সেলেশ্চিয়াল বডিজ : যোহা আল হার্থি

উপন্যাসের আরবি শিরােনাম সায়ীদাত আল কামার-কে বাংলা করা যায়—চাঁদের মেয়েরা, চন্দ্রাবতীগণ, চন্দ্র এবং রমণীগণ ইত্যাদি। উপন্যাসের পটভূমিতে ওমান, তার পরিবর্তনশীল সমাজ, এবং তার । ইতিহাস বিদ্যমান। ওমানের সমাজ বিংশ শতাব্দীর মুখােমুখি দাঁড়িয়ে আছে ধর্ম, কুসংস্কার এবং অশিক্ষায় পীড়িত হয়ে। যেই সমাজে তখনও দাসপ্রথা, জিন-ভূত, এবং পুরুষের একক শ্রেষ্ঠত্বে বিশ্বাস। করেন মানুষ। কিন্তু পরিবর্তন তার নিজের নিয়মে আসছেই। তরুণরা সেই। পরিবর্তনকে স্বাগত জানালেও, এতদিনের অভ্যস্ত জগতের পাল্টে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না জ্যেষ্ঠরা। ফলাফলে পিতাপুত্র, মাতা কন্যার মাঝে দ্বন্দ্ব, হৃদয়ের সংঘাত। তখন ওমানে দাসপ্রথা নিষিদ্ধ করা। হয়েছে, বড় শহরদের ক্যাফেগুলিতে ইংলিশ ছাড়া অন্য ভাষায় কথা বলা যায় , রাস্তাঘাট মানুষের পায়ের তুলনায় গাড়ির চাকার জন্য বেশি উপযুক্ত, পাল্টে যাচ্ছে রাজনীতি, অর্থনীতি মানষের। জীবন দর্শন, পরস্পরের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি। উপন্যাসজুড়ে এই পরিবর্তনের দিকে বারবার আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। দেখা যায় বাড়ির অন্দরমহলের নকশা থেকে শুরু করে সমাজের আইন কানুন। সমস্ত কিছুই কী দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের অংশ হয়ে যাচ্ছে। এই বদলে যাওয়া নিয়ে। হাহাকার, হতাশা, মগ্ধতা এবং এই। মানুষের উল্লাসের এক অনুপম চিত্র তুলে। ধরেছেন যােহা আল হার্থি।