ইন দ্য লাইট অব হোয়াট উই নো (জিয়া হায়দার রহমান) (পেপারব্যাক)

আমরা যা জানি তার আলােকে (ইন দ্য লাইট অব। হােয়াট উই নাে) পৃথিবীকে দেখা যে কতােটা ভুল ও কতােটা প্রহেলিকাময়, জাফরের স্বীকারােক্তি তার জাজ্বল্য প্রমাণ। জাফরের সঙ্গে সিলেট থেকে কাবুল, লন্ডন, নিউ ইয়র্ক, ইসলামাবাদ, অক্সফোর্ড, প্রিন্সটন সব ঘুরে এসে আমরা দেখি জীবনের বৃহত্তর বিষয়গুলাে যেমন প্রেম, শেকড়, বিজ্ঞান, যুদ্ধ-ক্ষুদ্রতর মানুষদের অহং ও আস্ফালনে জারিত। দেখি যে, পৃথিবীতে জাতিভেদের চেয়েও বড় সত্য শ্রেণিভেদ, আর এখানে বন্ধুত্বকে। ছাপিয়ে যায় আরও বড় এক বাস্তবতা-বিশ্বাসঘাতকতা। জাফরের জীবনের শুরুটাই হয়েছে ভুল দিয়ে, আর সে এখন চাইছে সেই ভুলের থেকে মুক্তি। অন্যদিকে বংশীয়। পাকিস্তানি পিতামাতার সন্তান এ-গল্পের কথক চাইছে। তার বন্ধুর গল্পটা আমাদের বলতে । কিন্তু যতই এগােচ্ছে। তার বলা, ততই সে দেখছে যে, এ-পৃথিবীকে যে চশমা পরে আমরা দেখি, সে চশমাতেই রয়েছে বিরাট গলদ। সে দেখছে জাফরের মতাে মানুষগুলাে-এমনকি সে নিজেও-তাদের ক্লাস, কালচার ও শেকড়ের উত্তরাধিকারের হাতে বন্দি। তারা একদিকে চাইছে যার যার মতাে করে জীবনে প্রতিষ্ঠার পথে ছুটে যেতে, যেন। তাদের ভবিষ্যৎটা শান্তির হয়, আর অন্যদিকে সেই ছােটার পথে বারবার তারা জ্বালিয়ে দিচ্ছে আগুন-ক্রোধ, মিথ্যা, স্বার্থপরতা ও সংকীর্ণতার প্রতীকী আগুন, আবার সত্যিকারের যুদ্ধে গুলি ও বােমার আগুন, দুটোই। পৃথিবীর ক্ষমতাকাঠামাে, মানবাধিকার ও পরহিব্রত বিষয়ে আমাদের এতদিনকার যে বােঝাপড়া ও নিশ্চিন্তমন বিশ্বাস, তার গােড়া টেনে ধরে এ উপন্যাস আপনাকে খাড়া করিয়ে দেবে এক মৌলিক প্রশ্নের মুখােমুখি: আপনি আদতে কতােটুকু আস্থা রাখতে পারেন। আপনার সেসব বােঝাপড়া, বিশ্বাস ও তথাকথিত জ্ঞানের ওপরে?