প্রাচীন ভারতে বিজ্ঞান

প্রাচীন ভারতে বিজ্ঞান গ্রন্থটি মোট বারোটি অধ্যায়ে বিন্যস্ত। আলোচ্য গ্রন্থে লেখক প্রাচীন ভারতে বিজ্ঞান চর্চায় প্রথিতযশা স্মার্ত—কৌটিল্য, আর্যভট্ট, চরক, সুশ্রুত, বরাহমিহির, পাণিনির রচিত গ্রন্থাদি যেমন: অর্থশাস্ত্র, আর্যভট্টীয়, চরকসংহিতা, সুশ্রুতসংহিতা, রাজতরঙ্গিনী ও বিভিন্ন পুরাণে উল্লেখিত গণিত, জ্যামিতি, রাশি বিজ্ঞান, অক্ষর জ্ঞান, শূন্যের ধারণা, গতিতত্ত্ব, রসায়ন শাস্ত্র, জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতিষশাস্ত্র প্রভৃতি বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করেছেন। এছাড়া প্রাচীন ভারতে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা, কৃষি ব্যবস্থা ও কৃষি বিজ্ঞান চর্চা, খনিজ ধাতু ও তার শিল্পে ব্যবহার প্রভৃতি বিষয়গুলি উত্থাপিত করেছেন। পরিশিষ্ট অংশে আধুনিক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রতিষ্ঠাতা ফ্রান্সিস বেকন, রেণে দেকার্ত-এর তুলনামূলক আলোচনা স্থান পেয়েছে। গ্যালিলিও-র মহাবিশ্বের সৃষ্টিতত্ত্ব, দেবতা ও আত্মা এবং হিন্দু রসায়ন শাস্ত্রের প্রাচীনত্ব নিয়ে আলোচনাও স্থান পেয়েছে। গ্রন্থটি শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও অনুসন্ধিৎসু গবেষক মহলে সমাদৃত হলে লেখকের পরিশ্রম সার্থক হবে।