Skip to Content
বঙ্গবন্ধু থেকে বাংলাদেশ

Price:

160.00 ৳


বঙ্গবন্ধু থেকে বঙ্গকন্যা
বঙ্গবন্ধু থেকে বঙ্গকন্যা
144.00 ৳
180.00 ৳ (20% OFF)
বঙ্গবন্ধু থেকে বিশ্ববন্ধু শেখ মুজিব
বঙ্গবন্ধু থেকে বিশ্ববন্ধু শেখ মুজিব
176.00 ৳
220.00 ৳ (20% OFF)

বঙ্গবন্ধু থেকে বাংলাদেশ

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/36216/image_1920?unique=aeb13b7

160.00 ৳ 160.0 BDT 200.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

পঞ্চান্ন বছরের যাপিত জীবন ছিল বঙ্গবন্ধুর। সময়ের বিচারে সংক্ষিপ্তই তার জীবন। কিন্তু জীবনের দৈর্ঘ্যের চেয়ে তার কর্মের প্রস্থ ছিল অনেক বেশি। ইংরেজিতে বলা হয় লার্জার দেন লাইফ অর্থাৎ জীবনের চেয়ে বড়। জীবনের দৈর্ঘ্য বিধাতার হাতে। কিন্তু জীবনে একজন মানুষের কর্মের ব্যাপ্তি ও গভীরতা তার মেধা মনন, প্রণােদনা ও উদ্যোগ উদ্যমের ওপর নির্ভরশীল। এমন মানুষই ছিলেন বঙ্গবন্ধু। কাজেই দৈর্ঘ্য দিয়ে নয় তার জীবনকে মাপতে হবে তার কর্মের পরিধি ও গভীরতা দিয়ে। সন্দেহ নেই কেন তিনি বিবিসি জরিপে বিশজন শ্রেষ্ঠ বাঙালির তালিকায় শ্রেষ্ঠতম হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর শ্রেষ্ঠতম হওয়ার কারণ ছিল এই যে, তিনি বাঙালির স্বাধীনতা ও রাষ্ট্র নির্মাণের কারিগর ছিলেন। স্বাধীনতা ও রাষ্ট্র বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন। এমন মানুষ যে তার যাপিত জীবনের চেয়ে বড় হবেন তা অনস্বীকার্য। তিনি ছিলেন জননন্দিত জনতার নেতা। ‘আমার যােগ্যতা মানুষকে ভালােবাসি। আমার অযােগ্যতা আমি তাদেরকে বেশি ভালােবাসি'- এ কথা বঙ্গবন্ধু নিজেই বলেছিলেন ডেভিড ফ্রস্টকে। জনগণের আকাঙ্খা ও স্বপ্নকে আত্মস্থ করে তিনি বিকশিত হয়েছিলেন জনগণের নেতা হিসেবে। তিনি জনগণের স্বপ্নকে ধারণ করে তা রূপায়নের কারিগর ছিলেন। বঙ্গবন্ধু জাতির জনক ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি। এমন সব অভিধাও তার প্রাপ্য এবং তা তার কর্মগুণেই। বাঙালির অগ্রজ নেতা ছিলেন শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, মওলানা ভাসানী এবং হােসেন শহীদ সােহরাওয়ার্দী যাদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ছিল অপরিমেয় শ্রদ্ধা। এরা সবাই বাঙালির স্বাধিকার নিয়ে সােচ্চার ছিলেন। কিন্তু তাদের অনুজ বঙ্গবন্ধু যেভাবে জনতার নাড়ির স্পন্দন বুঝতেন সেভাবে তাদের পক্ষে বােঝা সম্ভব হয়নি কখনাে। বঙ্গবন্ধুর ছিল লক্ষ্য অর্জনে ও ত্যাগ স্বীকারের দৃঢ়তা।। ফিদেল ক্যাস্ত্রো ঠিকই চিনেছিলেন শেখ মুজিবকে তাই তার স্পষ্ট উচ্চারণ- ‘আমি হিমালয় দেখিনি, শেখ মুজিবকে দেখেছি।' সাহস ও ব্যক্তিত্বে বঙ্গবন্ধু হিমাদ্রি সদৃশ। হিমালয়ের মতাে মাথা উঁচু করেই তিনি জাতির জনক ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি। বঙ্গবন্ধু থেকেই বাংলাদেশের জন্ম একথা তাই প্রতিটি বাঙালির কাছে শিরােধার্য।

রাজু আলীম

রাজু আলীম জন্ম ৫ মার্চ ১৯৬৮, জন্মস্থান: দক্ষিণ গােয়ালদি গ্রাম, তুলাসার ইউনিয়ন, শরীয়তপুর। বাবা ডা. আব্দুল আজিজ এবং মা ইকবালুন নেসা। শিক্ষা: মানবিক শাখা, বাংলাভাষা ও সাহিত্য। পেশা: সাংবাদিকতা ও অনুষ্ঠান নির্মাণ (টিভি ও চলচ্চিত্র)। মেধাবী এই তরুণ তার কর্মজীবন শুরু করেন সেবা প্রকাশনীর কর্ণধার কাজী আনােয়ার হােসেনের হাত ধরে। পরবর্তীকালে সম্পাদকীয় সহকারী হিসেবে কাজ করেন দৈনিক ইত্তেফাকে। বর্তমানে তিনি চ্যানেল আইয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। চ্যানেল আইতে বিশ বছরের অধিক সময় কর্মরত রাজু আলীম নির্মাণ করেছেন কয়েক হাজার টিভি অনুষ্ঠান, টকশাে, তথ্যচিত্র, সরাসরি সম্প্রচার অনুষ্ঠান। চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন তিনি। চ্যানেল আইতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী অবলম্বনে একত্রিশ পর্ব নির্মিত বঙ্গবন্ধুর আত্মকথন অন্যতম। বঙ্গবন্ধুর আত্মকথন ও মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে চ্যানেল আই ছাড়া বিটিভিতেও একই সাথে প্রচার হয়েছে। তার প্রকাশিত গ্রন্থ সবার উপরে শরীর সত্য, দুরন্ত পাখির ঘ্রাণ, অফিস স্পাউস, সুন্দরীতমা, আহ! প্রজাপতি, ভালােবাসার নীল ময়ূরী, মুক্তিযুদ্ধ ও ভালােবাসার চিত্রনাট্য, নির্বাচিত দুঃখ কষ্ট, হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু, উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ, নতুন প্রজন্মের জয় , রাজু আলীমের ১০টি টিভি নাটক। তার প্রকাশিত বই- একশ প্রেম, চাঁদের সঙ্গে প্রেম ও বঙ্গবন্ধু থেকে বাংলাদেশ। এবারের বইমেলায় বেরুবে তার লেখা নতুন বই শেখ হাসিনার সরকার। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স, ইউএসএ (বাংলাদেশ চাপ্টার)-এর ভাইস-প্রেসিডেন্ট; কবি সংসদ বাংলাদেশের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। শরীয়তপুর সাংবাদিক সমিতির সাবেক প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি বাচসাস, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, ডিরেক্টর গিল্ড, অভিনয় শিল্পী সংঘের সম্মানিত সদস্য। তিনি সুনীল সাহিত্য পুরস্কার, বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সম্মাননা পুরস্কার, কবি শামসুর রাহমান স্মৃতি পুরস্কার, বাচসাস প্রডিওসার অব দ্য ইয়ার পুরস্কার, গাংচিল সাহিত্য পুরস্কার, সিজেএফবি ক্রিটিক অ্যাওয়ার্ড এবং বাংলাদেশ কালচারাল রিপােটার্স সহ উল্লেখযােগ্য পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন।

Title

বঙ্গবন্ধু থেকে বাংলাদেশ

Author

রাজু আলীম

Publisher

Ananya

Number of Pages

102

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • History
  • First Published

    FEB 2020

    পঞ্চান্ন বছরের যাপিত জীবন ছিল বঙ্গবন্ধুর। সময়ের বিচারে সংক্ষিপ্তই তার জীবন। কিন্তু জীবনের দৈর্ঘ্যের চেয়ে তার কর্মের প্রস্থ ছিল অনেক বেশি। ইংরেজিতে বলা হয় লার্জার দেন লাইফ অর্থাৎ জীবনের চেয়ে বড়। জীবনের দৈর্ঘ্য বিধাতার হাতে। কিন্তু জীবনে একজন মানুষের কর্মের ব্যাপ্তি ও গভীরতা তার মেধা মনন, প্রণােদনা ও উদ্যোগ উদ্যমের ওপর নির্ভরশীল। এমন মানুষই ছিলেন বঙ্গবন্ধু। কাজেই দৈর্ঘ্য দিয়ে নয় তার জীবনকে মাপতে হবে তার কর্মের পরিধি ও গভীরতা দিয়ে। সন্দেহ নেই কেন তিনি বিবিসি জরিপে বিশজন শ্রেষ্ঠ বাঙালির তালিকায় শ্রেষ্ঠতম হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর শ্রেষ্ঠতম হওয়ার কারণ ছিল এই যে, তিনি বাঙালির স্বাধীনতা ও রাষ্ট্র নির্মাণের কারিগর ছিলেন। স্বাধীনতা ও রাষ্ট্র বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন। এমন মানুষ যে তার যাপিত জীবনের চেয়ে বড় হবেন তা অনস্বীকার্য। তিনি ছিলেন জননন্দিত জনতার নেতা। ‘আমার যােগ্যতা মানুষকে ভালােবাসি। আমার অযােগ্যতা আমি তাদেরকে বেশি ভালােবাসি'- এ কথা বঙ্গবন্ধু নিজেই বলেছিলেন ডেভিড ফ্রস্টকে। জনগণের আকাঙ্খা ও স্বপ্নকে আত্মস্থ করে তিনি বিকশিত হয়েছিলেন জনগণের নেতা হিসেবে। তিনি জনগণের স্বপ্নকে ধারণ করে তা রূপায়নের কারিগর ছিলেন। বঙ্গবন্ধু জাতির জনক ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি। এমন সব অভিধাও তার প্রাপ্য এবং তা তার কর্মগুণেই। বাঙালির অগ্রজ নেতা ছিলেন শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, মওলানা ভাসানী এবং হােসেন শহীদ সােহরাওয়ার্দী যাদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ছিল অপরিমেয় শ্রদ্ধা। এরা সবাই বাঙালির স্বাধিকার নিয়ে সােচ্চার ছিলেন। কিন্তু তাদের অনুজ বঙ্গবন্ধু যেভাবে জনতার নাড়ির স্পন্দন বুঝতেন সেভাবে তাদের পক্ষে বােঝা সম্ভব হয়নি কখনাে। বঙ্গবন্ধুর ছিল লক্ষ্য অর্জনে ও ত্যাগ স্বীকারের দৃঢ়তা।। ফিদেল ক্যাস্ত্রো ঠিকই চিনেছিলেন শেখ মুজিবকে তাই তার স্পষ্ট উচ্চারণ- ‘আমি হিমালয় দেখিনি, শেখ মুজিবকে দেখেছি।' সাহস ও ব্যক্তিত্বে বঙ্গবন্ধু হিমাদ্রি সদৃশ। হিমালয়ের মতাে মাথা উঁচু করেই তিনি জাতির জনক ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি। বঙ্গবন্ধু থেকেই বাংলাদেশের জন্ম একথা তাই প্রতিটি বাঙালির কাছে শিরােধার্য।
    No Specifications