Skip to Content
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০ বছর (১৯২১-২০০১)

Price:

320.00 ৳


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি ১৯৪৭-১৯৫১
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি ১৯৪৭-১৯৫১
320.00 ৳
400.00 ৳ (20% OFF)
ঢাকার চিঠি
ঢাকার চিঠি
320.00 ৳
400.00 ৳ (20% OFF)

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০ বছর (১৯২১-২০০১)

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/24387/image_1920?unique=479c0a1

320.00 ৳ 320.0 BDT 400.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশি বছর' গ্রন্থটি রচনার অনুপ্রেরণা এসেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমার ছাত্র ও শিক্ষক রূপে অর্ধ শতাব্দীকালের অধিক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক থেকে। বস্তুত রমনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আমার বাল্য জীবন অতিবাহিত হয়েছে ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের অন্তত: পাঁচ বছর আগে থেকে। স্কুল ও কলেজের যখন ছাত্র ছিলাম তখন থেকেই এ বিশ্ববিদ্যালয়কে আমি দেখে ও জেনে এসেছি, তারপর ১৯৫১ সাল থেকে আমি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলন খুব কাছে থেকে দেখেছি আর ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রূপে। ১৯৫৭ সালের শেষ দিক থেকে আমি বাংলা বিভাগের গবেষণা স্কলার ও খণ্ডকালীন শিক্ষক, ১৯৬১ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত আমি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, বিভাগীয় প্রধান ও নজরুল অধ্যাপক পদে কাজ করেছি। ১৯৯৯ সাল থেকে আমি বাংলা বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত শিক্ষক, তদুপরি আমি ভাষাতত্ত্ব বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক। সুতরাং এই দীর্ঘ সময় নানা ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক অভিযাত্রার দৃশ্য আমি দেখেছি। | বিশ শতকের ষাটের দশকে পরপর তিনবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের সম্পাদক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাবলির সঙ্গে আমি ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলাম। ১৯৭১ সালের ২৫ ও ২৬ মার্চ নীলক্ষেত আবাসিক এলাকায় থেকে পাকিস্তান বাহিনীর নারকীয় অভিযান থেকে শুধু নয় মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান বাহিনীর বন্দী শিবিরে কিছুকাল আটক থেকেও আমি দৈবক্রমে বেঁচে যাই। স্বাধীনতার পর একটানা প্রায় পঁচিশ বছর শহীদ মিনার আবাসিক এলাকায় থেকে শহীদ মিনারের অসংখ্য ঘটনা আমি দেখেছি। স্বাধীনতার পর কয়েক বছর ‘ডাকসু'র ট্রেজারার রূপেও অনেক নাটকীয় ঘটনা দেখার সুযােগ আমার হয়েছে। সুতরাং আমি হয়তাে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ব্যক্তিগত স্মৃতিকথা লিখতে পারতাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশি বছরের ইতিহাস। রচনার চেষ্টাও হয়তাে করতে পারতাম কিন্তু ঐ দুটি পথের কোনটিতেই না গিয়ে আমি একরকম ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশি বছরের কিছু কথা লিপিবদ্ধ করার চেষ্টা করেছি। তবে শুধুমাত্র আমার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা বা স্মৃতির ওপর নির্ভর করে নয় কারণ স্মৃতি অনেক সময় মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশি বছর’ গ্রন্থ রচনায় যা বেরিয়ে এসেছে তাতে হয়তাে প্রাধান্য পেয়েছে কি প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে এই মহান বিদ্যাপীঠ বিশ শতকের আটটি দশক পেরিয়ে একুশ শতকে প্রবেশ করেছে সেই কাহিনী।

Dr. Rafiqul Islam

রফিকুল ইসলাম (জন্ম ১ জানুয়ারি ১৯৩৪- ৩০ নভেম্বর ২০২১) ছিলেন বাংলাদেশি লেখক এবং দেশের প্রথম নজরুল গবেষক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম নজরুল অধ্যাপক ও অত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নজরুল-গবেষণা কেন্দ্রের প্রথম পরিচালক। তিনি স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক এবং বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন। ২০১৮ সালের ১৯ জুন বাংলাদেশ সরকার তাকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে পুরস্কৃত করে। ২০০৩ সালে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০ বছর’ বই লিখে লেখক হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পান। ১৯৫৮ সাল থেকে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা ও নজরুল গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন। তিনি একসময় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাছাড়া তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় অধ্যাপক। ২০১৮ সালের ১৯ জুন বাংলাদেশ সরকার তাকে জাতীয় অধ্যাপক ঘোষণা করে। এবং তিনি বর্তমানে কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। ০৩ ডিসেম্বর ২০১৮ তিনি কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের সভাপতি পদে যোগদান করেন। এছাড়া তিনি বর্তমানে বাংলা একাডেমির সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। ১লা জুন ২০২১ তিনি বাংলা একাডেমির সভাপতি পদে যোগদান করেন। ৩০ নভেম্বর ২০২১ ঢাকার বার্ধক্যজনিত রোগে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

Title

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০ বছর (১৯২১-২০০১)

Author

Dr. Rafiqul Islam

Publisher

Ananya

Number of Pages

321

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • History-M
  • First Published

    FEB 2018

    ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশি বছর' গ্রন্থটি রচনার অনুপ্রেরণা এসেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমার ছাত্র ও শিক্ষক রূপে অর্ধ শতাব্দীকালের অধিক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক থেকে। বস্তুত রমনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আমার বাল্য জীবন অতিবাহিত হয়েছে ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের অন্তত: পাঁচ বছর আগে থেকে। স্কুল ও কলেজের যখন ছাত্র ছিলাম তখন থেকেই এ বিশ্ববিদ্যালয়কে আমি দেখে ও জেনে এসেছি, তারপর ১৯৫১ সাল থেকে আমি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলন খুব কাছে থেকে দেখেছি আর ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রূপে। ১৯৫৭ সালের শেষ দিক থেকে আমি বাংলা বিভাগের গবেষণা স্কলার ও খণ্ডকালীন শিক্ষক, ১৯৬১ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত আমি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, বিভাগীয় প্রধান ও নজরুল অধ্যাপক পদে কাজ করেছি। ১৯৯৯ সাল থেকে আমি বাংলা বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত শিক্ষক, তদুপরি আমি ভাষাতত্ত্ব বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক। সুতরাং এই দীর্ঘ সময় নানা ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক অভিযাত্রার দৃশ্য আমি দেখেছি। | বিশ শতকের ষাটের দশকে পরপর তিনবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের সম্পাদক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাবলির সঙ্গে আমি ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলাম। ১৯৭১ সালের ২৫ ও ২৬ মার্চ নীলক্ষেত আবাসিক এলাকায় থেকে পাকিস্তান বাহিনীর নারকীয় অভিযান থেকে শুধু নয় মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান বাহিনীর বন্দী শিবিরে কিছুকাল আটক থেকেও আমি দৈবক্রমে বেঁচে যাই। স্বাধীনতার পর একটানা প্রায় পঁচিশ বছর শহীদ মিনার আবাসিক এলাকায় থেকে শহীদ মিনারের অসংখ্য ঘটনা আমি দেখেছি। স্বাধীনতার পর কয়েক বছর ‘ডাকসু'র ট্রেজারার রূপেও অনেক নাটকীয় ঘটনা দেখার সুযােগ আমার হয়েছে। সুতরাং আমি হয়তাে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ব্যক্তিগত স্মৃতিকথা লিখতে পারতাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশি বছরের ইতিহাস। রচনার চেষ্টাও হয়তাে করতে পারতাম কিন্তু ঐ দুটি পথের কোনটিতেই না গিয়ে আমি একরকম ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশি বছরের কিছু কথা লিপিবদ্ধ করার চেষ্টা করেছি। তবে শুধুমাত্র আমার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা বা স্মৃতির ওপর নির্ভর করে নয় কারণ স্মৃতি অনেক সময় মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশি বছর’ গ্রন্থ রচনায় যা বেরিয়ে এসেছে তাতে হয়তাে প্রাধান্য পেয়েছে কি প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে এই মহান বিদ্যাপীঠ বিশ শতকের আটটি দশক পেরিয়ে একুশ শতকে প্রবেশ করেছে সেই কাহিনী।
    No Specifications