Skip to Content
প্রকৃতি ও মানুষের ক্রমবিকাশ : বিগ ব্যাং থেকে হোমোস্যাপিয়েন্স

Price:

400.00 ৳


পুরোধা বাঙা্লি বঙ্গবন্ধু মুজিব ও ‍বিদ্রোহী নজরুল
পুরোধা বাঙা্লি বঙ্গবন্ধু মুজিব ও ‍বিদ্রোহী নজরুল
384.00 ৳
480.00 ৳ (20% OFF)
ফারায়েজ আইন (খোশরোজ)
ফারায়েজ আইন (খোশরোজ)
360.00 ৳
450.00 ৳ (20% OFF)
20% OFF

প্রকৃতি ও মানুষের ক্রমবিকাশ : বিগ ব্যাং থেকে হোমোস্যাপিয়েন্স

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/14065/image_1920?unique=7842928

400.00 ৳ 400.0 BDT 500.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

বিজ্ঞান মানে প্রকৃতিকে খোজা, প্রকৃতির নিয়ম কানুন উদঘাটন করা। ব্যস এটুকুই। সমস্ত জড় ও প্রাণী জগৎ বিজ্ঞানের নিয়ম ধরে চলে। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পরমাণু থেকে বিশাল বৃহৎ নক্ষত্র সবই বিজ্ঞানের সূত্র পুঙ্খানুপুক্ষ মেনে চলে। প্রকৃতির সন্তান মানুষেরও প্রকৃতির নিয়ম মেনে চলার কথা। কিন্তু কার্যত সব সময় তা হয় না। মানুষ বিশেষ করে মানুষের মন, অনেক সময় বিজ্ঞানের পথ ছেড়ে বেপথু ঘােরাফেরা করে। কুসংস্কার, অলীক কল্পনা, রূপকথাসহ আরাে অনেক গাঁজাখুরী মনােবিকারে আক্রান্ত হয়। এসব হয় মানুষের এক অনন্য বৈশিষ্ট্যের জন্য যার নাম আবেগ। এই আবেগ মানুষের মনের ভিতর ভাবের এক কল্পজগৎ তৈরি করে। বাস্তব জগৎকে ডিঙ্গিয়ে অবাধে পৌছে যায় অবাস্তবতার আঙ্গিনায়। আবেগ মানুষের মনে বাস্তব জগতের সীমাবদ্ধতা কাটানাের তাড়না সৃষ্টি করে। সে যা কিছু কল্পনা করে সেসব কিছুকে বাস্তবে রূপ দিতে চায়। সৃজনশীলতার উচ্ছাসে আপ্লুত হয়ে তাকে ফিরে আসতে হয় বাস্তব জগতে। এবার নতুন সৃষ্টির প্রেরণায় কল্পলােক ছেড়ে শুরু করে বিজ্ঞান চর্চা। বিজ্ঞানের নতুন নতুন নিয়ম আবিষ্কার করে তৈরি করে জীবন সহজ করার নতুন সব উপকরণ। বিজ্ঞানের বলে বলীয়ান হয়ে মানুষ নিরন্তর চেনা জগষ্টাকে বদলে চলেছে। মানুষের শৈল্পিক চেতনা এই শুভ। আবেগেরই সুফল। কিন্তু প্রকৃতি তাে অনন্ত অসীম। তাই মানুষ যত কিছু আবিষ্কার করুক না কেন, অনেক অনেক কিছু থেকে যায় তার নাগালের বাইরে, অজানা, অচেনা, অনাবিস্কৃত। এক রকম না পাওয়ার বেদনায় মানুষের ভাবলােক সব সময় ভারাক্রান্ত থাকে। মানুষের আবেগ সেই শূন্যস্থান পূরণ করে কল্পনা দিয়ে । অজানা অচেনা জগৎকে কল্পনা দিয়ে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সব কিছু তালগােল পাকিয়ে ফেলে। জন্ম দেয় যত সব অলীক কল্পনা, কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস আর গল্পকথার। এটা আবেগের ঝুঁকিপূর্ণ দিক। এখানে যেমন কবিতার সুন্দর ফুল। ফোটে তেমনি তৈরি হয় ভাবের ভয়ঙ্কর ফ্রাঙ্কেনস্টাইন। এ থেকে আমাদের সাবধান থাকতে হবে। বিজ্ঞানের আলােকবর্তিকা জ্বেলে দূর করতে হবে কুসংস্কার আর অন্ধবিশ্বাসের অন্ধকার। পপুলার সাইন্স’ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী নয়। এ হলাে জনবােধ্য ভাষায় বিজ্ঞানের বিষয়গুলিকে জনগণের সামনে তুলে ধরা। কুসংস্কার কাটাবার অন্য কোনাে বিকল্প পথ নেই। এখানে জড় ও জীব। জগতের উদ্ভব ও বিকাশের বিজ্ঞান সম্মত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। বিবর্তন এবং বিগব্যাং শব্দ দু'টো শিক্ষিত সমাজে অপরিচিত না। হলেও সেগুলি আসলে কি তা অনেকেরই অজানা। সেই ঘাটতি পূরণ করার এক ক্ষুদ্র প্রয়াস।

ডা. জাহিদ মনজুর

ডা. জাহিদ মনজুর ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের ৪ঠা মে ঢাকায় জন্ম গ্রহণ করেন। পৈত্রিক নিবাস চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্গত উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডের মুন্সিপাড়ায়, মাতুলালয় ময়মনসিংহে, বর্তমান কিশােরগঞ্জের কুলিয়ারচরে। তাঁর পিতা মরহুম চৌধুরী সিরাজ উদ্দীন মুক্তিযুদ্ধের একজন শহীদ। তাঁর মাতার নাম মরহুম বেগম শাফিয়া দীন। স্ত্রী মাসুমা শাহনাজ। এক সন্তান নভ মনজুর। পাঁচ ভাই এক বােনের মধ্যে চতুর্থ। লেখাপড়ায় তাঁর হাতেখড়ি হয় যশােরের সেক্রেড হার্ট (মিশন) স্কুলে। পরে তিনি খণ্ডকালে যশাের জিলা স্কুল, ময়মনসিংহ জিলা স্কুল ও চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে লেখাপড়া করেন। তিনি প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ঢাকা ওয়েস্ট এণ্ড হাই স্কুল থেকে ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে। ১৯৭২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। পাশ করেন চট্টগ্রামের সিটি কলেজ থেকে। ১৯৮১ সালে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রী লাভ করেন। ২০০৪ সালে। প্রয়ােজনীয় প্রশিক্ষণের পর তিনি মেডিক্যাল অফিসার জরুরি প্রসূতিসেবা হিসাবে, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি প্রসূতিসেবা দানে ব্রতী হন। এরপর ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স একাধারে পাঁচবার, জরুরি প্রসূতিসেবা বিষয়ে শ্রেষ্ঠ বিভাগীয় সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে পুরস্কৃত হয়। ২০১১ সালে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম পদ থেকে স্বেচ্ছা অবসর গ্রহণ করেন। ২০১৩ সালের বই মেলায় প্রথমা প্রকাশন থেকে অধ্যাপক সাহানারা চৌধুরীর সাথে যৌথ লেখনীতে তাদের প্রসূতি ও প্রসব’ বইখানি প্রকাশিত হয়। বর্তমানে তিনি প্রাইভেট প্র্যাকটিস ও লেখালেখি নিয়ে ব্যস্ত আছেন। তিনি বিজ্ঞানমনস্ক, মুক্তচিন্তার অনুসারী, সংস্কৃতিমনা এবং রবিন্দ্রভক্ত।

Title

প্রকৃতি ও মানুষের ক্রমবিকাশ : বিগ ব্যাং থেকে হোমোস্যাপিয়েন্স

Author

ডা. জাহিদ মনজুর

Publisher

Rodela Prokashani

Number of Pages

512

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Science
  • First Published

    FEB 2018

     Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

     Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

     Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

     International Delivery: Charges vary by country and book weight - will be informed after order confirmation.

     3 Days Happy Return. Change of mind is not applicable

     Multiple Payment Methods: Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

    বিজ্ঞান মানে প্রকৃতিকে খোজা, প্রকৃতির নিয়ম কানুন উদঘাটন করা। ব্যস এটুকুই। সমস্ত জড় ও প্রাণী জগৎ বিজ্ঞানের নিয়ম ধরে চলে। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পরমাণু থেকে বিশাল বৃহৎ নক্ষত্র সবই বিজ্ঞানের সূত্র পুঙ্খানুপুক্ষ মেনে চলে। প্রকৃতির সন্তান মানুষেরও প্রকৃতির নিয়ম মেনে চলার কথা। কিন্তু কার্যত সব সময় তা হয় না। মানুষ বিশেষ করে মানুষের মন, অনেক সময় বিজ্ঞানের পথ ছেড়ে বেপথু ঘােরাফেরা করে। কুসংস্কার, অলীক কল্পনা, রূপকথাসহ আরাে অনেক গাঁজাখুরী মনােবিকারে আক্রান্ত হয়। এসব হয় মানুষের এক অনন্য বৈশিষ্ট্যের জন্য যার নাম আবেগ। এই আবেগ মানুষের মনের ভিতর ভাবের এক কল্পজগৎ তৈরি করে। বাস্তব জগৎকে ডিঙ্গিয়ে অবাধে পৌছে যায় অবাস্তবতার আঙ্গিনায়। আবেগ মানুষের মনে বাস্তব জগতের সীমাবদ্ধতা কাটানাের তাড়না সৃষ্টি করে। সে যা কিছু কল্পনা করে সেসব কিছুকে বাস্তবে রূপ দিতে চায়। সৃজনশীলতার উচ্ছাসে আপ্লুত হয়ে তাকে ফিরে আসতে হয় বাস্তব জগতে। এবার নতুন সৃষ্টির প্রেরণায় কল্পলােক ছেড়ে শুরু করে বিজ্ঞান চর্চা। বিজ্ঞানের নতুন নতুন নিয়ম আবিষ্কার করে তৈরি করে জীবন সহজ করার নতুন সব উপকরণ। বিজ্ঞানের বলে বলীয়ান হয়ে মানুষ নিরন্তর চেনা জগষ্টাকে বদলে চলেছে। মানুষের শৈল্পিক চেতনা এই শুভ। আবেগেরই সুফল। কিন্তু প্রকৃতি তাে অনন্ত অসীম। তাই মানুষ যত কিছু আবিষ্কার করুক না কেন, অনেক অনেক কিছু থেকে যায় তার নাগালের বাইরে, অজানা, অচেনা, অনাবিস্কৃত। এক রকম না পাওয়ার বেদনায় মানুষের ভাবলােক সব সময় ভারাক্রান্ত থাকে। মানুষের আবেগ সেই শূন্যস্থান পূরণ করে কল্পনা দিয়ে । অজানা অচেনা জগৎকে কল্পনা দিয়ে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সব কিছু তালগােল পাকিয়ে ফেলে। জন্ম দেয় যত সব অলীক কল্পনা, কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস আর গল্পকথার। এটা আবেগের ঝুঁকিপূর্ণ দিক। এখানে যেমন কবিতার সুন্দর ফুল। ফোটে তেমনি তৈরি হয় ভাবের ভয়ঙ্কর ফ্রাঙ্কেনস্টাইন। এ থেকে আমাদের সাবধান থাকতে হবে। বিজ্ঞানের আলােকবর্তিকা জ্বেলে দূর করতে হবে কুসংস্কার আর অন্ধবিশ্বাসের অন্ধকার। পপুলার সাইন্স’ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী নয়। এ হলাে জনবােধ্য ভাষায় বিজ্ঞানের বিষয়গুলিকে জনগণের সামনে তুলে ধরা। কুসংস্কার কাটাবার অন্য কোনাে বিকল্প পথ নেই। এখানে জড় ও জীব। জগতের উদ্ভব ও বিকাশের বিজ্ঞান সম্মত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। বিবর্তন এবং বিগব্যাং শব্দ দু'টো শিক্ষিত সমাজে অপরিচিত না। হলেও সেগুলি আসলে কি তা অনেকেরই অজানা। সেই ঘাটতি পূরণ করার এক ক্ষুদ্র প্রয়াস।
    No Specifications