হুমায়ুন কবির রচনাবলী: ২য় খণ্ড (রাজনীতি ভাবনা)

পণ্ডিত হুমায়ুন কবির-এর জন্ম ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯০৬, ফরিদপুর জেলার কোমরপুর গ্রামে। মা সাজেদা খাতুন। বাবা কবিরউদ্দিন। আহমদ ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। বর্তমানের নওগাঁ জেলাধীন কালীধন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন-এ রাজশাহী বিভাগে। প্রথম প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট-এ প্রথম বিভাগে। তৃতীয়; একই কলেজ থেকে ইংরেজিতে বি.এ অনার্স-এ প্রথম। শ্রেণিতে প্রথম; কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে একই বিষয়ে এম.এ-তে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে দর্শন। রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতিতে বিশেষ ডিগ্রি লাভ; এগুলাের প্রতিটিতে । প্রথম শ্রেণি। প্রিলিমিনারি ব্যাচেলর অব ল-এর তিনটিতেই প্রথম শ্রেণি। অন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে প্রভাষক হিসেবে। কর্মজীবন শুরু। পরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা ও বিভিন্ন বড় পদে কাজ করেছেন। কংগ্রেসকর্মী ব্রাহ্ম রমণী শান্তি দাসের। সঙ্গে বিয়ে। সম্পাদিত পত্রিকা: ত্রৈমাসিক চতুরঙ্গ, বারমাসী ও Bharat । এছাড়া একাধিক পত্রিকা প্রকাশ ও ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। লিখেছেন ভারত ও ভারতের বাইরের বহু বিখ্যাত পত্রিকায়। যুক্ত ছিলেন এত এত সংগঠনের সঙ্গে, যেগুলাের তালিকা অনেক দীর্ঘ। ভ্রমণ করেছেন পৃথিবীর বহু দেশ। ১৯৪৯-| এ ভারত সরকারের যুগ্ম সচিব; ১৯৫৩-তে ভারত সরকারের। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সচিব; ১৯৫৮-তে ভারত সরকারের বিজ্ঞান গবেষণা ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী; ১৯৬২-তে। পশ্চিমবঙ্গের বশিরহাট সংসদীয় এলাকা থেকে লােকসভার সদস্য; ১৯৬৭-তে পশ্চিমবাংলা থেকে পার্লামেন্টে পুনর্নির্বাচিত হন। সেই। সময়ে বাঙালি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণকারী হুমায়ুন কবিরের । এ-ধরনের মেধার স্বাক্ষর ছিল বিস্ময়কর। এমনকি মুসলমান। হওয়ার কারণে আজও ভারতে তিনি উপেক্ষিত। বাংলাদেশের। মানুষের কাছেও তিনি সমানভাবে অনালােচিত। অথচ তিনিই। বাঙালি মুসলমানদের মধ্যে আধুনিক শিক্ষায় প্রথম উচ্চশিক্ষিত ও আন্তর্জাতিক মাপের ব্যক্তিত্ব। যিনি মুসলিম সাধারণ ছাত্র ও হিন্দু। দরিদ্র জনগণের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে ব্রিটিশ এবং উচ্চ ও মধ্যবিত্ত হিন্দুদের বিরাগভাজন হয়েছেন। সে-সময় অনেক কবি,। সাহিত্যিক, শিল্পী তাঁর কাছে থেকে পৃষ্ঠপােষকতা পেয়েছেন। ১৮। আগস্ট ১৯৬৯-এ দিল্লি ওয়েলিংডন হাসপাতালে হৃদরােগে । আক্রান্ত হয়ে মানবতাবাদী এই ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেন।