রহস্যময়ী তিন নারী : হেলেন, বনলতা, মোনালিসা

কালের পরিক্রমায় শিল্প-সাহিত্যের অনেক চরিত্র হারিয়ে গেলেও পাশ্চাত্যের হেলেন ও মােনালিসা এখনাে শাশ্বত। চরিত্রদ্বয় শুধু পাশ্চাত্যে নয়, প্রাচ্যেও ঢেড় আকর্ষণীয় ও জনপ্রিয়। অন্যদিকে প্রাচ্যের বনলতা সেন পাশ্চত্য জনগােষ্ঠীর কাছে কম চিত্রাকর্ষক নয়। বনলতা পাঠে পাশ্চাত্যের অনেক লেখক ও পাঠক বিমােহিত হয়েছেন। আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে হােমারের সৃষ্ট চরিত্র হেলেন বাংলা ভাষাভাষীর শ্রুতিতে এসেছে লেলিহান শিখা হিসেবে, যা পুড়ে ছারখার করেছে ট্রয় নগরী। আবার সেই হেলেনই মােহনীয় রূপের মূর্তি ও দায়িত্ব। প্রথম প্রবন্ধে হেলেনের এই রহস্যময়ী চরিত্র তুলে আনার চেষ্টা করা হয়েছে। দ্বিতীয় প্রবন্ধে জীবনানন্দের শব্দের বয়ান যে চিত্রের থেকে বেশি আকর্ষিত তার ব্যাখ্যা যেমন স্থান পেয়েছে তেমনি। বনলতা সেনের পরিচয় নিয়ে যে বিতর্ক ও গােলকধা তা উন্মােচনের চেষ্টা করা হয়েছে, সেই সাথে বহর ঐতিহাসিক ব্যাখ্যা। তৃতীয় প্রবন্ধে ভিকির চিত্র মােনালিসাকে নিয়ে নিত্য-নতুন গবেষণা যে হট করছে তার বর্ণনা যেমন তুলে ধরা হয়েছে তেমন মােনালিসার পরিচয়, শিল্পরূপ ও তার প্রতি সংক ঈর্ষাকেও তুলে ধরা হয়েছে। এই তিন মহকে এক মলাটে তুলে আনার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা মাত্র।