয়েকজন তরুণ লেখক এ কাজে আমাকে সাহায্য করেছেন। আমি বলে গেছি, তারা কাহিনীটি লিখে গেছেন। আমি দাড়ি, কমা, সেমিকোলন ইত্যাদিসহ লেখার খুঁটিনাটি সবকিছু শ্রুতিলেখক তরুণদের একটানা বলে গেছি। তারা শুধু কাহিনীটি কাগজে অনেকটা মােহগ্রস্তের মতাে লিপিবদ্ধ করে গেছেন। আমি তাদের এই মুগ্ধতা যেমন উপভােগ করেছি, তেমনি তারাও বিশ্বস্ততার সাথে আমার কাহিনী বয়নের ক্ষমতাকে সম্মান জানিয়ে আমাকে কোনাে উপদেশ দিতে চান নি। যেমন বলেছি তেমনি লিখেছেন। ভুল-ভ্রান্তির দায়-দায়িত্ব তাদের নয়। সেটা একান্ত আমার।
অনেক কবি-সাহিত্যিকই দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে অন্যের সহায়তাগ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছেন। এখন আমিও এ পর্যায়ে উপনীত হয়েছি। যেহেতু পত্রপত্রিকাগুলােতে বিশেষ সংখ্যার জন্য এখনাে আমার লেখার চাহিদা রয়েছে, সে কারণে আমি ক্ষীণদৃষ্টির অজুহাত তুলে লেখা-লেখি বন্ধ করে দেইনি। একজন সৃজনশীল কবির পক্ষে সেটা সম্ভব নয়। চোখ ও কান অকেজো হয়ে গেলে সম্ভবত লেখকের উদ্যমও উদ্ভাবনা আরাে বেড়ে যায়। আমারও বলার বিষয় ফুরােয় নি।
এরমধ্যে আমার এ দেশীয় চোখের চিকিৎসকগণ আমাকে আশ্বাস দিচ্ছেন, আরাে একটি অপারেশনের পর আমার ডান চোখটি বই পড়ার যােগ্য হয়ে উঠতে পারে। অথচ দু’বছর আগে আমি প্যারিসের একজন প্রাইভেট চক্ষুরােগ বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়ে হতাশ হয়ে ফিরেছিলাম। তিনি বলেছিলেন, রেটিনায় ক্ষয় শুরু হয়েছে। এ রােগের আপাতত কোনাে সুফল পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমি হতাশ হইনি। যিনি আমাকে দেখার ক্ষমতা দিয়ে দুনিয়ায় পাঠিয়েছিলেন, আমি তার উপরই ভরসা করে আসছি।
এক অদ্ভুত ধরণের চক্ষুরােগ। আমি ঠিক অন্ধ নই। কষ্টে-সৃষ্টে প্রবল আলাের নিচে বই বা পত্র-পত্রিকা রেখে এখনাে কিছুক্ষণ পড়তে পারি। তবে স্বল্প সময়ের জন্য। এটাই আমার প্রতি আমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ বলে মনে করি ।
আল মাহমুদ
No Specifications