ঈশ্বরদী, মেয়র ও মিউলের গল্প

কবিতাপ্রেমীদের স্বাগত ‘ঈশ্বরদী’ নামের বিরাট জনপদটির অনৈসর্গিক, অচিন্তনীয় ও ইচ্ছাখুশির মনগড়া ভবনে, যা একইসঙ্গে তীব্র বাস্তব, বস্তুনিষ্ঠ ও পার্থিব। ঈশ্বরদী, সবকিছর পাশাপাশি আবার। সাবভারসিভও, অর্থাৎ রাষ্ট্রের তরফ থেকে দেখলে। নাশকতামূলক ঈশ্বরদী...পিকাসোর গুয়ের্নিকা-র। মতো এক বিরাট ক্যানভাসে আঁকা বড় ছবি, যাতে বস্তু-পৃথিবীর সামান্য এক পানের বটুয়া থেকে নিয়ে। হাজির ডবল-ক্রাউন ব্লটিং পেপারে মােড়া। শহীদদের মৃতদেহ পর্যন্ত, ঝিলের সোনাব্যাঙ থেকে নিয়ে বিদ্রোহীদের হাতে জেরিক্যান ভরা নিউক্লিয়ার। ফুয়েল, অকটেন ও অলিভ অয়েল—সবটাই। আর বস্তুর বাইরে, হাজার বস্তু ও লাখোমানবকে। ছাড়িয়ে বা ঘিরে এখানে আছে এই ভূখণ্ডের দীর্ঘ। ১৫ বছরের সামরিক ও স্বৈরশাসনের। সারটুকু–মেয়র পদবির এক খুনে শাসকের হুংকার, নিপীড়নমূলক রাষ্ট্রযন্ত্রের ছড়ানো বিভীষিকার অদৃশ্য মেঘ, ক্ষমতার বহুবর্ণ খেলা, কী নেই এতে? যেন-বা ঈশ্বরদী আকাশের সমান। বিরাট এক তাবুর নিচে কিছু, আর সেই তাঁবু, অবশ্যম্ভাবীভাবে, এক সার্কাসের তবু ...ক্ষমতা, তুমিই সব থেকে ক্ষমতাশালী রয়ে। যাচ্ছ এতকিছুর শেষে। নিস্পাপ সান্ধ্যভ্রমণে এসেও জনতারা টের পাচ্ছে বেশতােমার। হিঙ্গল রঙ, হাঁসুলিতে ,মোড়ানো তেমার পলিগন। শেপ (গয়নার বাক্স নিয়ে লাশ দেখতে এলে । পড়তে হয় এমনই লজ্জায়—নিজেকে ও মৃতকে, মঙ্গলসূত্রে যারা বাধা পরস্পরের সাথে)! কোনে লাশকেই মর্যাদাবান করার ক্ষমতা বস্তুত কোনো জীবিতেরই নেই, ক্ষমতার ধারণা এইখানে বড় ভ্রষ্ট আর গোলমেলে