Skip to Content
কবিতাসমগ্র (শরৎকুমার মুখোপাধ্যায়)

Price:

900.00 ৳


কবিতাসমগ্র (বিষ্ণু দে)
কবিতাসমগ্র (বিষ্ণু দে)
3,600.00 ৳
4,000.00 ৳ (10% OFF)
কবিতাসমগ্র (শেখ নজরুল) (পারিজাত)
কবিতাসমগ্র (শেখ নজরুল) (পারিজাত)
799.20 ৳
999.00 ৳ (20% OFF)
10% OFF

কবিতাসমগ্র (শরৎকুমার মুখোপাধ্যায়)

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/1764/image_1920?unique=511bd30

900.00 ৳ 900.0 BDT 1,000.00 ৳

Not Available For Sale

(10% OFF)

This combination does not exist.

বিশিষ্ট কবি শরৎকুমার মুখোপাধ্যায়ের ‘কবিতাসমগ্র’ সর্বার্থেই স্বতন্ত্র। অর্ধশতাব্দী-অতিক্রান্ত কবিজীবনের সমস্ত শস্যে পাঠকের ডালি পূর্ণ, তবু এই কবি বলেন, “নিজেকে নিংড়োলে যত রক্তপাত— পাঠক চণ্ডাল/চায় তার চেয়ে ঢের বেশি।” প্রখর, অভিমানী, স্পষ্টবক্তা শরৎকুমারের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘সোনার হরিণ' প্রকাশিত হয় ২৫ বৈশাখ ১৩৬৪ বঙ্গাব্দে। কৃত্তিবাস গোষ্ঠীর কবিদের সঙ্গে প্রবল উন্মাদনায় শাসন করেছেন মধ্যরাত, দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থে উঠে এসেছে অস্থির বেদনার কথাই— “বন্ধুরা কোথায় আছো এখনি দুয়ার বন্ধ হবে/বন্ধুরা কোথায় শোনো, এখনি দুয়ার বন্ধ হবে/গরল হরণে চলো ট্যাক্সিওলা...”, কিন্তু শরৎকুমার মূলত বিরাজ করেছেন নিঃসঙ্গতায়— “তেমন গভীর কোনো কষ্ট নেই, চন্দ্রালোক নেই, যাতে মরতে সাধ হয়...”। প্রেমহীনতার, দুঃখহীনতার কথা যিনি বলেন, তিনি সন্ধান করেন প্রেম আর দুঃখের প্রকৃতকেই। কবির নির্মম বিদ্রুপগুলির মর্মে আছে কান্নাভেজা এক চরাচর। “দুঃখ, এই শব্দটির মাঝখানে অশ্রুপতনের চিহ্ন দেখে মনে হয়, চিরদুঃখিনী বাংলাদেশ, আনন্দে ফেটে পড়বে এমন নিটোল একটিও শব্দ নেই তোমার!” অভিনব এক কবিদৃষ্টি মেলে তিনি দেখেন পৃথিবীর চারপাশ, আপাততুচ্ছকে দেন অদ্ভুত ব্যাপ্তি। তিনি মনে করেন, “পৃথিবীর সঙ্গে মানুষের, মানুষের সঙ্গে মানুষের সূক্ষ্ম এবং বিস্ময়কর সম্পর্ক আছে।” এইসব সম্পর্কের ঘাত-প্রতিঘাতের আলো শরৎকুমার মুখোপাধ্যায়ের ব্যতিক্রমী কবিতার প্রাণ। সেখানে গল্প আছে, কিন্তু তা কখনওই অতিক্রম করে যায় না কবিতাকে। আছে নাটকীয়তা, যা কোনও চমক নয়, বরং কবির একপ্রকার সরবতাই।

শরৎকুমার মুখোপাধ্যায়

শরৎকুমার মুখোপাধ্যায় (১৫ আগস্ট, ১৯৩১ — ২১ ডিসেম্বর, ২০২১ ) বিশ শতকের পাঁচের দশকের কাব্য আন্দোলনে সুনীল-শক্তি-সন্দীপন জুটির অন্যতম ছিলেন। এরা চারজন ছিলেন মধ্য রাতের কলকাতা শাসন করা যুবক। শরৎকুমার মূলতঃ পাঠকমহলে সমাদৃত হয়েছেন কবিতার সূত্রেই। তিনি নিজ নামে প্রথম কবিতা লেখেন ১৯৪৭-৪৮ খ্রিস্টাব্দে কবি নরেন্দ্র দেব সম্পাদিত "পাঠশালা" পত্রিকায়। তিনি বুদ্ধদেব বসুর ভক্ত ছিলেন। ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে বুদ্ধদেব বসু তার সম্পাদিত "আধুনিক বাংলা কবিতা" সংকলনের পঞ্চম সংস্করণে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, বিনয় মজুমদার প্রমুখ কবিদের রচনার সঙ্গে শরৎকুমারের রচিত কবিতার স্থান দেন। তবে প্রথম প্রথম তিনি নমিতা মুখোপাধ্যায় ছদ্মনামে কবিতা লিখে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় পাঠাতেন। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে "কৃত্তিবাস" পত্রিকায় সাক্ষাতের পর অবশ্য ছদ্মনাম ব্যবহার করেন নি। এই পত্রিকায় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ— সোনার হরিণ প্রকাশিত হয় এবং কবি হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। আর এই পত্রিকাসূত্রে তার হৃদতা ও শখ্যতা গড়ে ওঠে শক্তি চট্টোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ অন্যান্য কবিদের সঙ্গে। শরৎকুমারের বোহেমিয়ান জীবনে রচিত কবিতার প্রথম লাইন— রাত বারোটার পর কলকাতা শাসন করে চারজন যুবক। জনপ্রিয় এই শব্দবন্ধ ধরেই তার বোহেমিয়ান জীবনে লেখা অসামান্য গদ্যগুলির নামকরণ হয়েছে কলকাতা শাসনের জার্নাল।

Title

কবিতাসমগ্র (শরৎকুমার মুখোপাধ্যায়)

Author

শরৎকুমার মুখোপাধ্যায়

Publisher

Ananda Publishers Private Limited (kolkata)

Number of Pages

730

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Poems
  • First Published

    APR 2017

     Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

     Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

     Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

     International Delivery: Charges vary by country and book weight - will be informed after order confirmation.

     3 Days Happy Return. Change of mind is not applicable

     Multiple Payment Methods: Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

    বিশিষ্ট কবি শরৎকুমার মুখোপাধ্যায়ের ‘কবিতাসমগ্র’ সর্বার্থেই স্বতন্ত্র। অর্ধশতাব্দী-অতিক্রান্ত কবিজীবনের সমস্ত শস্যে পাঠকের ডালি পূর্ণ, তবু এই কবি বলেন, “নিজেকে নিংড়োলে যত রক্তপাত— পাঠক চণ্ডাল/চায় তার চেয়ে ঢের বেশি।” প্রখর, অভিমানী, স্পষ্টবক্তা শরৎকুমারের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘সোনার হরিণ' প্রকাশিত হয় ২৫ বৈশাখ ১৩৬৪ বঙ্গাব্দে। কৃত্তিবাস গোষ্ঠীর কবিদের সঙ্গে প্রবল উন্মাদনায় শাসন করেছেন মধ্যরাত, দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থে উঠে এসেছে অস্থির বেদনার কথাই— “বন্ধুরা কোথায় আছো এখনি দুয়ার বন্ধ হবে/বন্ধুরা কোথায় শোনো, এখনি দুয়ার বন্ধ হবে/গরল হরণে চলো ট্যাক্সিওলা...”, কিন্তু শরৎকুমার মূলত বিরাজ করেছেন নিঃসঙ্গতায়— “তেমন গভীর কোনো কষ্ট নেই, চন্দ্রালোক নেই, যাতে মরতে সাধ হয়...”। প্রেমহীনতার, দুঃখহীনতার কথা যিনি বলেন, তিনি সন্ধান করেন প্রেম আর দুঃখের প্রকৃতকেই। কবির নির্মম বিদ্রুপগুলির মর্মে আছে কান্নাভেজা এক চরাচর। “দুঃখ, এই শব্দটির মাঝখানে অশ্রুপতনের চিহ্ন দেখে মনে হয়, চিরদুঃখিনী বাংলাদেশ, আনন্দে ফেটে পড়বে এমন নিটোল একটিও শব্দ নেই তোমার!” অভিনব এক কবিদৃষ্টি মেলে তিনি দেখেন পৃথিবীর চারপাশ, আপাততুচ্ছকে দেন অদ্ভুত ব্যাপ্তি। তিনি মনে করেন, “পৃথিবীর সঙ্গে মানুষের, মানুষের সঙ্গে মানুষের সূক্ষ্ম এবং বিস্ময়কর সম্পর্ক আছে।” এইসব সম্পর্কের ঘাত-প্রতিঘাতের আলো শরৎকুমার মুখোপাধ্যায়ের ব্যতিক্রমী কবিতার প্রাণ। সেখানে গল্প আছে, কিন্তু তা কখনওই অতিক্রম করে যায় না কবিতাকে। আছে নাটকীয়তা, যা কোনও চমক নয়, বরং কবির একপ্রকার সরবতাই।
    No Specifications