জীবনের দীক্ষা

জীবনের দিশা কেউ পায়, কেউ পায় না। কেউ বা পেয়ে হারায়। আবার কেউ জীবনের দিশা সম্পর্কে সম্পূর্ণ নির্লিপ্ত। দিশার সন্ধান যারা করেন তারা এ বিশ্বাস থেকে করেন, সুন্দর এই যে পৃথিবী, এখানেই জীবনের শেষ নয়। এ পৃথিবীর একজন স্রষ্টা আছেন যিনি নিরাকার। তিনি পৃথিবী তথা বিশ্বজগৎকে ক্রীড়াচ্ছলে সৃষ্টি করেননি। মানুষকে তিনি করেছেন তাঁর এই সৃষ্টির সেরা, এবং তাকে এ পৃথিবীতে তিনি পাঠান জীবন-মৃত্যুর অমোঘ নিয়মে, এটা দেখার জন্য যে- কর্মে কে শ্রেষ্ঠ। মানব জীবনের অস্তিত্ব তিনটি স্তরে বিভক্ত। জন্মের আগে একটা জীবন আছে (আলমে আরওয়াহ), এ জীবনের পরেও একটা জীবন আছে (আলমে বরজখ)। মাঝখানে আমরা কটা দিন কাটিয়ে যাই, সুখে-দুঃখে, আনন্দ-বেদনায়। যখন আসি খালি হাতেই আসি, যখন যাই খালি হাতেই যাই। জীবনের এই আনন্দমেলায় খুব কম লোকই জীবনের দিশার সন্ধান করেন। কেন এই জীবন, কোত্থেকে এসেছি, কোথায় যাব- এসব প্রশ্নের উত্তর এরাই খুঁজে বেড়ান। আল কুরআন মহামহিম স্রষ্টার সর্বশেষ ঐশীগ্রন্থ যা তিনি নাজিল করেছেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর। হযরত আদম থেকে শুরু করে আমাদের নবি করিম সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত এক লাখ চব্বিশ হাজার পয়গম্বর তিনি পাঠিয়েছেন মানুষকে সরল পথের সন্ধান দিতে। এর মধ্যে অল্প কয়েকজনকে তিনি কিতাব দিয়েছেন যাদের আমরা রাসুল বলি। বাকিরা হচ্ছেন নবী। এরা অসীম ধৈর্যের সঙ্গে মানুষকে সরল পথের সন্ধান দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু মানুষ অল্পই তাদের কথা শুনেছে। এসব নবী তাদের আপন জনের দ্বারা নিগৃহীত হয়েছেন। সে সমস্ত কওমকে আল্লাহ ধ্বংস করে দিয়েছেন। সব শেষে তিনি পাঠালেন আমাদের নবীজিকে। তাঁকে তিনি বললেন তাঁর হাবিব, তাঁর প্রিয়তম। এখানেই তার অনন্যতা। তাঁর প্রচারিত ধর্ম ইসলাম কোনো নতুন ধর্ম নয়। হযরত আদম থেকেই এ ধর্মের শুরু। এ ধর্ম পূর্ণতা পেয়েছে তার হাবিব হযরত মুহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দ্বারা।