শের-ই-বাঙলা এ. কে. ফজলুল হক

এ কে ফজলুল হকের আবির্ভাব বিভক্ত বাংলা ভারতবর্ষের একটি প্রদেশ ছিল। ১৯৪৭ সালে বাংলা বিভক্তর পূর্বে এ প্রদেশের সীমানা ছিল- উত্তর হিমালয়, পূর্বে আসাম প্রদেশ, আপুরা রাজ্য, পশ্চিমে পশ্চিমবঙ্গ, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা আর পলল দ্বারা বাংলার ভূভাগ গঠিত হয়েছে। প্রাগৈতিহাসিক যুগে বাংলাদেশে শুরু হয়। নব্য প্রস্তরযুগে বাংলাদেশে জনবসতির নিদর্শন পাওয়া যায়। আল আদিম অধিবাসীরা বন্য অবস্থা বা শিকারী জীবন ছেড়ে কৃষি জীবন শুরু ক.এ.ই। কৃষি জীবনের পূর্বে এ অঞ্চলের আদিম অধিবাসী ছিল নিগ্রোপ্রতিম নামে এক জাতি। নৃতত্ত্ববিদদের মতে, নিগ্রোদের পর বাংলার প্রাচীন অধিবাসী অস্ট্রিক। =ইক জাতি অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ইন্দোচীন থেকে বাংলাদেশে আগমন অস্ট্রিক ও মােঙ্গলীয়দের সংমিশ্রণে প্রাচীন বাঙ বা বাংগাল জাতির সৃষ্টি। বঙ্গে দ্রাবিড়, আর্য ও মুসলমানদের আগমন ঘটে। ফলে এক সমন্বিত সতী বা আজকের বাঙালি জাতির সৃষ্টি হয়। শতাব্দীর দ্বন্দ্ব-মিলনের মধ্য ও বাংলায় অনেক জনপদ গড়ে ওঠে। কৌম বা জনগােষ্ঠীর নামানুসারে জদের নাম হয়েছে। যেমন- গৌড়, বঙ্গ, পুণ্ড, রাঢ়। বাঙ জনগােষ্ঠীর ন নুরে ‘বঙ্গ জনপদের নাম। বাঙ শব্দের অর্থ জলাভূমি। বাঙ জাতি বন্যা ও দশ তা থেকে রক্ষার জন্য জমিতে আল বা বাঁধ নির্মাণ করত। বাঙ শব্দের = Sল যুক্ত হয়ে বাঙ্গাল হয়েছে। বাঙ্গাল জাতি দক্ষিণ-পূর্ব বাংলায় বাস = বাঙ জনগােষ্ঠীর ভাষার নাম বাংলা ভাষা। ইনকাল থেকে বাংলাদেশে একটি স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ দেখা " আ২৭ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে সমাট আলেকজান্ডারের ভারত আক্রমণের সময় বঙ্গে আর = রাজ্যের উল্লেখ আছে। তারপর বঙ্গ মৌর্য ও গুপ্ত রাজাদের অধীনে -- দেশ ছিল। সপ্তম শতকে রাজা শশাঙ্ক গৌড়, পুণ্ডু ও বঙ্গ একত্রিত করে - রাজ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেন। ৭৫০ থেকে ১১২৪ সাল পর্যন্ত পাল বংশ বঙ্গ