Skip to Content
Filters

author.name

Siraj Uddin Ahmed

সিরাজ উদ্দীন আহমেদ ৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভােরে বেতারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার সংবাদ পেয়ে বরগুনা মহকুমার তকালীন মহকুমা প্রশাসক সিরাজ উদ্দীন আহমেদ তাৎক্ষণিক হত্যার প্রতিবাদ করেন। সামরিক সরকারের নির্দেশ উপেক্ষা করে, তিনি বরগুনা মহকুমায় সামরিক আইন ও কাফু জারি করেননি। তার নির্দেশে বরগুনায় অবস্থানরত রক্ষীবাহিনী বিদ্রোহ করে এবং তিনি নিজে অস্ত্র হাতে জনতাকে হত্যার প্রতিবাদ জানাতে ও অবৈধ সরকারের বিরােধিতার আহবান জানান। বরগুনার মহকুমা পুলিশ অফিসার মুক্তিযােদ্ধা মােঃ ফারুক ও তার পুলিশ বাহিনী বিদ্রোহ করেন। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার হত্যার প্রতিবাদে মহকুমা প্রশাসকের অফিসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। ১৬ আগস্ট তিনি তার বাসভবনে শােকসভা করেন। সামরিক সরকারের পক্ষে কোন মিছিল বরগুনাতে হয়নি। সেদিন বরগুনার জনগণ, বাকশাল নেতৃবৃন্দ ও ছাত্রলীগ তার আহবানে বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদ করে। সামরিক সরকার তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত ও অন্য নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করে। সিরাজ উদ্দীন আহমেদের ন্যায় বাংলাদেশে আর কোন সামরিক-বেসামররিক কর্মকর্তা বা জনগন বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদ করেনি। তিনি মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন। অস্ত্র দিয়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিশােধ নিতে পারেননি। তাই তিনি বাংলাদেশের স্থপতিদের জীবনী রচনার জন্য কলম তুলে নেন। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, স্বাধীনতা ঘােষণা-বিজয় অতঃপর, বরিশালের ইতিহাস, বাংলাদেশ গড়লেন যারা, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, হােসেন শহীদ সােহরাওয়ার্দী, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনা, ভারত বিভাগঐতিহাসিক ভুল, জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস গ্রন্থ রচনা করেছেন।