Skip to Content
লালসালু (বিভাস)

Price:

120.00 ৳


লালসালু (গ্রাফসম্যান)
লালসালু (গ্রাফসম্যান)
160.00 ৳
200.00 ৳ (20% OFF)
লালসালু (শব্দচাষ)
লালসালু (শব্দচাষ)
160.00 ৳
200.00 ৳ (20% OFF)
20% OFF

লালসালু (বিভাস)

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/38660/image_1920?unique=0c89e89

120.00 ৳ 120.0 BDT 150.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

‘লালসালু’ আজো পর্যন্ত পূর্ববাংলার শ্রেষ্ঠ উপন্যাস বলে সুধীমহলে স্বীকৃত। তেমনি কথাশিল্পী হিসেবে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্'র শ্রেষ্ঠত্বেও প্রায় কেউই দ্বিমত পোষণ করেন না। অল্পপরিসর পটভূমিকায় উপন্যাসের মৌলিক চরিত্র ধর্মরক্ষা এক কঠিন কাজ। সেই কঠিন কাজে ‘লালসালু’র লেখক সফল হয়েছেন, একথা দ্বিধাহীন চিত্তে বলা চলে। মানুষের জীবনজিজ্ঞাসা নানা পথে নানা মাধ্যমে উত্তর খুঁজতে থাকে। জীবন নিঃশেষ হতে থাকে জীবনের ঘাটে ঘাটে; কিন্তু জিজ্ঞাসার উত্তর তবু পাওয়া যায় না। প্রশ্ন থেকে প্রশ্নান্তরে যে ব্যাকুল হৃদয় আত্মপ্রতিষ্ঠার সন্ধান চায় সে হৃদয়ের সান্ত্বনা মেলেনা শেষ পর্যন্ত কোথাও। ‘লালসালু’র রক্তরঙিন আবরণে ঢাকা থাকে বহু বেদনা বহু বঞ্চনার কাহিনি- লেখা থাকে বহু ব্যর্থ কামনার ইতিহাস। সেই ইতিহাসের নগ্ন বিধৃতি সমগ্র ‘লালসালু’তে।

Syed Waliullah

সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ (তাঁর জন্ম চট্টগ্রাম শহরের ষোলশহর এলাকায়, ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট) তাঁর পিতা সৈয়দ আহমাদুল্লাহ ছিলেন একজন সরকারি কর্মকর্তা; মা নাসিম আরা খাতুনও সমতুল্য উচ্চশিক্ষিত ও রুচিশীল পরিবার থেকে এসেছিলেন, সম্ভবত অধিক বনেদি বংশের নারী ছিলেন তিনি। ওয়ালীউল্লাহর আট বছর বয়সের সময় তার মাতৃবিয়োগ ঘটে। দুই বছর পর তার বাবা দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন টাঙ্গাইলের করটিয়ায়। বিমাতা এবং বৈমাত্রেয় দুই ভাই ও তিন বোনের সঙ্গে ওয়ালীউল্লাহর সম্পর্ক কখনোই অবনতি হয় নি। তার তেইশ বছর বয়সকালে কোলকাতায় চিকিৎসা করতে গিয়ে মারা যান। তার পিতৃমাতৃবংশ অনেক শিক্ষিত ছিলেন। বাবা এম এ পাশ করে সরাসরি ডেপুটি মেজিস্ট্রেট চাকুরিতে ঢুকে যান; মাতামহ ছিলেন কোলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স থেকে পাশ করা আইনের স্নাতক; বড়ো মামা এমএবিএল পাশ করে কর্মজীবনে কৃতি হয়ে খানবাহাদুর উপাধি পেয়েছিলেন এবং স্ত্রী ওয়ালীউল্লাহর বড়ো মামী ছিলেন নওয়াব আবদুল লতিফ পরিবারের মেয়ে, উর্দু ভাষার লেখিকা ও রবীন্দ্রনাথের গল্প নাটকের উর্দু অনুবাদক। ১৯৩৯ সালে তিনি কুড়িগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় হতে ম্যাট্রিক, এবং ১৯৪১ সালে ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। তার আনুষ্ঠানিক ডিগ্রি ছিলো ডিস্টিঙ্কশনসহ বিএ এবং অর্থনীতি নিয়ে এমএ ক্লাশে ভর্তি হয়েও শেষে পরিত্যাগ করেন। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর ওয়ালীউল্লাহ ঢাকায় এসে প্রথমে ঢাকা বেতার কেন্দ্রের সহকারী বার্তা-সম্পাদক ও পরে করাচি কেন্দ্রের বার্তা-সম্পাদক (১৯৫০-৫১) হন। ১৯৫১-৬০ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তান সরকারের পক্ষে নয়াদিল্লি, সিডনি, জাকার্তা ও লন্ডনে বিভিন্ন উচ্চ পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬০-১৯৬৭ সাল পর্যন্ত তিনি প্যারিসে পাকিস্তান দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি এবং ১৯৬৭-৭১ সাল পর্যন্ত ইউনেস্কোর প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট ছিলেন। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ দুটি গল্পগ্রন্থ নয়নচারা (১৯৫১), দুই তীর ও অন্যান্য গল্প এবং তিনটি নাটক বহিপীর (১৯৬০), তরঙ্গভঙ্গ (১৯৬৪) ও সুড়ঙ্গ (১৯৬৪) রচনা করেছেন। ছোটগল্প ও নাটকেও তিনি সমাজের কুসংস্কার, ধর্মীয় ভন্ডামি, মানসিক ও চারিত্রিক স্খলন ইত্যাদিকে প্রতিভাসিত করেছেন। তিনি দেশ-বিদেশের নানা সাহিত্য পুরস্কার এবং বাংলাদেশ সরকারের ‘একুশে পদক’ (মরণোত্তর, ১৯৮৩) লাভ করেন। ১৯৭১ সালের ১০ অক্টোবর প্যারিসে তাঁর মৃত্যু হয় এবং প্যারিসের উপকণ্ঠে মদোঁ-স্যুর বেল্ভু-তে তিনি সমাহিত হন।

Title

লালসালু (বিভাস)

Author

Syed Waliullah

Publisher

Bivas

Number of Pages

73

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Novel
  • First Published

    AUG 2015

     Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

     Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

     Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

     International Delivery: Charges vary by country and book weight - will be informed after order confirmation.

     3 Days Happy Return. Change of mind is not applicable

     Multiple Payment Methods: Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

    ‘লালসালু’ আজো পর্যন্ত পূর্ববাংলার শ্রেষ্ঠ উপন্যাস বলে সুধীমহলে স্বীকৃত। তেমনি কথাশিল্পী হিসেবে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্'র শ্রেষ্ঠত্বেও প্রায় কেউই দ্বিমত পোষণ করেন না। অল্পপরিসর পটভূমিকায় উপন্যাসের মৌলিক চরিত্র ধর্মরক্ষা এক কঠিন কাজ। সেই কঠিন কাজে ‘লালসালু’র লেখক সফল হয়েছেন, একথা দ্বিধাহীন চিত্তে বলা চলে। মানুষের জীবনজিজ্ঞাসা নানা পথে নানা মাধ্যমে উত্তর খুঁজতে থাকে। জীবন নিঃশেষ হতে থাকে জীবনের ঘাটে ঘাটে; কিন্তু জিজ্ঞাসার উত্তর তবু পাওয়া যায় না। প্রশ্ন থেকে প্রশ্নান্তরে যে ব্যাকুল হৃদয় আত্মপ্রতিষ্ঠার সন্ধান চায় সে হৃদয়ের সান্ত্বনা মেলেনা শেষ পর্যন্ত কোথাও। ‘লালসালু’র রক্তরঙিন আবরণে ঢাকা থাকে বহু বেদনা বহু বঞ্চনার কাহিনি- লেখা থাকে বহু ব্যর্থ কামনার ইতিহাস। সেই ইতিহাসের নগ্ন বিধৃতি সমগ্র ‘লালসালু’তে।
    No Specifications