বৈরী ছায়ার খেলা

নিজের ছায়াও কি কখনাে বৈরী প্রতিপক্ষ হয়ে উঠতে পারে? সেই ছায়ার সঙ্গেই লুকোচুরি খেলা, ছায়ার সঙ্গেই অদৃশ্য লড়াই, অনিঃশেষ রক্তক্ষরণ! শওকত আলীর প্রথম যৌবনের আনন্দকুসুম স্বপন, তারই আত্মজ; রাজনৈতিক বিভ্রান্তির অতল আঁধি যখন তাকে ‘ঘােড়া-স্বপন করে তােলে তখন থেকেই নিজের ছবি তার কাছে হয়ে ওঠে বৈরী ছায়া। মুক্তিযােদ্ধা পরিচয়টাই যে কখনাে এই স্বাধীন দেশে নিজের অস্তিত্বকে এমন বিপন্ন করে তুলবে, এ কথা কে ভেবেছিল একাত্তরে! স্বাধীনতার এত বছর পর ওই পরিচয়টাই গােটা জীবনকে এভাবে এক ভয়ংকর ভূমিধসের মুখােমুখি দাঁড় করাবে শওকত আলী সে কথা ভাবতেই পারেনি কখনাে! মুক্তিযুদ্ধ যে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তেরই ফসল, তা সে প্রবলভাবে বিশ্বাস করে। অথচ যুদ্ধজয়ের পর থেকে তার ভেতরে কোনাে রাজনৈতিক ততই কম জাগেনি। সে ধরেই নিয়েছে এ ক জ ত নয়। মুক্তিযুদ্ধ করলেও সে রাজনতি করতে শেখেন। এতদিন পর সেটা শিখতে হবে ততই তত ঘােড়া-স্বপনের কাছে গেট জ তকে এত গত চায় নতুন রাজনীতি, বড়ই অফিক স ত জটিল এই রাজনৈতিক গুহরর মুখে ততে শওকত আলীর মনে হয়- নিজে হজ । কিশােরবেলার কোনাে মায়াবী হেয় কমল হতে হয়। যেন পুত্র স্বপন এ যে তর তক পিতা-পুত্রের এই অনশ কটকর = তাই কত কথাশিল্পী রফিকুর রশদ লিখেছে হয় উপন্যাস বৈ ইর খেল।