Skip to Content
ইছামতি (বিভাস)

Price:

240.00 ৳


ইছাই নদীর পালা
ইছাই নদীর পালা
270.00 ৳
300.00 ৳ (10% OFF)
ইছামতী (লতিকা)
ইছামতী (লতিকা)
288.00 ৳
360.00 ৳ (20% OFF)
20% OFF

ইছামতি (বিভাস)

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/22269/image_1920?unique=639e1d1

240.00 ৳ 240.0 BDT 300.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

ইছামতী' উপন্যাস রচনার জন্য বিভূতিভূষণ অনেক কাল ধরিয়া প্রস্তুতও হইতেছিলেন। ত্রিশ দশকের গােড়া হইতেই তিনি ইছামতী’ উপন্যাস রচনার উপকরণ সংগ্রহ শুরু করেন। ১৯৪৪ খৃষ্টাব্দ হইতে তিনি মােল্লাহাটি এবং তৎ-পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ইছামতী’র পটভূমি সম্বন্ধে অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের জন্য ঘোরাঘুরি করেন। ১৯৪৬ সালের পুরা গ্রীষ্মকাল তিনি ইছামতী' উপন্যাস রচনার উপকরণ সংগ্রহে ব্যাপৃত থাকেন। বিভূতিভূষণের দিনলিপিতেও অনেক জায়গায় এ বিষয়ের উল্লেখ আছে ? ‘পথের পাঁচালী’ লেখার সময় হইতেই যে বিভূতিভূষণ ইছামতী’ রচনার পরিকল্পনা করিয়াছিলেন, সে বিষয়ে স্মৃতির রেখা’তে নিম্নরূপ উল্লেখ পাওয়া যায় ? ‘কলবলিয়াতে স্নান করতে এলাম। ঠাণ্ডা জলে নাইতে নাইতে ভাবছিলাম—ঐ আমাদের গ্রামের ইছামতী নদী। আমি একটা ছবি বেশ মনে করতে পারি—এই রকম ধূ ধূ বালিয়াড়ী, পাহাড় নয়, শান্ত, ছােট, স্নিগ্ধ ইছামতীর দু’পাড় ভ’রে ঝােপে ঝােপে কত বনকুসুম, কত ফুলে ভরা ঘেঁটুবন, গাছপালা, গাঙশালিকের বাসা, সবুজ তৃণাচ্ছাদিত মাঠ। গায়ে গায়ে গ্রামের ঘাট, আকন্দ ফুল। গত পাঁচশত বৎসর ধরে কত ফুল ঝরে পড়ছে—কত পাখী কত বনঝােপ আসছে যাচ্ছে। স্নিগ্ধ পাটা-শেওলার গন্ধ বার হয়, জেলেরা জাল ফেলে, ধারে ধারে কত গৃহস্থের বাড়ী। কত হাসি-কান্নার মেলা। অঞ্জ পাঁচশত বছর ধরে কত গৃহস্থ এল, কত হাসিমুখ শিশু প্রথম মায়ের সঙ্গে নাইতে এল--কত বৎসর পরে বৃদ্ধাবস্থায় তার শ্মশানশয্যা হ’ল ঐ ঠাণ্ডা জলের কিনারাতেই, ঐ বাঁশবনের ঘাটের নীচেই। কত কত মা, কত ছেলে, কত তরুণ তরুণী সময়ের পাষাণবয়ঁ বেয়ে এসেছে গিয়েছে মহাকালের বীথিপথ বেয়ে। ঐ শান্ত নদীর ধারে ঐ আকন্দ ফুল, ঐ পাটা শেওলা, বনঝােপ, ছাতিম বন। এই পল্লীগ্রামের যে জীবনযাত্রা, শতাব্দীর পর শতাব্দী এই রকম, এই বাঁশ শিমূল বনে অপরাজেয় শােভা এমনি ধারা দেখা যায়—ঝিঙে ক্ষেতে এমনি ফুল ফোটে—কত বনসিমতলার ঘাট, কত গ্রাম্য মেয়ে, কত হাসি কান্না প্রেম বিরহ-—এই রকম চলবে। এদের নিয়ে একটা উপন্যাস লিখবাে আজ মাথায় এসেছে...মহাকাল যেন এই উপন্যাসের পটভূমি--নায়ক নায়িকা গ্রাম্য নরনারী।

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় (১২ই সেপ্টেম্বর, ১৮৯৪ - ১লা নভেম্বর, ১৯৫০) ছিলেন একজন জনপ্রিয় ভারতীয় বাঙালি কথাসাহিত্যিক। তিনি মূলত উপন্যাস ও ছোটগল্প লিখে খ্যাতি অর্জন করেন। পথের পাঁচালী ও অপরাজিত তাঁর সবচেয়ে বেশি পরিচিত উপন্যাস। অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে আরণ্যক, আদর্শ হিন্দু হোটেল, ইছামতী ও অশনি সংকেত বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। উপন্যাসের পাশাপাশি বিভূতিভূষণ প্রায় ২০টি গল্পগ্রন্থ, কয়েকটি কিশোরপাঠ্য উপন্যাস ও ভ্রমণকাহিনি এবং দিনলিপিও রচনা করেন। বিভূতিভূষণের পথের পাঁচালী উপন্যাস অবলম্বনে সত্যজিৎ রায় পরিচালিত চলচ্চিত্রটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন। ১৯৫১ সালে ইছামতী উপন্যাসের জন্য বিভূতিভূষণ পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার রবীন্দ্র পুরস্কার (মরণোত্তর) লাভ করেন।

Title

ইছামতি (বিভাস)

Author

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়

Publisher

Bivas

Number of Pages

239

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Novel
  • First Published

    AUG 2018

     Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

     Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

     Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

     International Delivery: Charges vary by country and book weight - will be informed after order confirmation.

     3 Days Happy Return. Change of mind is not applicable

     Multiple Payment Methods: Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

    ইছামতী' উপন্যাস রচনার জন্য বিভূতিভূষণ অনেক কাল ধরিয়া প্রস্তুতও হইতেছিলেন। ত্রিশ দশকের গােড়া হইতেই তিনি ইছামতী’ উপন্যাস রচনার উপকরণ সংগ্রহ শুরু করেন। ১৯৪৪ খৃষ্টাব্দ হইতে তিনি মােল্লাহাটি এবং তৎ-পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ইছামতী’র পটভূমি সম্বন্ধে অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের জন্য ঘোরাঘুরি করেন। ১৯৪৬ সালের পুরা গ্রীষ্মকাল তিনি ইছামতী' উপন্যাস রচনার উপকরণ সংগ্রহে ব্যাপৃত থাকেন। বিভূতিভূষণের দিনলিপিতেও অনেক জায়গায় এ বিষয়ের উল্লেখ আছে ? ‘পথের পাঁচালী’ লেখার সময় হইতেই যে বিভূতিভূষণ ইছামতী’ রচনার পরিকল্পনা করিয়াছিলেন, সে বিষয়ে স্মৃতির রেখা’তে নিম্নরূপ উল্লেখ পাওয়া যায় ? ‘কলবলিয়াতে স্নান করতে এলাম। ঠাণ্ডা জলে নাইতে নাইতে ভাবছিলাম—ঐ আমাদের গ্রামের ইছামতী নদী। আমি একটা ছবি বেশ মনে করতে পারি—এই রকম ধূ ধূ বালিয়াড়ী, পাহাড় নয়, শান্ত, ছােট, স্নিগ্ধ ইছামতীর দু’পাড় ভ’রে ঝােপে ঝােপে কত বনকুসুম, কত ফুলে ভরা ঘেঁটুবন, গাছপালা, গাঙশালিকের বাসা, সবুজ তৃণাচ্ছাদিত মাঠ। গায়ে গায়ে গ্রামের ঘাট, আকন্দ ফুল। গত পাঁচশত বৎসর ধরে কত ফুল ঝরে পড়ছে—কত পাখী কত বনঝােপ আসছে যাচ্ছে। স্নিগ্ধ পাটা-শেওলার গন্ধ বার হয়, জেলেরা জাল ফেলে, ধারে ধারে কত গৃহস্থের বাড়ী। কত হাসি-কান্নার মেলা। অঞ্জ পাঁচশত বছর ধরে কত গৃহস্থ এল, কত হাসিমুখ শিশু প্রথম মায়ের সঙ্গে নাইতে এল--কত বৎসর পরে বৃদ্ধাবস্থায় তার শ্মশানশয্যা হ’ল ঐ ঠাণ্ডা জলের কিনারাতেই, ঐ বাঁশবনের ঘাটের নীচেই। কত কত মা, কত ছেলে, কত তরুণ তরুণী সময়ের পাষাণবয়ঁ বেয়ে এসেছে গিয়েছে মহাকালের বীথিপথ বেয়ে। ঐ শান্ত নদীর ধারে ঐ আকন্দ ফুল, ঐ পাটা শেওলা, বনঝােপ, ছাতিম বন। এই পল্লীগ্রামের যে জীবনযাত্রা, শতাব্দীর পর শতাব্দী এই রকম, এই বাঁশ শিমূল বনে অপরাজেয় শােভা এমনি ধারা দেখা যায়—ঝিঙে ক্ষেতে এমনি ফুল ফোটে—কত বনসিমতলার ঘাট, কত গ্রাম্য মেয়ে, কত হাসি কান্না প্রেম বিরহ-—এই রকম চলবে। এদের নিয়ে একটা উপন্যাস লিখবাে আজ মাথায় এসেছে...মহাকাল যেন এই উপন্যাসের পটভূমি--নায়ক নায়িকা গ্রাম্য নরনারী।
    No Specifications