শেখ নজরুল
আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম আলোচিত কবি। তাঁর কবিতার বিষয়বস্তু-মাটি, মানুষ আর মানবিক মূল্যবোধ। শেখ নজরুল লেখালেখিতে প্রতিষ্ঠিত করেছেন স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্যে। ছন্দ সচেতন কবি হিসেবেও তিনি সমালোচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন দ্রুত। তাঁর বাবা প্রয়াত নূরুল ইসলাম ছিলেন স্কুল শিক্ষক, মা রাশীদা বেগম। জন্ম ১৬ নভেম্বর সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামে। প্রকাশিত গ্রন্থ ৪৮। প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই যতক্ষণ তুমি মাধবী ...। উল্লেখযোগ্য বই, কবিতা- পাঁজরের মানচিত্রে অনেক নদী, কষ্টের অনুবাদ, মা ও জোনাকতারার কাব্য, অষ্টধাতুর মাদুলি, আমার খুনের তালিকায় জোছনাও আছে, মলাটবন্দি চেতনার কফিন, মেঘ সম্পাদনা, মীমাংসিত মৃত্যু অমীমাংসিত জীবনে, নারীনিধি, রাষ্ট্র বনাম একা, আপেল কাটা ছুরি, গোলাপি দরজা, পতাকায় ফাল্গুন মানচিত্রে বসন্ত, ফুলশুমারি, আমাদের ভদ্র হবার গল্প, এখন তুই মাঠ আমি খেলছি, গোলাপেও দুর্দিন ফোটে, সোনালি শস্যে রুপোলি সরোবওে, মন খেলাপি, বেয়াদবি মাফ করবেন, রাখাল বালক সুবর্ণ চাষা। ছড়া- কার ঘাড়ে কে চড়ে, ফন্দিফিকির, কাঠমোল্লা, রাজনীতি এ্যটরেট জনগণ ডটকম, বুকের ভেতর বাংলাদেশ, বৃষ্টিকাব্য, বন্ধুকাব্য, মুঠির ভেতর আগুন ঝরে কার, সময়ের কাব্য, হায় পাখি, ছড়া বসন্ত। গল্প- গ্লাসভাঙা দুপুর। আখ্যানকাব্য-রাজাকারনামা। প্রবন্ধ-গল্প রাতে নাটক সকালে, আমার স্বপ্ন আমার স্বাধীনতা। তথ্যগ্রস্থ আন্তর্জাতিক দিবস জাতীয় ভাবনা। সম্পাদিত গ্রন্থ- আমার স্বপ্ন আমার স্বাধীনতা, কবিতায় বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধুর কবিতা, দুই বাংলার মুক্তিযুদ্ধের নির্বাচিত কবিতা, মুক্তিযুদ্ধের বাছাই গল্প। ভ্রমণ করেছেন আমেরিকা, জাপান, চীন বেলজিয়াম, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, হংকং, ভারত ও অন্যান্য। পেয়েছেন শেরেবাংলা স্বর্ণ পদক (১৯৯৩), সাতক্ষীরা জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার (২০০৯), স্বাধীনতা ফাউন্ডেশন পুরস্কার (২০১২)।