Skip to Content
শঙ্খচূড় : খণ্ড ১

Price:

560.00 ৳


শঙ্খ ঘোষের শ্রেষ্ঠ কবিতা
শঙ্খ ঘোষের শ্রেষ্ঠ কবিতা
630.00 ৳
700.00 ৳ (10% OFF)
শঙ্খচূড় : দ্বিতীয় খণ্ড
শঙ্খচূড় : দ্বিতীয় খণ্ড
560.00 ৳
700.00 ৳ (20% OFF)
20% OFF

শঙ্খচূড় : খণ্ড ১

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/15769/image_1920?unique=fda9e57

560.00 ৳ 560.0 BDT 700.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

‘রত্নেশ্বর ঠাকুর কী বললেন জানো ?' 'কী ?’ ‘বললেন, যা তোমার নয়, তা তুমি পেয়ে গেলেও তা তোমার নয়। আর যা তোমার, তা তুমি না পেলেও তা চিরকাল তোমারই । সুতরাং কারও ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাকে পেতে চেয়ো না। বরং ছেড়ে দাও। মুক্ত করে দাও। মনে রেখো, কখনো কখনো মুক্তিই বন্দিত্ব । আবার কখনো বন্দিত্বই মুক্তি।' সৃজিতা কথা বলল না। অরুণ অকস্মাৎ উঠে দাঁড়াল। তারপর বলল, ‘আমি তাই তোমায় মুক্ত করে দিয়েছি সৃজিতা। মুক্ত। কিন্তু...।' “কিন্তু কী ? স্নান স্বরে জিজ্ঞেস করল সৃজিতা। “কিন্তু আমার যে মুক্তি মেলে না!” অরুণের এই কথাটুকুতে কী যেন কী ছিল । এক অব্যক্ত, ব্যাখ্যাতীত কান্নার অনুভূতি। সেই অনুভূতি কি এক মুহূর্তের জন্যও সৃজিতাকে ছুঁয়ে গেল ? অরুণ জানে না। তবে সে কাণ্ডজ্ঞানহীন এক মানুষের মতো সৃজিতার দিকে এগিয়ে গেল । নিঃসংকোচ পদক্ষেপে ক্রমশই এগোতেই থাকল। সৃজিতা একবার চোখ তুলে তাকালেও নড়ল না। অরুণ তার খুব কাছে গিয়ে হঠাৎ থমকে দাঁড়াল। তারপর প্রায় ফিসফিস করে বলল, ‘আমায় তুমি মুক্তি দাও নি কেন ? কেন মুক্তি দাও নি ? আমায় কেন তুমি বন্দি করে রাখলে ?” ‘কেউ কি কাউকে মুক্তি দিতে পারে ? যদি সে নিজে না চায় ? অরুণ হঠাৎ থমকাল । আসলেই তো তাই । যে বন্দি থাকতে চায়, অন্যের সাধ্য কি তাকে মুক্তি দেয় ? সে নিজেই হয়তো সৃজিতার কাছ থেকে মুক্তি চায় না! অরুণ প্রায় নিঃশব্দ স্বরে বলল, 'আমি বড় হয়ে গেছি সৃজিতা। অনেক বড়। আমি আর সেই ছোট্ট অরুণ নেই।' সৃজিতা কথা বলল না। সে নিষ্পলক তাকিয়ে রইল। অরুণ বলল, ‘সবাই ভাবে বয়স মানুষকে বড় বানায়, কথাটা সত্য না। মানুষকে কী বড় বানায় জানো ?” 'কী ?’ “কষ্ট।'

Sadat Hossain

সাদাত হোসাইন স্নাতকোত্তর, নৃবিজ্ঞান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। সাদাত হোসাইন নিজেকে বলেন গল্পের মানুষ। তাঁর কাছে চারপাশের জীবন ও জগত, মন ও মানুষ সকলই গল্প। তিনি মনে করেন, সিনেমা থেকে পেইন্টিং, আলোকচিত্র থেকে ভাস্কর্য, গান থেকে কবিতা- উপন্যাস-নাটক, সৃজনশীল এই প্রতিটি মাধ্যমই মূলত গল্প বলে। গল্প বলার সেই আগ্রহ থেকেই একের পর এক লিখেছেন- আরশিনগর, অন্দরমহল, মানবজনম, নিঃসঙ্গ নক্ষত্র, নির্বাসন, ছদ্মবেশ, মেঘেদের দিন ও অর্ধবৃত্তের মতো তুমুল জনপ্রিয় উপন্যাস। ‘কাজল চোখের মেয়ে’, তোমাকে দেখার অসুখ'সহ দারুণ সব পাঠকপ্রিয় কবিতার বই। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বোধ, দ্য শুজ, প্রযত্নের পাশাপাশি' নির্মাণ করেছেন 'গহীনের গান' এর মতো ব্যতিক্রমধর্মী পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রও। জিতেছেন জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকার পুরস্কার, এসবিএসপি-আরপি ফাউন্ডেশন সাহিত্য পুরস্কার, পশ্চমিবঙ্গের চোখ সাহত্যি পুরস্কার, শুভজন সাহিত্য সম্মাননা ও এক্সিম ব্যাংক- অন্যদিন হুমায়ূন আহমদে সাহিত্য পুরস্কার ২০১৯। তাঁর জন্ম ১৯৮৪ সালের ২১ মে, মাদারীপুর জেলার, কালকিনি থানার কয়ারিয়া গ্রামে।

Title

শঙ্খচূড় : খণ্ড ১

Author

Sadat Hossain

Publisher

Anyaprokash

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Novel
  •  Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

     Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

     Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

     International Delivery: Charges vary by country and book weight - will be informed after order confirmation.

     3 Days Happy Return. Change of mind is not applicable

     Multiple Payment Methods: Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

    ‘রত্নেশ্বর ঠাকুর কী বললেন জানো ?' 'কী ?’ ‘বললেন, যা তোমার নয়, তা তুমি পেয়ে গেলেও তা তোমার নয়। আর যা তোমার, তা তুমি না পেলেও তা চিরকাল তোমারই । সুতরাং কারও ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাকে পেতে চেয়ো না। বরং ছেড়ে দাও। মুক্ত করে দাও। মনে রেখো, কখনো কখনো মুক্তিই বন্দিত্ব । আবার কখনো বন্দিত্বই মুক্তি।' সৃজিতা কথা বলল না। অরুণ অকস্মাৎ উঠে দাঁড়াল। তারপর বলল, ‘আমি তাই তোমায় মুক্ত করে দিয়েছি সৃজিতা। মুক্ত। কিন্তু...।' “কিন্তু কী ? স্নান স্বরে জিজ্ঞেস করল সৃজিতা। “কিন্তু আমার যে মুক্তি মেলে না!” অরুণের এই কথাটুকুতে কী যেন কী ছিল । এক অব্যক্ত, ব্যাখ্যাতীত কান্নার অনুভূতি। সেই অনুভূতি কি এক মুহূর্তের জন্যও সৃজিতাকে ছুঁয়ে গেল ? অরুণ জানে না। তবে সে কাণ্ডজ্ঞানহীন এক মানুষের মতো সৃজিতার দিকে এগিয়ে গেল । নিঃসংকোচ পদক্ষেপে ক্রমশই এগোতেই থাকল। সৃজিতা একবার চোখ তুলে তাকালেও নড়ল না। অরুণ তার খুব কাছে গিয়ে হঠাৎ থমকে দাঁড়াল। তারপর প্রায় ফিসফিস করে বলল, ‘আমায় তুমি মুক্তি দাও নি কেন ? কেন মুক্তি দাও নি ? আমায় কেন তুমি বন্দি করে রাখলে ?” ‘কেউ কি কাউকে মুক্তি দিতে পারে ? যদি সে নিজে না চায় ? অরুণ হঠাৎ থমকাল । আসলেই তো তাই । যে বন্দি থাকতে চায়, অন্যের সাধ্য কি তাকে মুক্তি দেয় ? সে নিজেই হয়তো সৃজিতার কাছ থেকে মুক্তি চায় না! অরুণ প্রায় নিঃশব্দ স্বরে বলল, 'আমি বড় হয়ে গেছি সৃজিতা। অনেক বড়। আমি আর সেই ছোট্ট অরুণ নেই।' সৃজিতা কথা বলল না। সে নিষ্পলক তাকিয়ে রইল। অরুণ বলল, ‘সবাই ভাবে বয়স মানুষকে বড় বানায়, কথাটা সত্য না। মানুষকে কী বড় বানায় জানো ?” 'কী ?’ “কষ্ট।'
    No Specifications